এ এমন এক ত্বকের সমস্যা, যা হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসে। আর অমনই চিন্তায়-চিন্তায় আমাদের রাতের ঘুম উড়ে যায়! চিন্তা হবে না বলুন! মুখে বা শরীরের এখানে-সেখানে যদি একের পর এক ছোট-বড় আঁচিল (Mole) বেরতে শুরু করে তা হলে যে সৌন্দর্যের বারোটা বেজে যায়। অগত্যা ডার্মাটোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হয়। তাতে খরচ তো আর কম হয় না! সে খবর রাখি আমরাও। তাই এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা খোঁজ দিতে চলেছি, যা আঁচিল দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাহলে বলছেন, আঁচিল তুলতে (How To Remove Moles In Bengali) আর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে না? ইচ্ছে হলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতেই পারেন। কিন্তু তার আগে এই সব প্রাকৃতিক উপাদানগুলিকে একবার কাজে লাগিয়ে দেখুনই না উপকার পান কিনা! যদি কোনও ফল না মেলে, তখন না হয় চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
একাধিক 'পিগমেন্টটেড সেল' একসঙ্গে হয়ে যখন ফোঁড়ার মতো প্রকাশ পায়, তখন তাকে গোদা বাংলায় আঁচিল (Mole) বলা হয়। তবে ফোঁড়়ার ভিতরে যেমন পুঁজ থাকে, আঁচিলে তেমনটা থাকে না। আর আঁচিলের রং হয় কালো। সাধারণত মুখে, গলায়, ঘাড়ে, হাতে এবং পায়ে আঁচিল দেখা দেয়। কারও-কারও আবার নখের নীচে, স্ক্যাল্পে এবং পায়ের আঙুলেও আঁচিল থাকে।
অনেক কারণে আঁচিল দেখা দিতে পারে, যেমন ধরুন...
১| কোনও কারণে যদি ত্বকে মেলানিনের উৎপাদন বেড়ে যায়, তা হলে আঁচিল (Mole) দেখা দেওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
২| বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের পর দিন গায়ে যদি খুব রোদ লাগে, তা হলে ত্বকের কোষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে ত্বকের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে দেখা দেয় পিগমেন্টেশন। আর একাধিক পিগমেন্টড সেল একসঙ্গে হয়ে গেলেই প্রকাশ পায় আঁচিল। তাই এমন ধরনের ত্বকের সমস্যা থেকে যদি দূরে থাকতে হয়, তা হলে যতটা সম্ভব সূর্যালোক এড়িয়ে চলতে হবে। আর যদি কোনও কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে কাটাতে হয়, তা হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার মাস্ট!
৩| কোনও কারণে সিবেসিয়াস গ্ল্যান্ড বা তৈল গ্রন্থি থেকে যদি অতিরিক্তি মাত্রায় তেলের ক্ষরণ হয়, তা হলেও কিন্তু আঁচিল (Moles) দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে আঁচিলের রং হয় হলুদ।
৪| গর্ভাবস্থায় হরমোনের ক্ষরণ ঠিকমতো না হওয়ার কারণেও কিন্তু অনেক সময় এমন ধরনের ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কারও-কারও আবার জন্ম থেকেই আঁচিল থাকে।
যে কারণেই আঁচিল (Mole) প্রকাশ পাক না কেন, একবার এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলিকে কাজে লাগিয়ে দেখুন, উপকার যে পাবেই পাবেন, তা হলফ করে বলতে পারি। আর যদি ঘরোয়া টোটকার (Mole Removal Home Remedies) সাহায্যে সমাধান না মেলে, তা হলে আধুনিক চিকিৎসা তো আছেই! এক্ষেত্রে যে-যে উপদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে তুলো চুবিয়ে তা আঁচিলের উপর রেখে একটা ব্যান্ড এড লাগিয়ে দিন। ৫-৬ ঘণ্টা পরে তুলো সরিয়ে নিন। এইভাবে কয়েকদিন চিকিৎসা করলেই আঁচিল খসে যাবে। কিন্তু কী আছে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে, যা এক্ষেত্রে এতটা কাজে আসে? এতে উপস্থিত অ্যাসিডের কারণে আঁচিল (Mole) শুকিয়ে যায়। ফলে খসে পড়তে সময় লাগে না।
