হ্যাঁ, সত্যিই তাই। কারণ, এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং সালফার যেখানে স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, সেখানে রসুনে মজুত সেলেনিয়ম, চুলের গোড়ায় (how to use garlic to prevent hairfall) রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়ে হেয়ার ফলের মাত্রা কমায়। সঙ্গে খুশকির প্রকোপ যেমন কমে, তেমনই কোলাজেনের উৎপাদনও বেড়ে যায়। যে কারণে চুলের ঘনত্ব তো বাড়েই, সঙ্গে জেল্লাও বাড়ে চোখে পড়ার মতো। কিন্তু প্রশ্ন হল, হেয়ার ফল কমাতে রসুনকে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে, সে সম্পর্কে জানা আছে কি? জানা না থাকলে জেনে নিন আমাদের কাছে থেকে।
কিভাবে হেয়ারফলের মোকাবিলা করে রসুন?
আট-দশটা রসুনের কোয়া নিয়ে ভাল করে বেটে পেস্ট বানিয়ে ফেলতে হবে। তারপর সেই পেস্ট, স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মিনিটদেশক মাসাজ করে গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে বারতিনেক এই ভাবে চুলের যত্ন নিলেই হেয়ার ফল কমবে চোখে পড়ার মতো।
তবে হেয়ার ফল কমাতে আরেক ভাবেও রসুনকে কাজে লাগানো যেতে পারে। রসুনের কোয়ার পেস্ট তৈরি করে নিয়ে তার থেকে রসটা সংগ্রহ করে নিতে হবে। এবার সারা চুলে গোলাপ জল লাগিয়ে কম করে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে পরিমাণ মতো রসুনের রস নিয়ে তা চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মিনিটপাঁচেক মাসাজ করতে হবে। আধ ঘণ্টা পরে চিরুনি দিয়ে ভাল করে চুলটা আঁচড়ে নিয়ে হালকা গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এর মিনিটপনেরো পর পছন্দমতো কন্ডিশনার লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে আর একবার চুল ধুয়ে নিতে ভুলবেন না যেন! সপ্তাহে বারদুয়েক এভাবে চুলের যত্ন নিলে হেয়ার ফল মাত্রা (how to use garlic to prevent hairfall) তো কমবেই, সঙ্গে চুলের ঘনত্বও বাড়বে।
তবে এক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন ধরুন,
১। স্ক্যাল্পে কোনও ক্ষত থাকলে রসুনের পেস্ট বা রস লাগানো উচিত নয়।
২। যদি স্ক্যাল্পে খুব তৈলাক্ত হয়, তা হলে তেলের ব্যবহার কমাতে হবে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র রসুনের রস লাগালেই উপকার মিলবে।
ঘরে তৈরি করে ফেলুন রসুনের তেল
চটজলদি হেয়ার ফল কমাতে চান? তা হলে আট কোয়া রসুন এবং মাঝারি মাপের একটা পেঁয়াজ নিয়ে মিক্সিতে ফেলে পেস্ট তৈরি করে ফেলুন। এবার একটা বাটিতে হাফ কাপ নারকেল তেল নিয়ে মিনিটদুয়েক গরম করে তাতে রসুন এবং পেঁয়াজের পেস্টটা মিশিয়ে ততক্ষণ তেলটা গরম করুন, যতক্ষণ না পেঁয়াজ-রসুনের পেস্টটা খয়েরি রং নিচ্ছে। এবার মিশ্রণটা ছেঁকে নিয়ে সেই তেল চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মিনিটপনেরো মাসাজ করুন। আধ ঘণ্টা পরে ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে বারতিনেক এই তেল চুলে লাগালে উপকার মিলতে সময় লাগবে না।
অ্যান্টি হেয়ারফল তেল
মিক্সিতে আটটা রসুনের কোয়া এবং একটা দুই ইঞ্চির আদার পিস ফেলে ভাল করে পিষে নিন। এবার একটা বাটিতে হাফ কাপ রেড়ির তেল নিয়ে মিনিটদুয়েক গরম করার পরে তাতে আদা-রসুনের পেস্টা মিশিয়ে ততক্ষণ গরম করতে হবে, যতক্ষণ না পেস্টটা খয়েরি রং নিচ্ছে। এবার আঁচটা বন্ধ করে মিশ্রণটা ছেঁকে নিয়ে তেলটা একটা শিশিতে সংগ্রহ করে নিন। এই তেল স্ক্যাল্পে লাগিয়ে যদি নিয়মিত মিনিটপনেরো মালিশ করা যায়, তা হলে উপকার মিলবে হাতে-নাতে! তবে খেয়াল করে মালিশ করার পরে (how to use garlic to prevent hairfall) আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ভাল করে চুলটা ধুয়ে নেবেন।
অ্যান্টি হেয়ারফল মাস্ক
আটটা রসুনের কোয়া থেকে সংগ্রহ করা রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে নিতে হবে, যাতে দুটি উপাদান ভাল করে মিশে যাওয়ার সুযোগ পায়। এবার সেই মিশ্রণটি চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মিনিটকুড়ি অপেক্ষা করার পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সব শেষে কান্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না যেন! সপ্তাহে বারতিনেক এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে মালিশ করলে হেয়ার ফলিকল এতটাই শক্তপোক্ত হয়ে যাবে যে হেয়ার ফল তো কমেই, সঙ্গে চুলের আর্দ্রতা বাড়ার কারণে জেল্লাও বাড়বে চোখে পড়ার মতো।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!