আজ আপনাদের সঙ্গে একটা মজার স্মৃতি ভাগ করে নিই। যখন ছোট্টটি ছিলাম, প্রথম বড় দিদিকে দেখেছিলাম স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে। বাচ্চারা তো এমনিতেই কৌতূহলী হয়, আমি ছিলাম আবার এক কাঠি উপরে। টুক করে দু’-একটা ন্যাপকিন (sanitary napkin fun facts) সরিয়ে রেখে দিয়েছিলাম পুতুলের বাক্সে! আসলে আমার মনে হয়েছিল, এটা পুতুলদের জন্য বেশ ভাল বিছানা হতে পারে…
এমন ঘটনা যে কেবল আমার জীবনেই ঘটেছে তা কিন্তু নয়। ভেবে দেখুন, ছোটবেলায় সত্যিই এই স্যানিটারি ন্যাপকিন বস্তুটি কতই না আজব লাগত! তাই না আর এটা নিয়ে অদ্ভুত, হাস্যকর ধারণাও (sanitary napkin fun facts) জন্ম নিত। কি, আরও একবার ছোটবেলায় ফিরে যাবেন নাকি?
সব সময়েই কেমন যেন একটা লুকোচাপা ব্যাপার
১। স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনে দেখাত নীল জল খুব দ্রুত শুষে নিচ্ছে প্যাড। ভাবতাম, স্কুলে যদি টয়লেট যাওয়ার অনুমতি না দেয়, তা হলে ওখানেই…করে ফেললে নো চিন্তা! ইসসস…
২। প্রথম যখন তুলোয় ঠাসা ন্যাপকিন দেখেছিলাম, ভেবেছিলাম, ওটা দেওয়ালে আটকে বোধ হয় ঘর-টর সাজানো হয়। যেমন স্কুলের ক্রাফট হয় আর কী! একবার চেষ্টাও করেছিলাম। তার ফল যা ভয়ঙ্কর হয়েছিল…তখন মোবাইল ফোন ছিল না, থাকলে নিশ্চয়ই দিদি ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্টাত!
৩। আমি তো ছোটবেলায় একবার এটাও ভেবেছিলাম যে, যারা অফিস যায় (ছেলেরাও), স্কুলে-কলেজে যায়, তাদের যখন পেট খারাপ হয় তারা এটা পরে বসে থাকে। আর এই ধারণার জন্য দায়ী আমার নিজের দিদি! কীরকম পাজি একবার ভাবুন। যখনই ওকে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে দেখতাম (sanitary napkin fun facts), জিজ্ঞেস করলেই ভালমানুষের মতো মুখ করে বলে দিত, ওর নাকি ফুচকা খেয়ে পেট খারাপ হয়েছে, তাই পরছে। বোঝো কাণ্ড! আমার বাপু সাদা মনে কাদা নেই। ভাবতাম, আহা রে বেচারা পেটরোগা। ওর উপর বিশ্বাস করে আমি নিজেও তো একবার পেট খারাপের দিনে স্কুলে ওটা নিশ্চিন্তে নিয়ে গিয়েছিলাম। তার পরের গল্পটা জানতে চেয়ে আর লজ্জা দেবেন না প্লিজ!
৪। একবার হল কী, স্কুলের টিফিনে আমরা নিজেদের মধ্যে একটা পিকনিক করব বলে ঠিক করলাম। সুনয়না কোত্থেকে ওর মায়ের দুটো স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে এসে হাজির। খুব গম্ভীর মুখ করে বলল, “এটা দিয়ে প্রথমে থালাগুলো পরিষ্কার করব, তারপর খাওয়া হয়ে গেলে হাত মুছে ফেলে দেব!” এগুলো নাকি এই জন্যই ব্যবহার করা হয়, এমনটাই ওর মা তখন বলেছিলেন!
৫। সাদা ড্রেসের সঙ্গে কী সুন্দর ম্যাচ খায় না স্যানিটারি ন্যাপকিনের রঙ? এই ভেবেই আমার এক বন্ধু নার্সারিতে ওটা কোমরের বেল্টে বেঁধে এসেছিল!আমরাও বোকার হদ্দ। ও নতুন কিছু একটা করেছে বলে কতই না বাহবা দিলাম। আবিশ্যি প্রতি ক্লাসেই বয়সের তুলনায় এঁচোড়ে পাকা দু’-একটা মেয়ে থাকে। তারা একটু ভুরু কুঁচকে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। তাতে আমার সেই ফ্যাশনিস্তা বন্ধু বিজ্ঞের মতো বলল, স্টাইল করেছি, স্টাইল (sanitary napkin fun facts)! হে ভগবান আমাকে তুলে নাও!
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!