হাফ চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ২-৩ ড্রপ রেড়ির তেল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রণটা আঁচিলের (Mole) উপর লাগিয়ে তার উপরে ব্যান্ড এড লাগিয়ে দিন। এই অবস্থায় সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন জায়গাটা। টানা কয়েক দিন এভাবে চিকিৎসা করলেই উপকার পাবে। আসলে বেকিং সোডার কারণে আঁচিল শুকিয়ে যায়, অন্যদিকে রেড়ির তেল ক্ষতর চিকিৎসা করে। ফলে আঁচিল তো খসে যায়ই, সেই সঙ্গে তার দাগ মিলিয়ে যেতেও সময় লাগে না। এই মিশ্রণটি লাগানোর পর হয়তো একটু জ্বালা করতে পারে, তাতে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
একেবারে ঠিক শুনেছেন! আঁচিল দূর (Remove Mole) করতে কলার খোসা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে ছোট্ট একটা কলার খোসা নিয়ে তা আঁচিলের উপর রেখে ব্যান্ড এড লাগিয়ে দিন। এভাবে সারা রাত রেখে পরদিন খোসাটা ফেলে দিন। এভাবে ততদিন আঁচিলের চিকিৎসা করুন, যতক্ষণ না সেটা খসে পড়ছে। কিন্তু কলার খোসা কীভাবে আঁচিল দূর করে? এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে বেশ কিছু প্রাকৃতিক এনজাইম এবং অ্যাসিড, যেমন ধরুন, অক্সালিক অ্যাসিড এবং অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড, যা আঁচিল দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এই প্রাকৃতিক উপাদানেও মজুত রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা আঁচিলের চিকিৎসায় (Get Rid of Moles) দারুণ কাজে আসে। এক্ষেত্রে রসুনের একটা কোয়া নিয়ে তা ব্যান্ড এডের সাহায্যে আঁচিলের উপর লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিতে হবে। এভাবে টানা তিন সপ্তাহ চিকিৎসা করলেই ফল মিলবে হাতে-নাতে! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রসুনের কোয়ার পরিবর্তে আঁচিলের উপরে রসুনের পেস্টও লাগাতে পারেন, তাতেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নিখুঁত ত্বক পেতে চাইলে এই ফলগুলো প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতেই হবে
এতে রয়েছে বেশ কিছু অ্যাসিড এবং নানা পুষ্টিকর উপাদান, যা আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো আঁচিল দূর করতে লেবুর রস কাজে লাগাতে ভুলবেন না। অল্প পরিমাণে লেবুর রস নিয়ে তাতে তুলো চুবিয়ে তুলোটা আঁচিলের উপর রেখে ব্যান্ড এড লাগিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পরে তুলোটা ফেলে দিন। এভাবে দিনে দু'বার আঁচিলের চিকিৎসা (Get Rid of Moles) করলেই দেখবেন উপকার মিলতে সময় লাগবে না।
আঁচিলের চিকিৎসায় এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ, এতে রয়েছে Astringent Properties, যা এই ধরনের ত্বকের সমস্যার চিকিৎসায় দারুণ কাজে আসে। এক্ষেত্রে অল্প করে টি ট্রি তেল নিয়ে তুলোর সাহায্যে আঁচিলের উপর লাগিয়ে কিছু সময় রেখে দিতে হবে। দিনে বারদুয়েক এইভাবে আঁচিলের চিকিৎসা করলেই অল্প দিনে আঁচিল খসে (Remove Moles) যাবে। তবে জেনে রাখা ভাল যে, যত বেশি সময় টি ট্রি তেলে ভেজানো তুলো আঁচিলে লাগিয়ে রাখবেন, তত তাড়াতাড়ি উপকার মিলবে।
