লকডাউনের একেবারে শুরুর দিকে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। মুম্বইয়ের বাড়িতে তিনি তখন নিজের জন্য খাবার রান্না করছেন বা ঘর পরিষ্কার করছেন। কখনও বা বেড়ালের যত্ন। তার মধ্যেই চলছিল স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ। নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি অর্থাৎ অভিনেতা চন্দন (Chandan) রায় সান্যাল। লকডাউন পেরিয়ে প্রায় আনলক পর্বে ঢুকে পড়েছে গোটা দেশ। বদল এসেছে চন্দনের জীবনেও।
প্রধান বদল তাঁর কাজ। ইতিমধ্যেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘আশ্রম’ দেখেছেন দর্শক। প্রশংসিত হয়েছে চন্দনের অভিনয়। দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পাচ্ছেন তিনি। এর মধ্যেই ফের নতুন কাজের খবর। ‘ফরবিডন লভ’ (forbidden love) আসলে চারটি আলাদা গল্প। যার দুটির স্ট্রিমিং জি ফাইভে শুরু হয়েছে গত ৯ সেপ্টেম্বর। আর বাকি দুটি সম্ভবত দেখা যাবে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে। তার একটি অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরি পরিচালনা করেছেন। আর সেখানেই মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে চন্দনকে।
“টোনিদার (অনিরুদ্ধ) সঙ্গে অনেক পুরনো আলাপ। ওঁর পরিচালনায় ‘অপরাজিতা তুমি’ করেছিলাম। একদিন ফোন করে বলল, ‘একটা মজার গল্প করছি। ইনটেন্স মর্ডান লভ স্টোরি। তোমাকে করতে হবে।’ তারপর স্ক্রিপ্ট রিডিং হল, রিহার্সাল হল। রিহার্সাল মানে তো খাওয়া দাওয়া, স্ক্রিপ্ট পড়া হচ্ছে, সেখানেই মাটিতে শুয়ে পড়ছে কেউ… (হাসি)। আসলে এখন ইকনমি, হাইরাইজ এগুলো এত ইমপর্ট্যান্ট, এর মধ্যে প্রেমটা কোথায়? এক কাপলের গল্প। তাদের ব্যস্ত জীবন। কাজ করবে নাকি প্রেম করবে। কীভাবে তারা ভালবাসা খুঁজে পায় সেটা নিয়েই গল্প। আমরা গত বছর মুম্বইতেই শুট করেছিলাম” বললেন চন্দন।
ইতিমধ্যেই ‘আশ্রম’-এ তাঁর কাজ পছন্দ করেছেন দর্শক। তার শুটিং এক্সপিরিয়েন্স নিয়ে চন্দন বললেন, “লকডাউনের আগে ওটা লাস্ট শুট করেছিলাম। ওখানকার কো-অ্যাক্টরদের একটা গ্রুপ আছে। আমরা গল্প করি। লকডাউনে রোজ গল্প হত। ইনফ্যাক্ট ববি দেওল আমার বড় ভাইয়ের মতো। লকডাউনেও প্রায় রোজ ফোন করে খোঁজ নিতেন, কিছু লাগবে কিনা। কাজটাও ভাল লেগেছে সকলের আবার আমাদের বন্ধুত্বও হয়ে গিয়েছে, এটা সব সময় হয় না।” এর পার্ট টু-ও আসবে সে ইঙ্গিত দিলেন অভিনেতা।
সৌকর্য ঘোষালের ‘রক্তরহস্য’ এবং মধুজা মুখোপাধ্যায়ের ‘ডিপ সিক্স’ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। লকডাউনে তিন, চারটে স্ক্রিপ্ট লেখা শেষ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছরের মাঝামাঝি শুটিং শুরু করতে চান। ‘কালী সিজন থ্রি’-এর শুটিংয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে কলকাতা আসতে পারেন চন্দন।
লকডাউনের মধ্যেই বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এমন একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে, যার অভিঘাত এখনও খবরের শিরোনামে। সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল প্রয়াণ। ইন্ডাস্ট্রির এত দিনের সদস্য হিসেবে গোটা ঘটনাটি কীভাবে দেখছেন চন্দন? তাঁর সাফ জবাব, “আমার মনে হয় বিষয়টা এখন আউট অব কন্ট্রোল। যা নিয়ে কথা হওয়া উচিত ছিল তা নিয়ে নয়, এখন অন্য কিছু নিয়ে কথা হচ্ছে। ডিপ্রেশন বা মেন্টাল ইলনেস কিন্তু পায়ে ব্যথা বা মাথা ব্যথার মতো নয়। এটা নিয়ে বাঁচা সত্যিই কঠিন। এটা যে কোনও মানুষের সঙ্গে হতে পারে। এটা নিয়ে কোনও কথা আর হচ্ছে না।”
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!