বিদ্বজ্জনেরা বলেন, যেখানে আলো সেখানে অন্ধকার। যেখানে সুখ, সেখানেই দুঃখ। সেরকমই যেখানে প্রেম-ভালবাসা আছে, সেখানেই সহাবস্থান ঝগড়ার! অর্থাৎ যত বেশি ভাব, তত বেশি ঝগড়া। তবে কী জানেন তো, এগুলো হল কথার কথা। লেবু বেশি কচলালে তেতো হয়ে যায়। সামান্য কথা কাটাকাটি বা মনোমালিন্য অনেক সময় এতটাই বড় আকার নিয়ে নেয় যে, সেটা সামলানো যায় না। (4 things create unnecessary problems in relationship)
আপনার জীবনেও কোনও না-কোনও সময় এরকম পরিস্থিতি এসেছে। আবার অনেকের জীবনে এরকম পরিস্থিতি এখনও আসেনি, কিন্তু আসতেও পারে। সামনেই পুজো। শুধু-শুধু ঝগড়া করে কেন খামোখা মন খারাপ করবেন বলুন দেখি। আর পুজো পার হলেও আপনাদের প্রেম বজায় থাকুক, সেটাই আমরা চাই।
তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবেই বলছি, যাতে অকারণে ঝগড়ার পরিস্থিতি না তৈরি হয় তা হলে এই চারটি বিষয় নিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা না বলাই ভাল। (4 things create unnecessary problems in relationship)
প্রতিটি বিষয়ে বয়ফ্রেন্ডের খুঁত ধরা
কিছু ভাল জিনিস আপনার মধ্যে আছে, কিছু আছে আপনার পার্টনারের মধ্যে। আবার কিছু খারাপ দোষও আছে। আর সেটাই স্বাভাবিক। তাই ছোটখাট দোষত্রুটি নিয়ে বারবার খোঁচা দেবেন না। বিশেষ করে বন্ধুবান্ধবদের আড্ডায়, “ও তো ভীষণ আনরোম্যান্টিক”, “ও তো ফোন করলে ধরেই না,” গোছের বোকা-বোকা অভিযোগ করে তাঁকে সকলের সামনে হেয় করবেন না!
তাঁর সম্পর্কে আপনার পরিবারের মতামত
হতে পারে আপনাদের দু’জনের সম্পর্ক আপনার পরিবার এখনও মেনে নেয়নি। এদিকে আপনারা স্থির করেছেন প্রয়োজন হলে বাড়ির অমতে গিয়েই একসঙ্গে সংসার করবেন। খুব ভাল কথা। কিন্তু আপনার বাবা বা মা যদি আপনার প্রেমিকের বিষয়ে কোনও বাজে কথা বলেন, সেটা তাঁকে গায়ে পড়ে জানাতে যাবেন না। পরিবারের মত নেই, শুধু এটুকু জানাই যথেষ্ট। (4 things create unnecessary problems in relationship)
এরপর আপনার মা কী বলেছেন বা বাবা কী বলেছেন, সেটা বলতে যাবেন না। এতে বয়ফ্রেন্ডে মনে হতে পারে আপনিও বিষয়টি উপভোগ করছেন। তাছাড়া কোনও মানুষ আর একজন মানুষকে পছন্দ করে না এই ভাবনা মনে স্থান না দেওয়াই ভাল।
কথায় কথায় প্রাক্তনকে টেনে আনা
যা অতীত, যা চলে গেছে সেই নিয়ে প্রেমিকের সামনে ঘ্যানঘ্যান করবেন না। হতে পারে তিনি একজন খুব মুক্ত মনের মানুষ। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপনি আপনার প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে কথা বলবেন। বারবার এক কথা শুনতে-শুনতে আপনার বর্তমান বয়ফ্রেন্ডের মনে হতে পারে আপনি আগের জনের সঙ্গেই খুশি ছিলেন। বিষয়টি ধীরে-ধীরে ঝগড়ায় টার্ন নিতে পারে।
তাঁর পরিবার সম্পর্কে আপনার মতামত
আপনার পরিবারের কথা যেমন তাঁকে বলবেন না, ঠিক সেরকমই আপনাকেও প্রেমিকের পরিবার সম্পর্কে সাবধান থাকতে হবে। হতে পারে তাঁরা আপনার সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন, আবার উল্টোটাও হতে পারে। অর্থাৎ তাঁরা আপনাকে পছন্দ করে না।
সে যাই হোক না কেন, প্রেমিকের মা, বাবা, ভাই, বোন বা কাছের কোনও আত্মীয় সম্পর্কে কোনও ভুলভাল মন্তব্য করে বসবেন না। এতে প্রেমিকের মনে হবে আপনি এখনই এই সব বলছেন, তা হলে বিয়ের পর আপনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন না! (4 things create unnecessary problems in relationship)
দোষেগুণেই মানুষ হয়। তাই প্রেমিকের পরিবারের কোনও সদস্যকে যদি আপনার পছন্দ না হয়, তা হলে সেটা নিজের মনের মধ্যে রাখুন। বারবার এই প্রসঙ্গ তুললে ঝগড়া হওয়া অবধারিত।
ছবি সৌজন্য: খড়কুটো (হটস্টার)
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!