ছোট্ট একটা আলুর টুকরো নিয়ে তা আঁচিলের উপর কিছুক্ষণ ঘষতে হবে। তারপর টুকরোটা ব্যান্ড এডের সাহায্যে আঁচিলের উপর লাগিয়ে নিতে হবে। এইভাবে সারা রাত রেখে দিন। টানা ৭-১০ দিন এমনভাবে চিকিৎসা করলেই দেখবেন আঁচিল খসে পড়ে গেছে। আসলে আলুতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় "ব্লিচিং" কম্পাউন্ড, যা আঁচিলের চিকিৎসায় (Mole Removal) দারুন কাজে আসেই, সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতেও সময় লাগে না।
সকালে একবার এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে একবার অল্প করে নারকেল তেল নিয়ে আঁচিলের উপর লাগাতে হবে। নিয়মিত এমনটা করলে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসবে, সেই সঙ্গে আঁচিল খসে (Remove Moles) পড়তেও দেখবেন সময় লাগবে না। ত্বকের যত্নে নারকেলে তেল এতটা কাজে আসে কেন জানেন? কারণ এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা ত্বককে ভিতর থেকে সুন্দর করে তোলে, যে কারণে ত্বকের জেল্লা বাড়ে চোখে পড়ার মতো।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এই প্রাকৃতিক উপাদানটির গুরুত্ব অনেক। নানা রোগের প্রকোপ কমাতে এবং ত্বকের যত্নেও হলুদের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বিশেষত, আঁচিলের চিকিৎসাতেও হলুদকে কাজে লাগানো য়েতে পারে। এক্ষেত্রে ১ চামচ হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে ১ টা ভিটামিন সি ট্যাবলেট গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর তাতে অল্প করে মধু মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে তা আঁচিলের উপর লাগিয়ে ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে, যতক্ষণ না মিশ্রণটা শুকিয়ে যায়। তারপরে ধুয়ে ফেলতে হবে জায়গাটা। প্রতিদিন দু'বার করে এই ঘরোটা টোটকাটিকে কাজে লাগালেই উপকার মিলবে হাতে-নাতে।
আঁচিল আর তার আশেপাশের জায়গাটা একটু পরিষ্কার করে নিয়ে আঁচিলের উপর অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে তুলো চাপা দিয়ে একটা ব্যান্ড এইড লাগিয়ে ফেলুন। এইভাবে ২-৩ ঘন্টা থাকার পরে ব্যান্ড এইডটা খুলে ফেলে দিন। দিনে দু'বার এইভাবে আঁচিলের চিকিৎসা করলে ত্বকের ভিতরে বিশেষ কিছু এনজাইম, ভিটামিন এবং মিনারেলের মাত্রা বাড়তে শুরু করবে, যে কারণে আঁচিল তো খসে যাবেই, সেই সঙ্গে আরও অনেক উপকার পাবেন। তবে একটা কথা মাথায় রখবেন যে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে চিকিৎসা করলে ফল পেতে একটু সময় লাগে। তাই ধৈর্য হারালে চলবে না।
পেঁয়াজের রস তুলো ভিজিয়ে সেই তুলোটা আঁচিলের উপর লাগিয়ে কম করে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে জায়গাটা। এইভাবে দিনে বার তিনেক পেঁয়াজের রস আঁচিলের উপর লাগাতে শুরু করলে ত্বকের ভিতরে বিশেষ কিছু অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করবে, যে কারণে আঁচিল খসে পড়তে সময় লাগবে না।
দুই ড্রপ Oregano Oil-এর সঙ্গে সম পরিমাণে রেড়ির তেল মিশিয়ে সেই মিশ্রণটা আঁচিলের উপরে লাগাতে হবে। দিনে বারদু'য়েক এই মিশ্রণটি লাগাতে শুরু করলে ত্বকের ভিতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়তে শুরু করবে, যে কারণে অল্প সময়েই আঁচিল শুকিয়ে গিয়ে খসে পড়বে।
২ চামচ আনারসের জুস নিয়ে তাতে হাফ চামচ Sea Salt মিশিয়ে সেই মিশ্রণটা আঁচিলের উপরে লাগিয়ে মিনিটপনেরো ধীরে-ধীরে ঘষতে হবে। টানা এক সপ্তাহ এমনটা করলে ফল মিলবে হাতে-নাতে।
তিন ফোঁটা তিসি বীজের তেলের সