“মেয়েরা করবে চাকরি…!” এমন মন্তব্য কিন্তু আজও শোনা যায় শহুরে অলি-গলিতে। তবু তো সামাজের বাঁকা চোখকে উপেক্ষা করে মেয়েরা এগোচ্ছে। তবে সংখ্যাটা যদিও খুব কম। কিন্তু তাতে কী, কিছু জন তো লড়াইয়ে নেমেছে। এমনকি জিতছেও। এটাই বা কম কথা কি! তবু বলবো বন্ধু, এত সব কিছুর মাঝেও কখনও সখনও খুব দুঃখ হয়। দুঃখ হয় এই কারণে যে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষিত হয়েও নিজেদের মানসিকতাকে এখনও পরিবর্তন করে উঠতে পারেনি। তাই তো আজও বেশির ভাগ মেয়েই নাম লেখাচ্ছে স্কুল টিচার বা সরকারি চাকরির মতো আপাত সুরক্ষিত প্রফেশনে। যদিও কেউ কেউ আছে বৈকি যারা ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কর্পোরেট ল্যাডারে তরতরিয়ে উঠছে উপরের দিকে। কিন্তু সেই সংখ্যাটা বড়ই নগণ্য। আর পুলিশ বা ডিফেন্সে তো আজও মেয়েরা সংখ্যালঘু। তাই তো বলি বন্ধু, বাঁধ ভাঙার সময় মনে হয় এসে গেছে। এখনই যদি নিজেকে বাকি মেয়েদের ভিড় থেকে আলাদা করতে না পারো, তাহলে আর কবে করবে বলো!
এখন প্রশ্ন হল, কেমন ধরনের চাকরি (unconventional career options) করলে নিজেকে ভিড়ের মাঝেও আলাদা ভাবে প্রতিষ্টা করা সম্ভব? সহজ উত্তর হতে পারে পুলিশ বা ডিফেন্সের চাকরি। কিন্তু আজ এই লেখায় বাস্তবিকই বেশ কিছু “হাটকে” চাকরির (facts about non traditional careers) খোঁজ দেওয়া হবে, যেখানে মেয়েদের চাহিদা এখন তুঙ্গে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তোমারা মনে হয় অনেকেই এমন চাকরির খোঁজ রাখো না! তাই তো বলি বন্ধু, নিজের কেরিয়ারকে অন্য দিশায় নিয়ে গিয়ে ভিন্ন পথে যদি হাঁটতে মন চায়, ইচ্ছা হয় নজির গড়ার, তাহলে এই লেখাটি পড়তে ভুলো না যেন!
১. বারটেন্ডার:
সেকি! এ কাজ তো ছেলেরা করে! ঠিক, এমনই বিশ্বাস ছিল বেশ কিছু বছর অগেও। কিন্তু এখন সেই ভাবনায় বদল এসেছে। আর কেন আসবেই না বা বলো! কারণ এই প্রফেশনে যে এখন শুধু ছেলেরা নয়, মেয়েরাও নিজেদের ট্যালেন্টকে পরখ করতে ভিড় জমাচ্ছে নামজাদা সব পাঁচতারা বারে। যেমন আজ থেকে প্রায় তিন দশক আগে এসেছিলেন শত্যভি বসু। সে সময় তো একজন মেয়েকেও খুঁজে পাওয়া যেত না এই ফিল্ডে। তবু মিস বসু এসেছিলেন। শুধু আসেননি, বেজায় নামও করেছেন। তাই তো বলি বন্ধু, চটজলদি জনপ্রিয় হয়ে ওঠার ইচ্ছা থাকলে বারটেন্ডিং (bartender woman) একটা ভালো কেরিয়ার অপশন হতে পারে। শুধু তাই নয়, আজকের ডেটে ক্রিয়েটিভ বারটেন্ডারদের রোজগারটাও কিন্তু কম নয়!
২. স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান:
লোককে হাসানোর সহজাত ক্ষমতা রয়েছে নাকি তোমার মধ্যে? তাহলে শুধু বাড়ির পার্টিতে অতিথিদের না হাসিয়ে এই গুণকে কাজে লাগিয়ে ভিন্ন স্বাদের কেরিয়ার গড়ছো না কেন! যেমনটা করেছে ভারতি সিং (Bharti Singh) বা রাধিকা ভেজ। তাঁরা কিন্তু আজ নামি সেলিব্রেটি। আর রোজগারটাও যে খুব কম, এমনটাও নয় কিন্তু! তার উপর এই প্রফেশানে এখনও গুণী মহিলা কমেডিয়ানের সংখ্যাটা কিন্তু খুব কম, তাই তো কম সময়ে সফল হওয়ার সম্ভাবনটা যে বেশি, তা আর বলাই অপেক্ষা রাখে না!
৩. ওয়াইন টেস্টার:
ওয়াইন কি তোমার ফেবারিট হার্ড ড্রিঙ্ক, তাহলে তো ওয়াইন টেস্টারের চাকরি পেতে তোরজোর শুরু করে দেওয়া উচিত। কারণ এটা এমন একটা চাকরি, যাতে ওয়াইন পান করতে তো পয়সা খরচ করতে হবেই না, উল্টে কোম্পানি প্রতি মাসে মোটা মাইনে দেবে! শুধু তাই নয়, আজ তো ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্বেই ওয়াইন টেস্টারদের চাহিদা তুঙ্গে। তাই তো বলি বন্ধু, একটু ভেবে দেখতে পারো কিন্তু!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!