বাঙালিদের বিয়ে মানেই কিন্তু বেশ একটা দারুণ ব্যাপার! সেই আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো থেকে শুরু হয় সব অনুষ্ঠান, চলে বউভাতের পর অষ্টমঙ্গলা কাটিয়ে আরও বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে নিমন্ত্রণ পর্যন্ত। তবে সবচেয়ে বেশি মজা হয় কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে! (typical gossips you can hear at any wedding) বিয়েবাড়িতে আত্মীয়-স্বজন বেশ কিছুদিন আগেই চলে আসেন আর সেখানে কিন্তু কাকিমা-জেঠিমা থেকে শুরু করে মাসি-পিসি সকলেই থাকেন। আবার যাঁরা খুউউব ‘লাকি’, তাঁদের বাড়িতে কিছু দূরসম্পর্কের আত্মীয়রাও চলে আসেন বিয়ের ক’দিন আগেই। আর এত জন মহিলা যেখানে একত্রিত, সেখানে একটু পিএনপিসি হবে না, সেটা আবার হয় নাকি? আর এই পরনিন্দা-পরচর্চার বিষয়ও হয় একদম ‘হটকে’! কী-কী বিষয়ে চলে আলোচনা? যদিও জানেন, তবু আর-একবার দেখে নিন…
‘আচ্ছা, অমুকবাবুর মেয়ে এখনও বিয়ে করল না কেন বল তো?’
এই বিষয়টা নিয়ে কিন্তু কাকিমাদের বরাবরই খুব চিন্তা! বয়স ২২ পেরতে না পেরতেই, মেয়ের মা-বাবার যত না চিন্তা তার বিয়ে নিয়ে, বিয়েবাড়িতে আসা কাকিমা-জেঠিমাদের তার চেয়ে অনেক বেশি চিন্তা। “এই শোন না, তোর বয়ফ্রেন্ড আছে নাকি রে?” প্রথমেই তার দিকে ধেয়ে যাবে এই প্রশ্নটি! (typical gossips you can hear at any wedding) যদি উত্তর ‘না’ হয়, তা হলেই কিন্তু কাকিমাদের অন্তরের ‘ঘটক’ সত্তাটি জেগে উঠবে তৎক্ষণাৎ এবং ‘পোটেনশিয়াল’ পাত্রের ফিরিস্তি শোনাতে বসে যাবেন তাঁরা! বেস্ট অফ লাক!
‘সব তো ঠিকই আছে, কিন্তু বিরিয়ানিতে মাংস কম ছিল আর…’
খাবার শুধু কি আর পেট ভরায়? খাবারের উপরে আমাদের মুডও নির্ভর করে! আর বাঙালি বিয়েতে খাবারের মেনুও থাকে দেখার মতো, কি থাকে না? রাধাবল্লভী, ছোলার ডাল, ফিশ ফ্রাই, মাছ, মাংস, পোলাও, বিরিয়ানি – উফ লিখতে গিয়ে আমারই জিভে জল চলে আসছে! এসব খাবার খেয়ে যে কারও মুডই ভাল হয়ে যাওয়ার কথা! কিন্তু বিয়েবাড়িতে অতিথি হয়ে আসা কিছু মানুষের মুখে কিন্তু তবুও সমালোচনা শুনতে পাবেন। ‘ছোলার ডালে যদি আর একটু নারকোল কুচি দিত, তা হলে বেশ জমত ব্যাপারটা’, অথবা ‘হ্যাঁ সব ঠিকই ছিল, কিন্তু রান্নায় নুনটা একটু কম লাগল না?’ – এসব শুনবেন, কিন্তু গায়ে না মাখলেই হল!
‘এই, ওই মেয়েটা কে রে, DJর তালে এত নাচছে?’
অবাঙালিদের দেখাদেখি আজকাল বাঙালিদের বিয়েতেও ‘ডিজেওয়ালে বাবু’কে দেখা যায়, আর শুধুমাত্র নিমন্ত্রিত অথিতিরাই নন, বর-কনেকেও অনেকসময় গানের তালে ঠুমকা লাগাতে দেখা যায়। ব্যস, হয়ে গেল! (typical gossips you can hear at any wedding) যার বিয়ে, সে কিনা একগুচ্ছ লোকের সামনে ধেই-ধেই করে নাচছে? কি অনাসৃষ্টি কাণ্ড বলুন তো! ধুর বাবা! ছাড়ুন তো এসব…যার বিয়ে, তার আনন্দ হয়েছে, সে ডিজের বাজানো গানে নাচছে, বেশ করেছে!
‘গয়না দিয়েছে একগাদা, কিন্তু ডিজাইনের কী ছিরি!’
যে-কোনও বিয়েবাড়িতেই কনের গয়না একটি বিশাল আলোচনার বস্তু। “গয়না তো দিয়েছে ভালই, কিন্তু এঁদের পছন্দ ভাল না, কী খারাপ ডিজাইন! এসব ঠাকুমার আমলের ডিজাইন এখন আর চলে নাকি? নিশ্চয়ই পুরনো গয়না, বুঝলে, পালিশ করে মেয়েকে/বউমাকে দিয়েছে” – এই কথাগুলো যাঁরা বলে থাকেন তাঁদের উদ্দেশ্যে একটা কথা না বলে পারছি না, কোনও মেয়ের বিয়ের সময়ে তার মা-বাবা অনেক কষ্ট করে হলেও নিজের সাধ্যমতো মেয়েকে সাজিয়ে দেন, দয়া করে সেসব নিয়ে সমালোচনা না করে বিয়েবাড়িতে মজা করুন না, ভাল লাগবে!
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও! বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!