“সাম বিউটিফুল পাথ কান্ট বি ডিসকভার্ড উইদাউট গেটিং লস্ট”। কথাটা বাস্তবিকই সত্যি। কারণ অচেনা পথে হারিয়ে না গেলে যে সত্যিই নতুনকে চেনা যায় না। এমনকি চেনা যায় না নিজেকেও। তাই তো বলি বন্ধু, এদিক-সেদিক ঘুরতে যেতে যদি ভালোবাসো, তাহলে চেনা পথের রুটিন ভেঙে বেরিয়ে পরো অচেনার সন্ধানে। দেখবে জীবনটাই বদলে যাবে। সেই সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদও মিলবে ষোলো আনা!
নতুন নতুন জায়গার সন্ধান পেতে রোড ট্রিপের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো বলি বন্ধু, যদি হও হাটকে গোছের ভ্রমণ রসিক, তাহলে চটজলদি পড়ে ফেলো বাকি প্রবন্ধটা। কারণ লেখাটা পড়লেই মিলবে এমন কিছু পথের সন্ধান, যা বাস্তবিকই অনবদ্য।
তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলো বেরিয়ে পরা যাক এদেশের চারটি সেরা রোড ট্রিপে…
১. মানালি-লে:
বরফে ঢাকা পর্বতশৃঙ্গকে সঙ্গী করে এ পথে ড্রাইভ করার মজাটাই আলাদা। সেই সঙ্গে মন কাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো রয়েছেই। তবে এমন চড়াই উতরাই পথে গাড়ি বা বাইক চালানো মোটেও সহজ কাজ নয়। তাই তো বলি বন্ধু, এমন রোড ট্রিপে বেরোনোর আগে ড্রাইভিং স্কিলটা একটু ঝালিয়ে নিতে ভুলো না যেন! তবে একটা কথা বলতেই হবে, পাহাড়ি রাস্তার ধকল এবং জব্বর ঠান্ডার সঙ্গে যদি একবার বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলতে পারো, তাহলে জীবনের সেরা অভিজ্ঞতার সন্ধান মিলবে এখানেই।
ট্রাভেল রুট: মানালি- রোটাংলা-খোকসার-তাণ্ডি-কেলং-দার্চা-সার্চু-পাং-উফশি-লে
দূরত্ব: ৪৯০ কিমি। সময় লাগবে: ২ দিন।
২. লে-শ্রীনগর:
এই রোড ট্রিপটি যদি একবার করতে পারো, তাহলে এমন কিছু জায়গা ঘুরে দেখার সুযোগ মিলবে, যা এক কথায় চোখ ধাঁধানো। যার মধ্যে অন্যতম হল কারদুং লা পাস, যা এই পৃথিবীর সবথেকে উঁচুতে অবস্থিত মটোরেবল পাস। এরপর একে একে দেখে নিতে পারো প্যাংগং লেক এবং কার্গিল-দ্রাস ভ্যালি, যেখানে ১৯৯৯ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিল। তবে এখানেই শেষ নয়, এই রুটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই মন কারা যে জীবনে কখনও এই জার্নির কথা যে ভুলতে পারবে না, তা হলফ করে বলতে পারি।
ট্রাভেল রুট: লে-কারদুং লা পাস-প্যাংগং-হেমিস-লামাউরু-কার্গিল-দ্রাস-জোজিলা পাস-শ্রীনগর।
দূরত্ব: ৪২০ কিমি। সময় লাগবে: ২ দিন।
৩. মুম্বাই-গোয়া:
পাহাড়ে ঘুরতে যেতে যদি মন না চায়, তাহলে ঘুরে আসতে পারো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলে থেকে। আর এমনটা করতে গাড়ি বা বাইক নিয়ে পাড়ি জমাতে হবে মুম্বাই থেকে গোয়া পর্যন্ত। এই রুটের প্রাকৃতিক শোভা এক কথায় মন কাড়া। শুধু তাই নয়, মুম্বাইয়ের সীমানা ছাড়িয়ে এন এইচ ১৭ ধরে যত এগোবে, তত মিলবে অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ। সেই সঙ্গে রোড ট্রিপের আনন্দ তো উপরি পাওনা। প্রসঙ্গত, সকাল সকাল যদি মুম্বাই থেকে বেরিয়ে পরা যায়, তাহলে সন্ধ্যার মধ্যে কিন্তু গোয়া পৌঁছানো সম্ভব।
ট্রাভেল রুট: মুম্বাই-রত্নাগিরি-গোয়া
দূরত্ব-৬১৫ কিমি। সময় লাগবে-১০ ঘন্টা।
৪. ব্যাঙ্গালুরু-মুন্নার:
সবুজ বনানীর মাঝে এ যেন এক ছোট্ট স্বর্গ! হ্যাঁ বন্ধু, এমনই হল মুন্নারের সৌন্দর্য। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুন্নার পর্যন্ত রাস্তার দুধারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও বেজায় মন কাড়া। তাই রোড ট্রিপ নিয়ে হওয়া এই আলোচনা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে যদি এ পথের হদিশ দেওয়া না হয়। প্রসঙ্গত, পশ্চিমঘাট পর্বতমালা দিয়ে ঘেরা কেরালা রাজ্যের এই শৈল শহরটি এতটাই সুন্দর এবং ছিমছাম যে এ জীবনে একবার এই জায়গায় না এলে কিন্তু ভুল করবে।
ট্রাভেল রুট: ব্যাঙ্গালুরু-হাসুর-কৃষ্ণাগিরি-ধর্মপুরা-সালেম-পেরুনদুরাই-কাঙ্গাম-উদুমালাইপেট-মারাউর-মুন্নার
দূরত্ব: ৪৭৬ কিমি। সময় লাগবে: ১০ ঘন্টা।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!