ছোটবেলা থেকে চুল নিয়ে আমার একটা খুঁতখুঁতুনি ছিল। আর তাই আমার মা প্রাকৃতিক উপায়েই আমার চুলের যত্ন (haircare with hibiscus flower leaf and oil) নিত। তবে আমার চুল কোনও কালেই কালো ছিল না। আমার চুলের রং প্রথম থেকেই একটু গোল্ডেনের দিকে। তাই চুল কালো করার জন্য মা এই টোটকা-সেই টোটকা ব্যবহার করত। মনে পড়ে, সব থেকে বেশি জবা ফুল আর জবা গাছের পাতা ব্যবহার করত চুল কালো করার জন্য।
চুলের বৃদ্ধি, খুশকি তাড়ানো, চুল কালো করা, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল-ঝলমল চুলের জন্য জবা ফুলের তেল খুবই উপকারী। কারণ জবা ফুলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ আর সি। যা স্ক্যাল্পের বিভিন্ন সমস্যায় দারুণ কাজ দেয়। দেখে নিন কি কি ভাবে জবা ফুল কাজে লাগে আমাদের
১। চুলের অকালপক্কতা রোধ করতে – অকালে চুল পেকে যাওয়া অন্যতম বড় সমস্যা। এই সমস্যা ঠেকাতেও জবা ফুল অত্যন্ত উপকারী। এর জন্য কয়েকটি জবা ফুল শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এ বার জবা ফুলের গুঁড়ো টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে তার মধ্যে জবা ফুলের তেল (haircare with hibiscus flower leaf and oil) দিন। ভাল করে সব কিছু মিশিয়ে নিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মাসাজ করুন। কিছু ক্ষণ রেখে ইষদুষ্ণ গরম জলে চুল ধুয়ে ফেলুন।
২। চুল ঘন করে – অল্প পরিমাণে জবা ফুলের তেল নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমতো কারি পাতার পাউডার যোগ করে ফুটিয়ে নিন। তেলটা ভাল গরম হয়ে গেলে সেটি স্ক্যাল্পে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলে।
৩। চুল লম্বা করতে – বেশ কয়েকটা জবা ফুল ও জবা পাতা নিয়ে (haircare with hibiscus flower leaf and oil) ভাল করে ধুয়ে তা পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার একটি পাত্রে এক কাপ মতো নারকেল তেল নিয়ে জবা ফুলের পেস্ট দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। কিছু ক্ষণ ঢেকে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এই মিশ্রণ চুল ও স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। এটা মেখে সারা রাত রেখে দিলে ভালো হয়। পরের দিন মাইল্ড শ্য়াম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণ একটি এয়ারটাইট জারে ভরে রেখে দিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। চুল বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চুলে পুষ্টিও জোগায়।
৪। প্রাকৃতিক হেয়ার ক্লেনজার হিসেবে – ক্লিনজিং ন্যাচারাল শ্যাম্পু তৈরি করতেও লাগে জবা ফুল। আর বাড়িতেই সহজে বানিয়ে ফেলা যায় এই শ্যাম্পু। কারণ ফুল আর পাতায় রয়েছে ক্লিনজিংয়ের উপাদান। একটি বড় জারে আধ কাপ গরম জল আর তাজা জবা ফুলের পাপড়ি ও পাতা ফেলে দিন। কিছু ক্ষণ মানে ওই ১০-১৫ মিনিট মতো রেখে দিন। এ বার ওই মিশ্রণ ব্লেন্ডারে দিয়ে একেবারে মিহি করে পেস্ট বানিয়ে নিন। মনে রাখবেন, মিশ্রণটি যেন কোনও রকম ভাবে দলা পাকানো না থাকে। এ বার এই পেস্টের মধ্যে আধ চা-চামচ অলিভ অয়েল, আধ চা-চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার এই পেস্ট চুল ও স্ক্যাল্পে মাসাজ করে কিছু ক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৫। সুস্থ স্ক্যাল্পের জন্য – চুল আর স্ক্যাল্প ভাল রাখতেও নজর দেওয়া উচিত। ৫-৬ চামচ জবা ফুলের তেলের (haircare with hibiscus flower leaf and oil) সঙ্গে সমপরিমাণ আমলা পাউডার মেশান। তাতে অল্প লেবুর রস দিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি এ বার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। ৪০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুলটা ধুয়ে ফেলুন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!