home / Ayurveda
অ্যাকনের সমস্য়ায় নাজেহাল? আয়ুর্বেদিক স্পট ট্রিটমেন্ট কাজে লাগিয়েছেন?

অ্যাকনের সমস্য়ায় নাজেহাল? আয়ুর্বেদিক স্পট ট্রিটমেন্ট কাজে লাগিয়েছেন?

যাঁদের ত্বকে এমনিই অ্যাকনের সমস্য়া আছে,আবহাওয়ার এই ঘন ঘন পরিবর্তন তাঁদের ত্বকে প্রভাব ফেলে। বাইরে বেরোলে গাড়ির ধুলো ও দূষণের কারণে নাজেহাল অবস্থা। যাঁদের বাইরে বেরোতে হচ্ছে না তাঁদের হয়তো দূষণ নিয়ে অতটাও চিন্তা নেই। কিন্তু যাঁদের বেরোতেই হচ্ছে তাঁরা কী করবেন বলুন তো। এই ব্রণ সারানোর জন্য অনেকেই ভরসা রাখেন ঘরোয়া পদ্ধতির উপর। অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন কিংবা স্পট ট্রিটমেন্টও (ayurvedic spot treatment) করান। কিন্তু আপনি কি জানেন প্রাচীন ভারতের আয়ুর্বেদে ব্রণ সারানোর একাধিক উপায় বলা আছে। যার জন্য আপনাকে সারা মুখেও প্যাক লাগাতে হবে না। শুধুমাত্র ব্রণর উপর লাগালেই হবে। এতে ব্রণ তো ঠিক হবেই, এমনকি কোনও দাগছোপ থাকবে না। অর্থাৎ, আমরা বলছি আয়ুর্বেদিক স্পট ট্রিটমেন্ট (ayurvedic spot treatment) -র কথা। ব্রণ সারানোর আয়ুর্বেদিক উপায় কি আপনার জানা আছে?

নিমপাতা ও গোলাপ জল

সবাই জানেন নিম পাতা খুবই ভাল অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এবং গোলাপ জল ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। তাই এর জন্য পাঁচটি মতো নিমপাতা আপনার প্রয়োজন। পাতাগুলো জলে ধুয়ে নিয়ে দুই মিনিট ফুটিয়ে নেবেন। এরপর তা ভাল করে ব্লেন্ড করে নেবেন। সেই নিম পাতা বাটায় মিশিয়ে নিন দুই চা চামচ গোলাপ জল। এরপর একটি মিশ্রণ তৈরি হবে। সেটি ব্রণর উপর লাগিয়ে নেবেন। এভাবেই শুকোতে দিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন (ayurvedic spot treatment)। এতে ব্যথাও কমবে। ত্বকও ভাল থাকবে।

গোলাপ জল ব্যবহার করুন

চন্দন (ayurvedic spot treatment)

আয়ুর্বেদে প্রদাহ, ব্যথা কিংবা ক্ষত সারাতে চন্দনের ব্যবহারের কথা উল্লেখ আছে। আর কম বেশি সব বাঙালি বাড়িতেই কিন্তু চন্দন বাটা ও চন্দন কাঠ থাকে। যদি না থাকে তবে আপনি তার পরিবর্তে চন্দনগুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেটা যেন খাঁটি চন্দনগুঁড়ো হয়। নয় পরিমাণ মতো চন্দন বেটে নিন আর না হলে চন্দনগুঁড়ো গুলে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গেই ঠান্ডা অনুভব হবে। চন্দন মুখে শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মধু

একাধিক আয়ুর্বেদিক ওষুধে মধুর ব্য়বহারের কথা উল্লেখ করা আছে। নানারকম ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মধু। এক চামচ খাঁটি মধু নিন। তার মধ্যে তুলো ভিজিয়ে ব্রণতে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলবেন। দিনে দুই তিন বার লাগান। আপনি উপকার পাবেনই।

তুলসি ও হলুদ (ayurvedic spot treatment)

আয়ুর্বেদে হলুদের গুণাবলী (ayurvedic spot treatment) নিয়ে নিশ্চয়ই আর নতুন করে বলার কিছু নেই। অনেকের বাড়িতেই তুলসি গাছ থাকে। হলুদ তো সব বাড়িতেই থাকে। এই দুই উপাদান মিশিয়ে আপনার ব্রণর ওষুধ বানিয়ে নিন।

ত্বকের নির্দিষ্ট স্থানে লাগান

তবে হলুদের ক্ষেত্রে যদি আপনি কাঁচা হলুদ ব্যবহার করেন খুব ভাল হয়। কাঁচা হলুদ বেটে নিন। দুই চা চামচ পরিমাণে কাঁচা হলুদ বাটা নেবেন, তার সঙ্গে প্রয়োজন ২০টি মতো তুলসি পাতা। তুলসি পাতাও ভাল করে বেটে নিতে হবে। এই দুই উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে একটি পেস্ট (ayurvedic spot treatment)তৈরি করবেন। সেই মিশ্রণ আপনার ব্রণর উপরে লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন অন্তত তিনবার লাগিয়ে নেবেন। সারাদিনের জন্য একবারেই বানিয়ে নিতে পারেন। তবে অবশ্যই ফ্রিজে রাখবেন। এতে আপনার মুখেও ঠান্ডা ভাব থাকবে, ব্রণও সারবে খুবই তাড়াতাড়ি।

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজিহিন্দিমারাঠি আর বাংলাতেও!        

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

20 Jan 2022

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this