অন্দরসজ্জায় (Home decor) এথনিক (Ethnic) ছোঁয়া একটা আলাদাই ব্যাপার। এক বার ভেবে দেখুন তো, আমরা বাঙালিরা আড্ডা দিতে ভালবাসি। সে চায়ের দোকানে হোক, বা গঙ্গার ঘাটে হোক অথবা নিজের বাড়িতে হোক। আর আপনার বাড়িতে যদি সোফার বদলে একটা ‘বৈঠক’ থাকে, তা হলে আড্ডাটা আরও জমে যায়। আরে বৈঠকটা আবার কী! তেমন কিছুই নয়। একটা লম্বা-চওড়া গদি বা ম্যাট্রেস। তার উপর কালারফুল ইন্ডিয়ান (Indian) স্টাইলের একটা কভার দিয়ে নিলেই হয়। এ বার এই বৈঠকের উপর বেশ কয়েকটা কুশন রেখে দিন। এ বার সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে দারুণ আড্ডা দিন। বুঝতেই পারছেন, সোফার আড্ডার থেকে এই আড্ডাটায় একেবারে সেই বৈঠকী মেজাজ! আসলে এ ভাবেই অন্দরসজ্জায় (Home decor) এথনিক (Ethnic) ছোঁয়া আনতে পারেন। কাজটা খুব একটা শক্ত নয় কিন্তু!
ইন্ডিয়ান প্রিন্টস
ইন্ডিয়ান (Indian) প্রিন্টসের কথা বলতে গেলে যেটা সবার আগে বলতে হবে, সেটা হল- পেইসলি প্রিন্টস। এ ছাড়াও রয়েছে হাতি, ময়ূর, কল্কা এগুলোও বেশ পপুলার। শুধু তা-ই নয়, অন্দরসজ্জায় (Home decor) এথনিক (Ethnic) ছোঁয়া আনতে কাঁথা স্টিচ অথবা ইন্ডিয়ান (Indian) এমব্রয়ডারি আর অ্যাপ্লিকও বেশ জনপ্রিয়। ফলে বৈঠক অথবা সোফার কভার, কুশন অথবা বেড কভারে এ ভাবে এথনিক (Ethnic) মেকওভার দিতেই পারেন।
লিভিং রুমে ন্যাচারাল টেক্সটাইলস
আপনার লিভিং রুমের মেকওভারের জন্য ব্যবহার করুন পাট, কাঠ, বেত, মাদুর, চামড়ার মতো ন্যাচারাল টেক্সটাইলস। যেগুলো সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলবে। এই যেমন ধরুন মাটিতে পাটের তৈরি কিছু পাতলেন। অথবা বসার জন্য বেতের মোড়া ব্যবহার করতে পারেন। পর্দার বদলে লিভিং রুমে মাদুর ব্যবহার করতে পারেন। এর একটা আলাদা মজা রয়েছে। মাদুরের এই পর্দা ঘরের সৌন্দর্য তো বাড়ায়ই আর ঘরকে ঠান্ডাও রাখতে পারে।
ওয়াল পেইন্টিং
ওয়াল পেইন্টিং অথবা ওয়াল আর্টেও আসতে পারে এথনিক ছোঁয়া। আর ইন্ডিয়ান (Indian) স্টাইল অথবা এথনিক (Ethnic) স্টাইল বেশ কালারফুল হয়। তাই দেওয়ালে বিভিন্ন রকম ট্রাইবাল পেন্টিং লাগাতে পারেন। অথবা পুরাণের কোনও কাহিনি বা ঐতিহাসিক কাহিনি রয়েছে এমন পেন্টিং অথবা ওয়াল আর্ট রাখতে পারেন।
অ্যাকসেসরি
এথনিক স্টাইল হোম ডেকরের (Home decor) ক্ষেত্রে নানা রকম ট্র্যাডিশনাল অ্যান্টিক অ্যাকসেসরি ব্যবহার করতে পারেন। পিতলের কোনও মূর্তি, হুঁকো, কোনও ধাতুর তৈরি শো-পিস ব্যবহার করা যায়। চাইলে মাটির জিনিস দিয়েও ঘর সাজাতে পারেন। মাটির তৈরি বড় বড় পাত্রের গায়ে রঙবেরঙের নকশা এঁকে সেটাকে ফুলদানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অথবা রঙবেরঙের কেটলি, দারুণ কারুকাজ করা আয়না দিয়েও ঘর সাজানো যেতে পারে। এ ছাড়াও এথনিক স্টাইলে ঘর সাজাতে কাঠ অথবা বাঁশের তৈরি জিনিসও দারুণ। বাঁশের তৈরি ল্যাম্পশেড ঘরের কোণে অথবা লিভিং রুমে সোফার পাশে রাখতে পারেন।
কাঠের কারুকাজ করা আসবাব
পুরনো দিনের বাড়ির মূল ফটকের কথা মনে পড়ে? আজও পুরনো কলকাতায় গেলে চোখে পড়বে বাড়ির কারুকাজ করা দরজা। ঘরের আলমারিতেও এ ভাবে এথনিক ছোঁয়া দিতে পারেন। ঘরের আলমারির দরজায় আগের দিনের কারুকাজ দারুণ লাগবে। আবার লিভিং রুমে ছোট কোনও শো-কেস জাতীয় আসবাব থাকলে সেখানকার পাল্লাতেও ওই রকম কারুকাজ করা যেতে পারে।
ঘরের আলো
ঘরে এথনিক (Ethnic) ছোঁয়া দিতে গেলে আলোটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। নরম হলদেটে আলো এর জন্য দারুণ। এক কাজ করতে পারেন, লিভিং রুমে অ্যান্টিক স্টাইলের ঝাড়বাতি রাখতে পারেন। অথবা বেডরুমে ব্যবহার করতে পারেন আগেকার দিনের হ্যারিকেনও। নরম আলো আপনার এথনিক অন্দরসজ্জায় (Home decor) একটা আলাদা মাত্রা যোগ করবে।
ছবি সৌজন্যে: পেপারফ্রাই
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!