ADVERTISEMENT
home / ফ্যাশন
জামদানি শাড়ি মানেই কি ঢাকাই? মোটেও না!

জামদানি শাড়ি মানেই কি ঢাকাই? মোটেও না!

আসলে ব্যাপারটার গোড়াতেই গলদ! শাড়িটির নাম আদৌ ঢাকাই না (various jamdani sarees from Bangladesh and west Bengal), বরং জামদানি! অধুনা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কারিগররাই গোড়ায় এই ধরনের শাড়ি বুনতেন বলে এই নাম প্রচলিত হয়ে গিয়েছিল লোকের মুখে-মুখে! খ্রিস্ট পূর্বাব্দ তিনের সময় থেকেই ঢাকার তাঁতিরা এই জামদানি বোনা শুরু করেন বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিলে!

জামদানি শব্দটি আদতে পারস্য থেকে এসেছে। জাম শব্দের অর্থ ফুল এবং দানি মানে ফুলদানি, দুয়ে মিলে জামদানি। তাই মূলত এই ধরনের শাড়িতে ফুলপাতার নকশাই দেখা যায়। পরে মোঘল অনুপ্রেরণা এবং পৃষ্ঠপোষকতায় এই শাড়ির বাহার আরও খোলে। গোড়াতে শুধুমাত্র সুতির সুতো দিয়েই এই শাড়ি বোনা হত। যত সূক্ষ্ম সুতো, তত দামি জামদানি! পরে সিল্কের সুতোও ব্যবহার করা শুরু হয়।

বোনা হচ্ছে স্বপ্নের জামদানি

ঢাকার আশেপাশে জামদানি (various jamdani sarees from Bangladesh and west Bengal) উপযোগী তুলোর চাষ করা হত। পরে অনেক চেষ্টা করা হলেও, এই বিশেষ ধরনের কার্পাস তুলোর ফলন আর কোনও জায়গায় মাটিতেই সম্ভব হয়নি। তাই ঢাকাই জামদানি আজও অদ্বিতীয়ই রয়ে গিয়েছে! তবে দেশভাগের পরে বহু বাংলাদেশি হিন্দু কারিগর ভারতে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁরাই এখানে জামদানি বোনার প্রচলন শুরু করেন। তবে পশ্চিমবঙ্গে বোনা জামদানি এবং খাঁটি ঢাকাই জামদানি যে অনেকটাই আলাদা, তা স্বীকার করবেন যে-কোনও জামদানিপ্রেমীই!

বাংলাদেশের জামদানির রকমফের

ঢাকাই জামদানি: খাঁটি জামদানি, যা শুধুমাত্র ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বোনা হয়, শেষ হতে প্রায় বছরখানেক লাগে। স্থানীয় ফুল-লতাপাতার মোটিফ দিয়ে এই শাড়ি বোনা হয়। সারা শাড়িতে কাজ, চওড়া পাড়, আঁচলে ঠাসা কাজ, এই ধরনের কাজই মূলত বোনা হয়। তবে জমিতে ছোট বুটি আর আঁচলে কাজ, এরকম শাড়িও তৈরি করা হচ্ছে আজ। কিছু জনপ্রিয় মোটিফ, যা এই ধরনের শাড়িতে বোনা হয়, তা হল, হাজার বুটি, পান্না হাজার, কল্কা, বুটিদার, ফুলওয়ার, তেরচা, দুরিয়া, চারকোণা।

ADVERTISEMENT

টাঙ্গাইল জামদানি: এই ধরনের জামদানি শাড়ি (various jamdani sarees from Bangladesh and west Bengal) বোনা হয় বাংলাদেশেরই টাঙ্গাইল জেলায়। এই শাড়ির প্যাটার্ন একটু আলাদা। সারা জমিতে ছোট্ট-ছোট্ট জ্যামিতিক বুটি, চওড়া পাড় আর ঠাসা আঁচল। মোটিফের ধরনেও অনেকটাই আলাদা। মূলত পদ্মফুল, মাছের আঁশ বা প্রদীপের নকশা ফুটিয়ে তোলা হয় এই ধরনের জামদানি শাড়ির পাড়ে।

পশ্চিমবঙ্গের জামদানির রকমফের

ধনিয়াখালি জামদানি: ধনেখালি গ্রমের তাঁতিরা যে জামদানি বোনেন, তা অন্য সব জামদানির চেয়ে একেবারেই আলাদা। এই শাড়ি অনেক বেশি টাইট করে বোনা হয়। শাড়ির রংও বেশ জমকালো হয় ও পাড় হবে জমির রংয়ের কনট্রাস্টে। 

শান্তিপুরি জামদানি: পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুর গ্রামে তৈরি জামদানিই (various jamdani sarees from Bangladesh and west Bengal) হল শান্তিপুরি জামদানি। অনেকটা টাঙ্গাইল জামদানির ধাঁচের মোটিফই বোনা হয় এই শাড়িতে। তবে সাধারণত তা কোণাকুণি আকারে বোনা হয়। এই ধরনের শাড়ি অনেক বেশি মিহি সুতোয় বোনা। ফলে ঢাকাই জামদানির তুলনায় তা অনেকটাই হালকা এবং সহজেই ভাঁজ করা যায়।

মূল ছবি সৌজন্য – ইনস্টাগ্রা
ছবি সৌজন্য – ইনস্টাগ্রাম

ADVERTISEMENT

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!        

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

07 Jul 2022
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT