লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট হোক বা একটু-একটু করে বন্ধুত্বের পথ ধরে প্রেম, যে কোনও সম্পর্কই সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে ধীরে-ধীরে করে রূপ পায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, সম্পর্ক (relationship) একটু পুরনো হলেই তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা দায়িত্ব বা কর্তব্য নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামায় না। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, টেকেন ফর গ্রানটেড। আর এটাই তখন সত্য়ি হয়ে যায় বেশিরভাগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে। কিন্তু জানেন কি, গাছের গোড়া দুর্বল হলে তার মাথার উপরে যতই সবুজ পাতা থাকুক না কেন, সেই গাছ ঝড়ে উপড়ে যাবেই। আর এটা প্রযোজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও। আসলে সম্পর্কের (relationship) ভিতটাই মজবুত হওয়া দরকার। আর তার জন্য সময়ের হাতে সব কিছু ছেড়ে না দিয়ে সম্পর্কের শুরুতেই এই ন’টি (healthy) অভ্যেস (habits) গড়ে তুলুন। এই ন’টি অভ্যেস (habits) যাকে বলে ব্যাঙ্কে জমা রাখা টাকার মতো (healthy), যার সুদের উপর আপনি সারা জীবন নির্ভর করতে পারবেন।
১)পার্টনারের বিষয়ে সকলের কাছে নিন্দে করবেন না
সমস্যা হলে তার সমাধান খুঁজতে হবে। সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা দেখা দিলে প্রিয় বন্ধুর সাহায্য নেওয়াটা কোনও দোষের নয়। কিন্তু বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কোনও সমস্যা হলে সেটা নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করা আর তার অনুপস্থিতিতে সকলের কাছে তার নামে নিন্দে করা, মোটেও এক নয়। হতে পারে বয়ফ্রেন্ডের কোনও অভ্যেস আপনার পছন্দ নয়, আপনি তাকে অপমান না করেই এই বিষয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
২) ব্যক্তিগত স্পেসে বেশি নাক গলাবেন না
আপনারা তো আর জন্ম থেকেই একে-অপরের পরিচিত নন। আপনাদের স্কুল, কলেজ, চাকরি সব আলাদা। আর এর প্রত্যিটার আলাদা-আলাদা পরিসর আছে। এক কথায় ‘প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ হওয়ার আগে আমরা প্রতেকে একজন একক ব্যক্তি। তাই বয়ফ্রেন্ড বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা গেলে বা দু’-একদিনের জন্য বাইরে গেলে ঠোঁট ফোলাবেন না। আপনি তার ব্যক্তিগত স্পেসে নাক না গলালে আশা করা যায় তিনিও আপনাকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দেবেন।
৩) ঝগড়া-মনোমালিন্য বেশি দূর টেনে নিয়ে যাবেন না
দু’ সপ্তাহের বেশি ঝগড়া বা মনোমালিন্য টেনে নিয়ে যাবেন না। এতে চাপ বাড়বে বই কমবে না। রাগের মাথায় দু’-একটা উত্তপ্ত কথা হতেই পারে। এতে আপনাদের দু’জনের কোনও দোষ নেই। মাথা গরম হলে ঠান্ডা হতেও বেশি সময় লাগা উচিত নয়। ঝটপট সব সমস্যা মিটিয়ে নিন। তাতে দেশের-দশের, সকলেরই মঙ্গল।
৪) আপনি আপনার জায়গায় দামি বটেই, কিন্তু বাকিরাও ফেলনা নয়!
আপনি তাঁর জীবনের অনেকটা জুড়ে আছেন একথা যেমন ঠিক, আবার তাঁর জীবনে অন্য অনেকেও বর্তমান আছেন, এটাও ঠিক। খামোকা নিজের জায়গা হারানোর আশঙ্কায় ভুগবেন না। হতে পারে বয়ফ্রেন্ড তার বোনকে একটু বেশিই ভালবাসেন, তার মানে এই নয় যে, বয়ফ্রেন্ডের বোন আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী!
৫) প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন
অনেকেই অনেক কিছু পারেন না। কিন্তু একটা সম্পর্কে কোনও কিছু পারা না পারার চেয়েও জরুরি হল চেষ্টা করা। ধরুন, আপনার বয়ফ্রেন্ড কবিতা বোঝেন না। আপনার কথায় যদি তিনি দু’-একটা কবিতার বই কিনে পড়েন, সেটা দেখে ঠাট্টা করবেন না। মনে রাখবেন, এটা তিনি আপনাকে খুশি রাখতেই করছেন।
৬) সততার কোনও বিকল্প হয় না
আপনারা দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক। তাই কোন কথাটা বলতে হয় আর কোনটা বলতে নেই, সেটা আপনারা দু’জনেই ভাল বোঝেন। আমরা বলছি না, সারাদিন আপনি কী করলেন বা কী খেলেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিন। তবে যে তথ্য লুকিয়ে রাখলে পরে সমস্যা হতে পারে, সেটা কিন্তু গোড়াতেই বলে দেবেন। সম্পর্কে সৎ থাকা ভীষণ-ভীষণ দরকারি।
৭) একসঙ্গে বেশি সময় কাটান
একসঙ্গে সময় কাটাতে হলে কমন ইন্টারেস্ট বা হবি খুঁজে বের করুন। তার মানে এই নয় যে, একসঙ্গে দু’জনকে গিটার শিখতে হবে বা ফরাসি ভাষার ক্লাসে যেতে হবে। সিনেমা ভালবাসলে, সেই নিয়ে আলোচনা করলেন বা গান পছন্দ করলে একসঙ্গে কনসার্ট শুনতে যান।
৮) একে অন্যের কথা শুনুন
সব সময় যে কিছু না কিছু বলতে হবে তার কোনও মানে নেই। অন্যের কথা শোনাটাও জরুরি। বয়ফ্রেন্ড আজ সারাদিন কী করলেন, তিনি মুনমরা হয়ে আছেন, এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলতে চাইলে তাকে বলতে দিন। মনে রাখবেন, আপনি যদি তার কথা মন দিয়ে না শোনেন, তা হলে উনিও আপনার কথা শুনবেন না।
৯) তার পরিবার ও বন্ধুমহলকেও মর্যাদা দিন
আপনার বয়ফ্রেন্ডের পরিবার বা প্রিয় বন্ধুবান্ধব যারা তার জীবনের অনেকটা জুড়ে আছেন, তাদের অবহেলা করবেন না। তাদের জন্য আন্তরিকভাবে কিছু করুন। দেখবেন, এতে আপনার বয়ফ্রেন্ডও খুশি হবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!