জীবনের কোনও না কোনও সময় প্যাশনেট চুম্বনের স্বাদ পাওয়ার স্বপ্ন তো আমরা সবাই দেখে থাকি। কিন্তু কজনেরই বা সেই স্বপ্ন পূরণ হয় বলো! কিন্তু দুঃখটা হল যাদের হয়, তারা এটা জানে না যে প্রিয় মানুষটিকে কোনও বিশেষ মুহূর্তে নয়, বরং প্রতিদিন, বারে বারে চুমু খাওয়া উচিত। কারণ বিজ্ঞান বলছে লিপ কিস (চুম্বন) করলে শুধু ভালোবাসা বাড়ে না, সেই সঙ্গে আমাদের দেহের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে (Health Benefits Of Kissing In Bengali) যে তার প্রভাবে একাধিক শারীরিক উপকারও পাওয়া যায়।
ঠোঁটে চুম্বন (Lip To Lip Kiss) করলে শরীরের উপকার হয়? একেবারেই! শুধু কি তাই, একাধিক জটিল রোগের প্রকোপও কমে এমন ঠোঁটের স্পর্শে। তাই তো বছর শুরুর দিনগুলোতে তোমাদের জীবনে যাতে ভালোবাসার অভাব না হয়, আর সেই সঙ্গে শরীরও যাতে চাঙ্গা থাকে, তা সুনিশ্চিত করতেই তো এই লেখায় লিপ কিসের এমন কিছু শারীরিক উপকারিতার (Kissing Benefits) উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হল, যা পড়তে পড়তে তোমাদের চোখ কপালে উঠতে বাধ্য!
জানুন লিপ কিসের সমস্ত শারীরিক উপকারিতা (Health Benefits of Lip To Lip Kiss)
১| স্ট্রেস কমে এবং মন-মেজাজ চাঙ্গা হয়ে ওঠে (Reduces Stress & Elevates Your Mood)
২০০৩ সালে একদল জাপানী বিজ্ঞানীদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে লিপ কিস (চুমু) করা মাত্র আমাদের শরীরে অক্সিটোসিন, ডোপামিন এবং সেরোটিনিন নামক বেশ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যে কারণে কর্টিজল নামক স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব এতটাই কমে যায় যায় স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি এবং দুশ্চিন্তা কমতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো যে গত এক দশকে ভারতীয় যুবসমাজের সিংহভাগই যে যে রোগের খপ্পরে পরেছে, তার সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের যোগ রয়েছে। তাই এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছ, শুধু ভালোবাসার খাতিরে নয়, শরীরকে চাঙ্গা রাখতেও কিন্তু চুমু (Lip To Lip Kiss) খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে!
২| ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে (Controls Blood Pressure)
একেবারেই ঠিক শুনেছো! রক্তচাপকে বেঁধে রাখতে বাস্তবিকই চুম্বনের (Lip Kiss) কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে লিপলক হওয়া মাত্র সারা শরীরে রক্তের প্রবাহে উন্নতি ঘটে। ফলে ব্লাড প্রেসার কমতে সময় লাগে না। তাই একথা বলা যেতেই পারে যে লিপ কিস সত্যি সত্যিই হার্টকে চাঙ্গা (Kissing Benefits) করে তোলে। কারণ হার্টের রোগের পিছনে রক্তচাপের ভূমিকা যে কম নয়, তা তো বলাই বাহুল্য!
৩| রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে (Boosts Immune System)
২০১৪ সালে হওয়া একটা স্টাডিতে দেখা গেছে লিপ কিস করার সময় এক শরীর থেকে আরেক শরীরে উপকারী জীবাণুদের প্রবেশ ঘটে। আর এই সব জীবাণুরা শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না। তাই তো বলি, দূষণ এবং নানাবিধ রোগের আক্রমণের মাঝে যদি শরীরকে চাঙ্গা রাখতে হয়, তাহলে নিয়মিত ভালোবাসার মানুষটিকে বার কতক লিপ কিস (Kissing Benefits) করতে ভুলো না যেন!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!