প্রেমে পড়তে বার বার বারণ করেছিলেন তিনি! কিন্তু গোটা কলকাতা তাঁর প্রেমে পড়েছিল! থুড়ি, প্রেমে পড়েছিল তাঁর গানের। তিনি অর্থাৎ রণজয় (Ranajoy) ভট্টাচার্য। ২০১৯-এর শুরুর দিকে মুক্তি পায় শিলাদিত্য মৌলিক পরিচালিত ‘সোয়েটার’ (sweater)। সেই ছবিতে রণজয়ের তৈরি করা গান ‘প্রেমে পড়া বারণ’ গেয়েছিলেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী। ছবি রিলিজের আগে গান (Song) তো হিট হয়েছিল বটেই। এককথায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই গান। শুধু তাই নয়, রণজয়ের গাওয়া ‘আদুরে দিন’ও দর্শকের প্রশংসা আদায় করে নেয়। সেই রণজয় এখন পুজোর অরিজিনাল মিউজিক তৈরির কাজে ব্যস্ত।
২০১৭-এ ‘শহরের গান’ এবং ২০১৮-এ ‘বসন্তেরা আসে’ তৈরি করেছিলেন রণজয়। চলতি বছরে তাঁর গানের নাম ‘ফিরবি চল’। পি অ্যান্ড পি এন্টারটেনমেন্টের প্রযোজনায় এই মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন শিলাদিত্য মৌলিক। সারা বছর বহু বাঙালি ঘর ছেড়ে, শহর ছেড়ে দূরে থাকেন। কিন্তু দুর্গা পুজোর আগে সকলেই ফিরতে চান ঘরে। কেউ পারেন, কেউ বা পারেন না। মন খারাপ জড়িয়ে থাকে কাজে…। সে সব নিয়েই গান বেঁধেছেন রণজয়।
রণজয়ের কথায়, “আমি ২০১৪ থেকে মুম্বইতে থাকি। ওই একটা বছর কলকাতায় ছিলাম না পুজোতে। আমার এত খারাপ লেগেছিল। সবাই দেখেছি ছবি আপলোড করছে বাগবাজার সার্বজনীন বা সুরুচি সঙ্ঘ…সেসব দেখে আরও মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সে বছরই ঠিক করে নিয়েছিলাম আর কখনও পুজোতে কলকাতার বাইরে থাকব না। এই বছরও কলকাতায় থাকব। এই সময়টা আমরা কেউ-কেউ ফিরতে পারি, কেউ-কেউ পারি না। কিন্তু মনটা ছটফট করতেই থাকে। ঘরে ফিরে আসার আনন্দে অথবা ফিরতে না পারার কষ্টে। ফিরতে পারার এই আনন্দ, এই উত্তেজনা অথবা ফিরতে না পারার এই কষ্ট, এই যন্ত্রণারই কথা বলবে আমার এই গান। পুজোর আগেই রিলিজ করবে।”
নরেন্দ্রপুর, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের এই প্রাক্তনীর বাড়ি উত্তর শহরতলির খড়দহে। ছোট থেকেই গান শিখেছেন। একটা সময়ের পর তাঁর মনে হয়, গান গাওয়া নয়। গান তৈরি করাতেই তাঁর বেশি আনন্দ। ২০১৩-এ কলকাতার কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে মুম্বই চলে গিয়েছিলেন। বাড়ির সাপোর্ট পেয়েছিলেন প্রথম থেকেই। মুম্বইতে অনুরাগ বসু, প্রীতমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। বিজ্ঞাপনের কাজও করেছেন প্রচুর। টলিউডেও কাজ করেছেন আগে। তবে ‘সোয়েটার’ অনেকটাই বদলে দিয়েছে কেরিয়ারগ্রাফ। শিলাদিত্যর পরের ছবিতেও গানঘর সামলাবেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে সিনেমার গান শ্রোতাদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। হারিয়ে যাচ্ছে অরিজিনাল গানের ঐতিহ্য। একসময় পুজোর গানের জন্যও বাঙালি অপেক্ষা করে থাকত। জেন ওয়াইয়ের কাছে সেসব নস্ট্যালজিয়া। সেই আবহেই পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন রণজয়। শ্রোতারা আগ্রহ নিয়ে শুনবেন বলে আশাবাদী তিনি।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…