আমার জীবনে যাই ঘটে যাক, তার সঙ্গে শেয়ার না করলে আমার মনে শান্তি হয়ই না। বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি! আমার বেস্টফ্রেন্ডের সঙ্গে যদি আমি কোনও ঘটনা শেয়ার না করি তাহলে আমার মন ভাল লাগে না। কিন্তু আমরা একে অপরের থেকে দূরে থাকি। মানে কখনও ও অন্য জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায় তো আমি অন্য শহরে কাজে ব্যস্ত থাকি। এছাড়া নিজেদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবন তো আছেই। তাই আমাদের মধ্যে একটু দূরত্বও তৈরি হয়ে যায় বৈ কী (relationship with your bestie)।
মন মালিন্য চলে, এদিকে মুখে বলতেও পারি না। কারণ, সময়ের জন্য একে অপরকে দোষও দিতে পারি না। আপনারও কি এই গল্প চেন লাগছে? মন খারাপ করবেন না। আমরা কিন্তু নিজেদের মধ্যে দূরত্ব নিজেরাই মিটিয়ে নিই। শুধু কয়েকটা পদ্ধতি অবলম্বন করলেই কিন্তু বেস্টফ্রেন্ডের সঙ্গে দূরত্ব মিটিয়ে নিতে পারবেন। তার কয়েকটা পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।
দুজনের জন্য কোন সময় ঠিক হচ্ছে, তা ঠিক করুন
ঠিক আছে, কারও ঠিকঠাক সময় হচ্ছে না। আজ আপনি ব্যস্ত তো কাল আপনার বেস্টফ্রেন্ড বা প্রিয় বন্ধু ব্যস্ত (relationship with your bestie)। যতবার দেখা করার জন্য একটা দিন নির্দিষ্ট করছেন ততবার কোনও না কোনওভাবে হচ্ছে না। এর জন্য একে অপরের উপর একটু রাগ হচ্ছে। মনে মনেই তৈরি হচ্ছে দূরত্ব। কিন্তু এভাবে আর থাকবেন না। বরং, একে অপরের সঙ্গে মন খুলে কথা বলে নিন। একটা দিন ঠিক করুন, যেদিন আপনারা কেউই কোনও কাজ রাখবেন না। সেই দিনে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাবেন। তাহলেই দেখবেন পুরনো দিনের কথা মনে পড়বে, একে অপরের সঙ্গে সময় ভাল কাটবে আপনার।
কথা বলুন
আমরা অনেক সময় আমাদের খারাপ লাগার কথা একে অপরকে জানাই না। আর এটাই সবথেকে বড় ভুল করি। খারাপ লাগা জমতে জমতে এক সময় পাহাড়ের আকার নেয়। যা কিন্তু দূরত্ব তৈরি করার অন্যতম কারণ। একে অপরের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের খারাপ লাগার কথা খুলে বলুন। দেখবেন সমস্যা অনেকটাই ঠিক হয়ে যাবে। আপনাদের সম্পর্কও অনেক সরল হয়ে যাবে। তখন খোলা হাওয়ায় বিকেল বেলায় কফির সঙ্গে মনের কথা বলতে খারাপ লাগবে না। বেস্টফ্রেন্ডকে লিপস্টিকও উপহার দিতে পারেন।
একটু সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন
সব সম্পর্কেই সময় একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনাকেও সেই কথা মাথায় রাখতে হবে। তা আপনার পরিবারের সঙ্গেই সম্পর্ক হোক কিংবা আপনার বেস্টফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক (relationship with your bestie)হোক। আপনি সেই সম্পর্কে যদি এফর্ট না দেন, সম্পর্ক টিকে থাকবে না। তাই আপনার হাজার কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও সামান্য সময় বের করার চেষ্টা করুন। দিনের শেষে অন্তত একটা ফোন করুন বেস্টফ্রেন্ডকে। একটা মেসেজও পাঠাতে পারেন। আজ যদি আপনি ফোন করেন, কাল দেখবেন তিনি আপনাকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। এভাবেই সম্পর্কটা ঠিক থাকবে।
ভাল মুহূর্তের কথা মনে করুন
সুন্দর ও ভাল মুহূর্ত কিন্তু অনেক কিছু বদলে দেয়। তাই আপনাদের পুরনো কিছু মুহূর্তের স্মৃতির কথা মনে করে দেখুন (relationship with your bestie)। একে অপরের সঙ্গে সেই নিয়ে আলোচনা করুন। আপনি আবেগপ্রবণ হবেনই।
ভাল সময় কাটান
বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে ভাল সময় কাটান। দুজনের পছন্দের খাবারও খেতে পারেন। কোনও বড় জায়গায় খেতে যেতে হবেই এরকম কোনও অর্থ নেই। রাস্তার ধারে ফুচকাও কিন্তু আপনাদের নির্ভেজাল বন্ধুত্বের সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন
#POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন
নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!