ADVERTISEMENT
home / ওয়েলনেস
রাতেও কাজ করছেন? কী কী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন

রাতেও কাজ করছেন? কী কী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন

আচ্ছা কবে থেকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন বলুন তো? মনে নেই তো? সেটাই স্বাভাবিক। এই মুহূর্তে চার দিকে এমন পরিস্থিতি যে অফিসে না গিয়ে বাড়ি থেকেই কাজ করছেন সবাই। আর এই বিষয়টা কত দিন চলবে আমরা কেউই জানি না। ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার ফলে আমাদের অনেককেই রাত জেগেও কাজ করতে হচ্ছে আর সেখান থেকে নানা ধরণের শারীরিক ও মানসিক সমস্যাও তৈরি হচ্চে। কিন্তু কাজ না করে তো উপায় নেই। তবে নাইট শিফটে কাজ করেও কীভাবে শরীর ও মন ঠিক রাখা যায়, সে পথের সন্ধানই আজ আমরা আপনাকে দেব (how to cope up with physical and mental hazards while working at night)

রাতে কাজ করলে যে ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়

রাতে ঘুমনোটা আমাদের কাছে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। সেখানে হঠাৎ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে অসুবিধে হবেই।

দীর্ঘদিন নাইট শিফট করলে রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।হতে পারে হার্টের সমস্যাও।

মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে রাতের শিফটের ফলে হরমোনজনিত রোগ দেখা দিতে পারে। রাত জাগলে হরমোনের গতিবিধি পাল্টে যায়। যার ফলস্বরূপ দেখা দিতে পারে ডায়বেটিস ও ওবেসিটি।

ADVERTISEMENT

যেহেতু আপনি রাতে অফিসে থাকেন তাই বেশিরভাগ সময় রাতের খাবার বাইরেই খেতে হয়। এর থেকে হতে পারে গ্যাস, অম্বলের মতো পেটের সমস্যা।অনেকেই নিজেকে জোর করে জাগিয়ে রাখার জন্য অনেকবার চা, কফি বা ধূম্রপান করেন। এর কুফল হয় দীর্ঘস্থায়ী।

যারা রাতে কাজ করেন তারা স্বভাবতই দিনে বেরনোর শক্তি ও আগ্রহ দুটোই হারিয়ে ফেলেন। দিনের আলোয় বাইরে না বেরনোর ফলে তাদের শরীরে ভিটামিন ডির অভাব দেখা দেয়।তাছাড়াও রাতে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা এসির মধ্যে থাকাটাও ক্ষতিকর। (how to cope up with physical and mental hazards while working at night)

আপনি দিনের পর দিনে রাতে বাড়ি থাকছেন না। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না বা নিজের বিছানায় নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছেন না এটা ভেবে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন।

চিন্তা নেই, সমাধানও রয়েছে

দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমোলে তবেই আপনি রাতে কাজ করার এনার্জি পাবেন।

ADVERTISEMENT

যেহেতু আপনি রাতে কম্পিউটারে কাজ করেন দিনের বেলা যতটা সম্ভব ল্যাপটপ, মোবাইল বা অন্যান্য যন্ত্র এড়িয়ে চলুন।

যখনই সময় পাবেন কাছেপিঠে বেরিয়ে আসুন। পরিবার ও সন্তানকে বেশি করে সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারুন। অফিসেও সবার সঙ্গে মাঝে মধ্যে হাল্কা হাসি ঠাট্টা করুন। আইপ্যাড বা ফোনে গান ভরে নিয়ে যান। কাজ করতে করতে শুনতে পারেন।

প্রচুর পরিমাণে জলপান করুন। শরীরকে যথা সম্ভব ভিতর থেকে আর্দ্র রাখুন। বাড়ি থেকে অল্প তেল মশলায় রাঁধা খাবার নিয়ে অফিস যান। কফির বদলে গ্রিন টি খান। সিগারেট কম পান করুন।

চল্লিশ পেরলে নাইট শিফটে না বলুন। (how to cope up with physical and mental hazards while working at night)

ADVERTISEMENT

একভাবে চেয়ারে বসে টানা কাজ করে যাবেন না। মাঝে মাঝে বসার পোজিশান পাল্টে দিন। এক আধ ঘণ্টা পর পর অফিস করিডরে হেঁটে আসুন। পারলে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে নিন। চোখে জলের ঝাপটা দিন।

যদি শনি রবিবার ছুটি থাকে তাহলে কোনও ডান্স বা যোগব্যায়ামের ক্লাসে ভর্তি হয়ে যান। বা এমন কিছু শিখুন যা আপনার ভালো লাগে। এতে পাঁচজনের সঙ্গে আলাপ পরিচয় বাড়বে এবং মনও ভালো থাকবে।

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!      

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

ADVERTISEMENT
12 Jan 2022

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT