ডি-ওডরেন্ট আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত. বাড়িতে থাকি কিংবা বাইরে বেরোই, ডি-ওডরেন্ট একবার না একবার মাখতে হয়. গরমকালে রিফ্রেশিং ফিল করার জন্যই হোক কিংবা শীতকালে স্নান না করার জন্যই হোক, ডি-ওডরেন্ট আমরা সব সময়েই লাগাই. কিভাবে এই সুগন্ধি মাখতে হয়, সেটা আবার জানার কি আছে? বোতলের ঢাকতে খুলে স্প্রে করলেই হলো... এটা নিয়ে আবার আর্টিকেল! কি এটাই ভাবছেন তো? আজ্ঞে না, শুধু ঢাকনা খুলে স্প্রে করলেই ডি-ওডরেন্ট (Deodorant) লাগানো যায় না. তাহলে কিভাবে লাগাবেন? বলছি তো!
মহিলাদের জন্য সেরা ১৫টি ডিওডোরেন্টের হদিশ
ডি-ওডরেন্ট বা ডিও-র (Deo) মূল কাজ হলো আপনার শরীরের থেকে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করা এবং সারাদিন আপনাকে তরতাজা রাখা. তাই স্নান করার ঠিক পরেই ডিও লাগান. কখন ঘাম (Sweat)হবে, কখন তার থেকে দুর্গন্ধ বেরোবে, তার পর আপনি ডিও লাগাবেন - না প্লিস তার জন্য অপেক্ষা করবেন না.
আপনাদের মধ্যে অনেকেই জামাকাপড়ের ওপর ডিও স্প্রে করেন, না না স্বীকার করুন যে এরকম করেন! আসলে অনেকের ধারণা ডিও আর পারফিউম এক জিনিস, তাই পারফিউম যেরকম কাপড়ের ওপর স্প্রে করা হয়, সেরকম ডিও-ও (Deo) কাপড়ের ওপর স্প্রে করেন. কারণ তারা ভাবেন যে জামার ওপর স্প্রে করলে বেশিক্ষন সুগন্ধ থাকবে. এটা একেবারে ভুল ধারণা. ডি-ওডরেন্ট নামটার মধ্যেই এর কাজটি লুকিয়ে আছে... ডি-ওডরেন্ট (Deodorant) মানে হলো যে জিনিষটা বাজে গন্ধ দূর করে. আমাদের স্কিনে, বিশেষত বগলের নীচে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু থাকে আর ঘামে (Sweat) এরা একটিভ হয়ে ওঠে, ফলে ঘাম থেকে বাজে গন্ধ বেরোয়. ডিওর কাজ ওই দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে দূর করা এবং সারাদিন আপনাকে একটা ফ্রেশ ফিল দেওয়া. তাহলে এখন থেকে ডি-ওডরেন্ট স্কিনেই লাগাবেন তো?
ডি-ওডরেন্ট (Deodorant) লাগালে ঘামের দুর্গন্ধ বেরোবে না, তাই আপনি মোটামুটি একটা বোতল দিয়ে স্নান করে নেন. অর্থাৎ, এতো বেশি পরিমানে লাগান যে জল দিয়ে স্নানের আর প্রয়োজনই হয়না. আপনি হয়তো ভাবছেন যে আপনার গা থেকে খুব সুন্দর গন্ধ বেরোচ্ছে, কিন্তু মোটেও তা হয় না... আপনি যে ডিও-র ওভারডোজ নিয়ে ফেলেছেন সেটা বোঝা যায়. অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো না. ডিও যেমন আপনার ঘামের (Sweat) জীবাণু বিনাশ করে তেমনি অতিরিক্ত লাগালে এর মধ্যে থাকা কেমিক্যাল আপনার স্কিনের ক্ষতি করতে পারে.
বাজারে প্রচুর ব্রান্ডের ডিও পাওয়া যায়. অনেক সময় আপনি কনফিউস্ড হয়ে যান যে কোনটা কিনবেন. জেতার গন্ধ ভালো লাগে সেটা কিনে না, কিন্তু হতে পারে সেই ডি-ওডরেন্টটি আপনার জন্য সঠিক না. আপনার যদি খুব বেশি ঘাম হয় তাহলে এমন ডিও কিনুন যাতে এন্টিপারস্পিরেন্টস-এর পরিমান বেশি. এতে অ্যালুমিনিয়াম সল্ট থাকে যা ঘাম (Sweat) শুষে নেয়. আবার আপনার যদি তেমন একটা ঘামের সমস্যা না থাকে তাহলে এতো কেমিক্যালযুক্ত ডিও ব্যবহার করার দরকার নেই. যাদের বেশি ঘামের সমস্যা তারা শুধুমাত্র স্প্রে ডি-ওডরেন্ট (Deodorant) ব্যবহার না করে রোল-অন কিংবা জেলও ব্যবহার করতে পারেন.
কব্জি কিংবা কানের লতিতে পারফিউম লাগাই আমরা, কারণ ওগুলো হলো পাল্স-পয়েন্ট. ওই জায়গা গুলোতে পারফিউম লাগালে অনেক্ষন সুগন্ধ থাকে. কিন্তু ডিও-র ক্ষেত্রে এই নিয়ম খাটে না. ডিও সেখানেই লাগান যেখানে ঘাম (Sweat) হয়, যেমন বগলের নীচে (Undersrms), কনুইয়ের ভেতর দিকে, হাঁটুর পেছনে আর পায়ের আঙুলের তলায়.
ঘুমোনোর আগে ডিও লাগাবো? কেন? কেন লাগাবেন না! ঘুমোনোর সময় কি আপনি মহামানবীতে পরিণত হন? ঘুমোলে কি আপনার ঘাম হয় না? আপনি যদি একাও ঘুমোন, তাহলেও সকালে আপনাকে একটা ফ্রেশ ফিল (Fresh Feel) নিয়ে ওঠার জন্য রাতে ঘুমোনোর আগে ডিও লাগিয়ে শোয়াটা ভালো.
একদম না! ডিও (Deo) কেনার সময় এবার একটু সচেতন হন. এমন একটা ডিও (Deo) বাছুন যেটা আপনার গায়ে মাখার সাবান এবং অন্য বিউটি প্রোডাক্টস-এর সাথে যায়.যদি আপনি ফ্লোরাল সেন্টের সাবান বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন, তাহলে ডিও-ও ফ্লোরাল সেন্টেরই লাগান. না হলে নানারকম গন্ধ মিশে কোনোটারই সঠিক গন্ধ বেরোবে না.
৩-৪ ঘন্টা অন্তর ওয়াশরুমে গিয়ে যেখানে ডিও (Deo) লাগিয়েছিলেন সেই জায়গা গুলো পরিষ্কার করে আবার ডিও লাগান. ঘাম জমে জায়গাটা যাতে নোংরা না হয় এবং ঘামের ওপেরই যাতে দেয় না লাগিয়ে ফেলেন, সে জন্য পরিষ্কার করাটা জরুরি. আপনাকে জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে না, ভেজা টিসু (Wet Wipes) ব্যাবহার করুন.
পরের বার যখন ডি-ওডরেন্ট (Deodorant) লাগাবেন, মনে থাকবে তো?
এগুলোও পড়ুন:
Beauty Diaries: I Tried This Bath Kit For A Week And The Results Are Amazing!
15 Deodorants To Make You Smell AMAZING - All Summer Long!
These Products Will Stop You From Turning Into A Sweaty Mess In The October Heat