পুজো শেষ তো কী হয়েছে? তাই বলে কি আর শাড়ি কিনবেন না? সামনেই বিয়ের মরসুম আছে, দিওয়ালি আছে, নতুন বছর আছে আরও কত কী আছে। আর কিছু না থাকলেও শাড়ি (saree) কেনার ইচ্ছে আছে, সেটাকে তো আর পাথর চাপা দিয়ে রাখা যায় না! এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে এত দাম দিয়ে শখ করে যে জিনিসটা কিনছেন সেটা যদি নকল (fake) হয়, তা হলে তো খুব মুশকিল। একদম ঠিক ধরেছেন, আমি বলছি নকল শাড়ির কথা। আপনি ধরতেও পারবেন এত সূক্ষ্মভাবে আসল শাড়ির ডিজাইন আর রং কপি করা হয়। আপনি এদিকে নিজের পিঠ চাপড়ে নিজেকেই বাহবা দিয়ে ভাবলেন যে নানা রকমের শাড়ি আপনি দেখলেই চিনে নিতে পারেন। তবে আসল সত্যিটা বোধ হয় অন্য। তাই আপনি যাতে ভবিষ্যতে আর না ঠকেন, তার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি এমন কিছু সহজ টিপস, যেগুলো মেনে চললে আপনি চট করে আসল নকলের তফাত করতে পারবেন।
১) যে-কোনও হ্যান্ডলুম শাড়ি কেনার সময় দেখে নেবেন তাঁদের কাছে সরকারের স্বীকৃতি আছে কিনা। অর্থাৎ তাঁরা ক্রাফট মার্ক বা সিল্ক মার্ক সহ শাড়ি বিক্রি করছেন কিনা। কোনও ছোট ব্যবসায়ী বা ব্যক্তিগতভাবে কারও কাছ থেকে কিনলেও সেটা করবেন।
২) লখনউ চিকন কেনার সময় আমরা সবাই এটাই প্রত্যাশা রাখি যে এই বিশেষ সেলাই হাতে করা হবে। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন যে সেলাই হাতে করা হয়েছে নাকি মেশিনে? তাহলে জেনে রাখুন যদি সেলাই হাতে করা হয় তাহলে সেখানে ফ্রেঞ্চ নট, শ্যাডো স্টিচ ও ক্রিসক্রস এমব্রয়ডারি দেখা যাবে। মেশিনে এই সব স্টিচ করা যায় না।
৩) পটোলা শাড়ির আসল নকল চেনা খুব কঠিন। কারণ নকল পাটোলাতেও এত সুন্দর বুনন শৈলী দেখা যায় যে সহজে তফাৎ বোঝা যায় না। তবে গাইড করার জন্য এটুকু বলতে পারি গুজরাতের পাটোলা হয় খুব রংচঙে এবং উজ্জ্বল। তাই ফ্যাকাসে রঙের কোনও শাড়ি দেখালে সেটা একদমই কিনবেন না।
৪) অসম সিল্ক তৈরি হয় মুগা, পাট আর এরি সুতো দিয়ে। পাটের তৈরি অসম সিল্ক খুব নরম হয়। এর উপরে হাত বোলালেই আপনি এর তুলতুলে ভাব বুঝতে পারবেন। কোন অসম সিল্ক তাঁতে বোনা আর কোনটা মেশিনে সেটা বুঝে নেওয়ার একটা সহজ উপায় আছে। শাড়ি উল্টে দেখুন। হাতে বোনা শাড়ির লকিং সিস্টেম খুব এলোঝেলো হয় কিন্তু মেশিনে বোনা শাড়ির উল্টো দিকও সমান হবে।
৫) অসম শাড়ি চিনে নেওয়ার আরও একটা উপায় বলে দিচ্ছি। হাতে বোনা অসম শাড়ির বর্ডার আলাদা করে বোনা হয় এবং পরে শাড়ির সঙ্গে সেলাই করে দেওয়া হয়।
৬) ব্লক প্রিন্টেড শাড়ি কেনার সময় দেখবেন এখানে সেখানে রঙের ছিটে আছে কিনা। যদি থাকে এবং সব ক’টা প্রিন্ট যদি এক রকম না হয় তবেই সেটা প্রকৃত অর্থে হ্যান্ড ব্লক প্রিন্টেড। মেশিনে প্রিন্ট করলে কোথাও রং লাগবে না এবং একই রকম দেখতে হবে।
৭) আসল আর নকল বেনারসি দেখতে গেলেও আপনাকে শাড়ি উল্টে দেখতে হবে। আসল বেনারসির পিছন দিকেও ঘন সুতো দেখা যায় যেটা নকল বেনারসিতে থাকে না।
৮) বেনারসি চেনার আরও একটি উপায় হল যে আসল বেনারসিতে সব সময় আঁচলের দিকে ছয় থেকে আট ইঞ্চি লম্বা প্লেন সিল্কের প্যাচ থাকে। এটা নকল বেনারসিতে থাকে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…