যতদিন পর্যন্ত মা আমার চুলের যত্ন নিতেন, বেশ ঘন আর সুন্দর চুল ছিল আমার মাথায়। তারপর যত বড় হলাম, ততো নানা ধরণের স্টাইল শিখলাম। একবার চুল পার্মানেন্ট স্ট্রেট করাই তো আরেকবার চুলে কালার করাই, আবার কখনও বা অন্য কোনও এক্সপেরিপেরিমেন্ট। এই করতে করতে একটা সময়ে দেখলাম যে কোথায় সেই সুন্দর ঘন চুল? সিঁথি চওড়া হয়ে চুল উঠে একেবারে যাতা কাণ্ড। এখন যতই চুলের যত্ন নি না কেন, চুলের ওপরে জা অত্যাচার করেছি সেখান থেকে আবার সুন্দর চুল ফিরে পেতে অনেকটাই সময় লাগবে। কিন্তু তা বলে তো আর পাতলা চুল নিয়ে বাইরে বেরনো যায় না! অগত্যা আবার কিছু ট্রিক আর কায়দা করে পাতলা চুলকে ঘন দেখানোর চেষ্টা করতে (Tips to make your thin hair look voluminous) হবে। আপনাদের কারও যদি এই সমস্যা হয়ে থাকে তা হলে এই সাতটি টিপস দেখতে পারেন –
চুল ঘন দেখানোর সাতটি সহজ উপায়
১। সঠিক শ্যাম্প্যু আর কন্ডিশনার
আপনার চুল যদি পাতলাও হয়, তবুও কিন্তু তাকে ঘন দেখানোর একটা ভালো উপায় হল সঠিক শ্যাম্প্যু আর কন্ডিশনার ব্যবহার করা। অয়েল বেসড শ্যাম্প্যু বাঁ কন্ডিশনার ব্যবহার না করে ‘হেয়ার থিকনিং’ শ্যাম্প্যু যদি আপনি ব্যবহার করেন, তাহলে কিন্তু চুলের ভল্যুম অনেক বেশি মনে হয়।
২। ভলিউম স্প্রে
ভলিউম স্প্রে, নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে ঠিক কি কাজ করে এই প্রোডাক্টটি। ভলিউম স্প্রেতে পলিমার থাকে যা চুল ঘন এবং সুন্দর দেখাতে সাহায্য করে। আর চুলের সেটিংও এদিক ওদিক হতে দেয় না, ফলে আপনার চুল আসলে পাতলা না ঘন সেটা বাইরে থেকে বোঝার কোন উপায় থাকে না।
৩। ড্রাই শ্যাম্প্যু
অনেক সময়েই শ্যাম্প্যু করার পরেও চুল পেতে পেতে থাকে, যার ফলে মনে হয় যে চুলে কোনও ভল্যুমই নেই। সেক্ষেত্রে আপনি ড্রাই শ্যাম্প্যু ব্যবহার করতে পারেন। তবে ড্রাই শ্যাম্প্যু ব্যবহার করার সময়ে খেয়াল রাখবেন যেন তাতে প্রাকৃতিক উপাদান থাকে। এতে চুলের ক্ষতি হয়না।
৪। রাউন্ড ব্রাশ
চুল আঁচড়ানোর সময়ে এমনি চিরুনি ব্যবহার না করে রাউন্ড ব্রাশ ব্যবহার করুন। এতে চুলের ভল্যুম অনেকটাই বেশি মনে হয়। কাজেই চুল যদি পাতলাও হয়, তাতেও কিন্তু এভাবে চুল আঁচড়ালে মনে হবে যে আপনার চুল ঘন।
৫। হেয়ার ড্রায়ার
অনেকেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন ঠিকই, কিন্তু সঠিকভাবে ব্যবহার করেন না বলে চুল পাতলা মনে হয়। যখন হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকোবেন, তখন চুল সামনের দিকে নিয়ে এসে তারপর ড্রায়ার চালান। এতে চুলের ভল্যুম বেশি লাগে।
৬। ব্যাক কম্বিং
পাতলা চুল ঘন দেখাবার জন্য ব্যাক কম্বিং একটা খুবই পুরনো পদ্ধতি। সরু দাঁতের চিরুনি দিয়ে অল্প অল্প করে চুল ভাগ করে নিয়ে ব্যাক কম্ব করুন, অর্থাৎ এক হাতে চুলের গোছা ধরে অন্য হাত দিয়ে পেছন দিকে থেকে চিরুনি চালান।
৭। হেয়ার ম্যুস
চুল সেট করার জন্য হেয়ার জেলের বদলে ম্যুস ব্যবহার করুন। জেল অনেক বেশি ভারী হয় এবং জেল লাগালে চুল পাতা পাতা দেখতে লাগে। সেই তুলনায় হেয়ার ম্যুস হালকা এবং চুল পাতা পাতা দেখতে লাগে না, ফলে মনে হয় যেন অনেক ঘন চুল রয়েছে আপনার মাথায়।
ছবি সৌজন্যেঃ Nykaa এবং Forest Essential
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!