ছোটবেলায় বাড়িতে কেউ আসুক বা আমি কোথাও যাই, লোকে এসে আমার গাল টিপে দিত। এমনকি যখন কলেজে যেতাম, তখনও বন্ধুরা গাল টিপে দিত। আসলে আমার বরাবরই বেবি স্কিন, মানে নরম তুলতুলে আর কি! আর মা আমার স্কিনের এতটাই যত্ন নিতেন ছোটবেলা থেকেই, যে কোনও দিনই আমার সেরকম একটা স্কিনের সমস্যা হয়নি। (skin care regime for women after 35 years)
তবে ইদানিং একটু ত্বক নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। মাঝে মাঝে একটা দু’টো ব্রণ বেরচ্ছে আর স্কিনটা একটু খসখসেও হয়ে গেছে। আসলে বয়সটা ৩৫ পেরিয়েছে আর সেই জন্যই এই সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে।
অনেকেরই ৩৫ বছর বয়সের পর নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের বয়স বাড়াই যে একমাত্র কারন, তা কিন্তু নয়। নিয়মিত নানা ধরনের কসমেটিক ব্যাবহার, মেকআপ লাগানো, দূষণ, ধুলো এবং স্ট্রেস – এগুলো থেকেও ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। তবে কয়েকটা বিষয় একটু মেনে চললে কিন্তু ৩৫ বছরেও আপনার ত্বকের সমস্যা থেকে আপনি অনায়াসে মুক্তি পেতে পারেন। (skin care regime for women after 35 years)
CTM-এ ফাঁকি নয়
CTM অর্থাৎ ক্লেনজিং , টোনিং আর ময়শ্চারাইজিং – এই রুটিনটা নিয়ম করে ফলো করতে হবে। কম বয়সে বেশিরভাগ মহিলাই এই রুটিনটা মেনে চলেন না। কিন্তু ৩৫ বছর বয়সের পরে যেহেতু ত্বকের বাইন্ডিং আলগা হতে থাকে এবং তার ফলে স্কিন লুস হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে, তাই এই CTM রুটিন ফলো করাটা খুব জরুরি। আর বয়স ৩৫ পেরলে অবশ্যই রাতে রেটিনলযুক্ত প্রোডাক্ট লাগিয়ে তারপরেই ঘুমোতে যাবেন।
ত্বক অনুযায়ী স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট
বেশিরভাগ সময়েই আমরা বিজ্ঞাপন দেখে অনেক নতুন নতুন বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার করি যার মধ্যে ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে। আবার অনেক সময়েই দেখা যায় যে অনেকে জানেনই না যে তাদের স্কিন টাইপ কি, অর্থাৎ তাদের ত্বক তেলতেলে নাকি শুষ্ক নাকি মিশ্র। অথচ, কিছু একটা বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ফেলছেন যেটা হয়ত তার স্কিন টাইপের সাথে ম্যাচই করে না। সব সময়ে নিজের ত্বকের ধরন জেনে তারপর স্কিন কেয়ার ও মেকআপের সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন। চেষ্টা করুন হারবাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে। প্রয়োজনে ডারমেটোলজিস্টের পরামর্শ নিন। (skin care regime for women after 35 years)
কী খাচ্ছেন কী খাচ্ছেন না
আমরা অনেকেই সারাদিন ধরে প্রচুর জাঙ্কফুড খাই। এর প্রভাব কিন্তু আমাদের ত্বকের উপরে পড়ে, বিশেষ করে মুখের স্কিনে। লিভারের সমস্যা থাকলেও কিন্তু তা থেকে স্কিনের নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন ব্রণ, অ্যাকনে ইত্যাদি। আবার অনেকের ধূমপান করা বা অ্যালকোহল পান করার অভ্যাস থাকে, সেক্ষেত্রেও কিন্তু স্কিনের নানা সমস্যা দেখা যায়। শরীর ডিটক্স করার পরে কিন্তু আপনার ত্বকেরও ঔজ্জ্বল্য বাড়ে এবং সেটা চোখেও পড়ে। বেশি করে ফল খান, শাক-সব্জি এবং জল খান।
ফেশিয়াল নিয়ে কোনও মিথ নয়
বয়স ২৫ পেরলেই আমরা সবাই ফেশিয়াল করাই। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে এবং স্কিন টাইট রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে ফেশিয়াল করানোটা খুব জরুরি। কারন, এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়েনা। কিন্তু যখন ফেশিয়াল করাবেন, খেয়াল রাখবেন যিনি মাসাজ করছেন, তিনি যেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন, কারন অনেকেই ফেশিয়াল মাসাজ জানেন না এবং ভুলভাল স্ট্রোকে মাসাজ করেন যার ফলে স্কিনের ভাল হওয়ার থেকে ক্ষতি বেশি হয়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!