ADVERTISEMENT
home / Jewellery
নাকছাবিই বলুন বা নথ, এটিকে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট বানাতে শিখুন স্বস্তিকার কাছ থেকে!

নাকছাবিই বলুন বা নথ, এটিকে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট বানাতে শিখুন স্বস্তিকার কাছ থেকে!

আচ্ছা, সত্যি করে বলুন তো, আপনি জানেন, এই নাকছাবি কিংবা নথ ঠিক কবে থেকে আমরা পরতে শুরু করেছিলাম? এটি কি আদৌ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী পরা হয়, নাকি নাকের এই গয়নাটি আমদানি হয়েছে আসলে কোনও বিদেশ বিভুঁই থেকে? দেখুন, শুরুতেই একটা কথা বলে দেওয়া ভাল যে, এই নাকছাবি বা নথ আদৌ কবে থেকে পরা শুরু হল, কেন এটি পরা হয়, এটি ভারতীয় গয়না নাকি বিদেশি, তা ঠিক স্পষ্ট করে কেউই বলতে পারেন না! অনেকে বলেন, এটি আমদানি করেছিল মোগলরা, সেই ১৬ শতকে, তার আগে নাকি কোথাও নথের কোনও উল্লেখ পাওয়া যায়নি! আবার অনেকে বলেন, মোটেই না, দক্ষিণ ভারতীয়দের মধ্যে অনেকদিন আগে থেকেই দুই নাকই বেঁধানোর চল আছে। কই, সেখানে তো তখনও মোগলরা ঢোকেনি, তা হলে কী করে সেখানের লোকেরা নথ পরতে শুরু করল?

তবে আমরা বলি কী, নথ কে এনেছিল, কেন এনেছিল, কবে এনেছিল, এসব তত্ত্বকথায় না ঢুকে বরং এটিকে একটি ফ্যাশন অ্যাকসেসরি হিসেবে দেখলেই সমস্যা মিটে যায়। নথ বা নাকছাবি হল এমন একটি ফ্যাশন অ্যাকসেসরি, যা চট করে পাল্টে দিতে পারে আপনার লুকটাই। আদতে এটি ভারতীয় হলেও, পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গেও দিব্যি কায়দা করে পরা যায় এই নথ। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নানা ধরনের, নানা ডিজাইনের নথের ব্যবহার আছে। কখনও তা বড়, কখনও ছোট, কখনও সনাতনী, কখনও আধুনিক…ইদানীংকালে এই অ্যাকসেসরিটি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, এর প্রেমে মজেছেন সেলেব্রিটিরাও! বলিউডের বিদ্যা বালন, সোনম কপূরই বলুন বা টলিউডের স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, নথ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষায় পিছিয়ে নেই কেউই! তবে এঁদের মধ্যে আমরা আজ আলোচনা করব স্বস্তিকার নথ-নাকছাবির ফ্যাশন নিয়ে। ঊষা উত্থুপ যেমন কপালের ইয়া ব্বড় টিপ আর হাতের একগোছা কাচের চুড়িকে প্রায় নিজের পরিচয়ের অংশ বানিয়ে ফেলেছিলেন, স্বস্তিকা (Swastika Mukherjee) তেমনটাই করেছেন নথ নিয়ে! তিনি ভারতীয় সাজেই সাজুন বা পশ্চিমি কেতায়, নথ তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী! চলুন, তাঁকে অনুসরণ (inspiration) করে দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে যে-কোনও লুকে এই নথ-নাকছাবি (Nosepin) আপনার ফ্যাশন (Fashion) কোশেন্টে সেই অতিরিক্ত ঊষ্ণতা জোগাবে!  

১. সনাতনী ডিজাইনের নাকছাবি

ইনস্টাগ্রাম

ADVERTISEMENT

এই ধরনের ডিজাইন সোনালি রংয়ের হলেই ভাল। সোনার তৈরিও হতে পারে, আবার ইমিটেশন নাকছাবিও হতে পারে। তবে ট্র্যাডিশনাল সাজ, মানে, শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেই এরকম নাকছাবি মানাবে। সঙ্গে বাকি গয়নাও পরতে হবে মানানসই করে।

এখান থেকে কিনতে পারেন এরকম নাকছাবি

২. মরাঠী স্টাইলের নথ

ইনস্টাগ্রাম

ADVERTISEMENT

এটি মূলত মরাঠী মহিলারা পরলেও আজকাল ফ্যাশনে দারুণ ইন এই নথ! সাধারণত সোনা, মুক্তো ও লাল-সবুজ পাথর দিয়ে তৈরি হয় এই সাবেকি নথ। এককালে নাক বেঁধানো না হলে এই নথ পরাটাই সম্ভব ছিল না। কিন্তু এখন ফলস নথও পাওয়া যায়। ফলে সাজতে চাইলে যখন খুশি পরতে পারেন এরকম নথ। আর স্বস্তিকার মতো কায়দা করে পরতে পারলে ভারতীয় এবং পশ্চিমি, যে-কোনও সাজেই মানিয়ে যাবে এই ধরনের নথ!

এখান থেকে কিনতে পারেন এরকম নথ

৩. অক্সিডাইজড নাকছাবি

ইনস্টাগ্রাম

ADVERTISEMENT

এটিই বোধ হয় হালফিলের সবচেয়ে চালু নাকছাবি ডিজাইন। জিঙ্ক অক্সাইড, জার্মান সিলভার কিংবা রুপোর তৈরি নানা রকমের, নানা সাইজে পাওয়া যায় এই ধরনের নাকছাবি। একেবারে ছোট্ট, পাথরবসানো, মিনে করা, অক্সিডাইজডের ডিজাইন করা…যেরকম আপনার পছন্দ ও রুচি, সেরকম নথই বেছে নিন। স্বস্তিকা এখানে পরেছেন ডাবল লেয়ারড নথ, যাতে হালকা লাল মিনে করা আছে।

এখান থেকে কিনতে পারেন এরকম নাকছাবি

৪. বোতাম নাকছাবি

ইনস্টাগ্রাম

ADVERTISEMENT

সত্যি কথা বলতে গেলে, এরকম নাকছাবিই বরাবর বাঙালি পরিবারে পরা হত। নাকের উপর ছোট্ট একটা বোতামের মতো বসে থাকে এই ডিজাইনের নাকছাবি। তাই এই নাম। এখন নানা ধাতু দিয়ে তৈরি হয় এগুলি, পাওয়া যায় সেমি প্রেশাস স্টোন বসানো নাকছাবিও। আর স্বস্তিকার মতো যে-কোনও পোশাকের সঙ্গে, যে-কোনও অনুষ্ঠানে পরে ফেলতে পারেন এই নাকছাবি।

এখান থেকে কিনতে পারেন এরকম নাকছাবি

৫. সনাতনী টানা নথ

ইনস্টাগ্রাম

ADVERTISEMENT

এখান থেকে কিনতে পারেন এরকম নথ

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

 

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

ADVERTISEMENT
13 Jun 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT