এক ঢাল কালো চুলের যুগ বোধ হয় চলে গেছে। কারণ, এখন সকলেই চুল রঙিন করতে চায়। আরে বাবা, এটাই হল এখন লেটেস্ট ফ্যাশন। সোনালি, খয়েরির সীমা ছাড়িয়ে এখন লাল, নীল, বেগুনি পর্যন্ত মাথার চুলে ঠাঁই পেয়েছে। মাঝে-মধ্যে অল্প বিস্তর হাইলাইট করতে যে ভাল লাগে না, তা নয়। কিন্তু একটাই ভয়। যদি চুল নষ্ট হয়ে যায়। আমরা প্রায় প্রত্যেকেই জানি হেয়ার কালারে থাকে অ্যামোনিয়া (ammonia)। এটি যেহেতু একটি ব্লিচ, তাই এটি চুল নষ্ট করে দেয়। আহা, তা বলে কি আপনি চুলে রং (colour) করাবেন না? আলবাত করাবেন। তবে একটু সাবধান হতে হবে। আর তার জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে এমন হেয়ার কালার, যাতে অ্যামোনিয়া নেই। এবার দেখে নেব সেই হেয়ারকালারগুলো (hair) কী কী।
অ্যামোনিয়ামুক্ত হেয়ার কালার ব্যবহারের সুফল
- এই জাতীয় কালার লাগালে চুলের ক্ষতি অনেকটাই কম হবে।
- এটি চুলের কিউটিকলের কোনও ক্ষতি করে না।
- এটি চুল নরম ও উজ্জ্বল রাখে।
- ক্ষতিগ্রস্ত চুলেও এটা ব্যবহার করা যায়।
অ্যামোনিয়ামুক্ত হেয়ার কালার ব্যবহারের কুফল
- এটা ব্যবহার করার পর ফলিকলের গোড়ায় এর রেসিডিউ জমে যায়।
- এর মধ্যে যে রাসায়নিক থাকে সেটি বাষ্পীভূত হতে সময় লাগে।
- এটি ধুয়ে ফেলতে অনেক বেশি সময় লাগে।
- এই জাতীয় হেয়ার কালারে সেই ঔজ্জ্বল্য থাকে না।
সেরা পাঁচটি অ্যামোনিয়ামুক্ত হেয়ার কালার
১) L’Oreal Paris Casting Crème Gloss
বাজারে যে ক’টি অ্যামোনিয়ামুক্ত হেয়ার কালার আছে, এটি তার মধ্যে সেরা। কারণ, এই ব্র্যান্ডটিই বাজারে প্রথম অ্যামোনিয়ামুক্ত হেয়ার কালার নিয়ে আসে। এর মধ্যে কিছু দরকারি প্রাকৃতিক উপাদান আছে, যা চুলের টেক্সচার ভাল করে। তবে এই হেয়ার কালারের রং খুব তাড়াতাড়ি ফ্যাকাসে হয়ে যায়। ফলে এটি ঘন-ঘন ব্যবহার করতে হয়।
২) Garnier Olia Brilliant Color
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এই হেয়ার কালারে আছে তেল। হ্যাঁ, এতে আপনি পাবেন ৬০ শতাংশ তেল যা প্রাকৃতিক ভাবে ফুলের নির্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। এর ৩৪ টি শেড আছে। ফুলের তেল আছে বলে এর সুগন্ধ অতি উত্তম। তবে এটি সপ্তাহখানেক পরই ফ্যাকাসে হতে শুরু করে।
৩) BBLUNT Salon Secret High Shine Creme Hair Colour
পার্লারের মতো চমক নিয়ে আসে এই হেয়ার কালার। এর সঙ্গে আপনি পাবেন একটি শাইন টনিক। যা হেয়ার কালারের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। ফলে চুলে আসবে বাড়তি চমক। এই কালার বেশ দীর্ঘস্থায়ী এবং প্রায় আট সপ্তাহ থাকে। এর দামও খুব একটা বেশি নয় কিন্তু এর মধ্যে আছে রাসায়নিক। যা বারবার ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
৪) Revlon Top Speed Hair Color
এই হেয়ার কালারের সবচেয়ে ভাল দিক হল, এটি খুব দ্রুত কাজ করে। তাছাড়া এই হেয়ার কালারের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে এটির দাগ জামাকাপড় বা ত্বকে লেগে গেলে সেটা তুলতে অনেক সময় লাগে।
৫) Clairol Natural Instincts Hair Color
শুষ্ক আর ক্ষতিগ্রস্ত চুল এই হেয়ার কালার খুব ভাল কাজ করে। এই ব্র্যান্ডের দাবি, এটি চুলে পুষ্টি যোগায়। তবে এটি বাজারে অন্য হেয়ার কালারের চেয়ে একটু দামি।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!