কথায় বলে, বলিউড নাকি আসলে একটি সুবৃহৎ পরিবারের মতো। এখানে চোপড়ারা হলেন কপূরদের মামাতো ভাই, কপূররা আবার বচ্চনদের সম্বন্ধী, খন্নারা ভাটিয়াদের, ভবনানিরা কপূরদের, খানরা আজমিদের, সে এক মহা গোলানো ব্যাপার। তা এমনিতেই এঁরা খাঁটি ভারতীয় পরিবারের মতোই অনেকে অনেককে সহ্য করতে পারেন না। সুযোগ পেলেই বংশদণ্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, অনেকের সঙ্গে তো অনেকের বহুকাল যাবৎ কথা পর্যন্ত নেই, কিন্তু বিয়েশাদি হলে এঁরা সব শত্রুতা, কাজ, শুটিং শেডিউল, ছবির রিলিজ ভুলে এক্কেরে ঝাঁপিয়ে পড়েন! তখন তাঁরা মেহন্দিতে হাত নিয়ে বসে পড়েন ডিজাইন করতে, সঙ্গীতে ধেই ধপাধপ নাচেন, বিয়েতে ডিজাইনার পোশাকে সজ্জিত হয়ে হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দেন!
ঠিক এমনটাই হয়েছে আরমান জৈনের (Armaan Jain) বিয়ের (Wedding) সময়। গত কয়েক হপ্তা ধরে। নিন, এবার মনে হচ্ছে তো, এই আরমান জৈন কে? না, না, ইনি গান-টান গান না। তিনি অন্য একজন। ইনি হলেন রাজ কপূরের অগুনতি নাতির মধ্যে একজন। কপূর সাহেবের ছোট কন্যে রীমা জৈনের বড় ছেলে। এই রীমা জৈন আবার করিশমা-করিনার (Karishma and Kareena) ফেভারিট পিসিমণি। এককালে শোনা গিয়েছিল, সইফ নাকি আরমানকে নিজের প্রোডাকশন হাউজ ইলুমিনাতি ফিল্মসের ব্যানারে লঞ্চও করবেন। অবিশ্যি সেটা এখনও হয়ে ওঠেনি। সইফের নিজের কেরিয়ারেরই নেতিয়ে পড়া হালত, তো…যাক গে, এই আরমান জৈন গতকাল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন জনৈকা অনিসা মলহোত্রর সঙ্গে, মুম্বইয়ে। তা এঁদের বিয়ে তো আর আমাদের সাধারণ মানুষদের মতো বিয়ে-বাসি বিয়ে-বউভাতে খতম, তা নয়। এঁরা রইয়ে-সইয়ে-কষিয়ে বিয়ে করেন। প্রথমে হয়েছিল রোকা, সেখানে করিনা কপূর বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টে জনসমক্ষে বসে সেজেগুজে পৌঁছে একেবারে ধুম মচিয়ে দিয়েছিলেন। এবার গত তিনদিন ধরে মেহন্দি-সঙ্গীত ইত্যাদির পর গতকাল রাত্তিরে চার হাত এক হয়েছে।
এই রিসেপশনে যথারীতি পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় গোটা বলিউড। কপূররা তো ছিলেনই। শ্বশুরবাড়ি বলে কথা, শালার বিয়েতে ছেলেকে ঘাড়ে নিয়ে বেদম নেচেছেন সইফ আলি খানও। ছিলেন অমিতাভ-জয়া, অভিষেক-ঐশ্বর্যা-আরাধ্যা, অনিল কপূর ও সম্প্রদায়, সপরিবারে চাঙ্কি পাণ্ডে, জৈন বাড়ির হলেও হতে পারেন ছোট বউমা তারা সুতারিয়া, কনের ছোটবেলার বন্ধু কিয়ারা আডবাণী, নীতা অম্বানি-ইশা অম্বানি পিরামল, আকাশ ও শ্লোকা অম্বানি, অনিল-টিনা অম্বানি, মেজো ও ছোট খান ভাই মানে আরবাজ ও সোহেল খান মাকে নিয়ে, সঞ্জয় কপূর তার ফিনফিনে মেয়ে শনায়াকে নিয়ে…তবে যে যা-ই বলুন, সকলে যত ঝলমলিয়ে সেজে আসার চেষ্টাই করুন, ঘন নীল শেরওয়ানিতে বাজি মেরে বেরিয়ে গিয়েছে একজনই। সে তৈমুর আলি খান পতৌদি (Taimur Ali Khan Pataudi)। বাবার কাঁধে চেপে মামার বরাতে নেচে আর মায়ের দিকে গর্বভরা চোখে ফোটোশুট করে খোকা বুঝিয়ে দিয়েছে তাকে নিয়ে লোকে মিছে হ্যাংলামো করে না!
এখানে রইল সেই চোখধাঁধানো রিসেপশনের একগুচ্ছ ছবি ও ভিডিয়ো…
দেখা যায়নি শুধু রাজ কপূরের প্রয়াত বড় মেয়ে ঋতু নন্দার পরিবারকে। কিছুদিন আগেই ঋতু স্বর্গবাসী হয়েছেন ক্যান্সারে রোগভোগের পর। তাই তাঁর ছেলে নিখিল নন্দা, বউমা শ্বেতা এবং নাতি-নাতনি অগ্যস্ত ও নব্যনভেলি।
আর শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও একেবারে মাঝরাতে এন্ট্রি নিয়েছেন রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্ট, এক্কেবারে ফিল্মি স্টাইলে…
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!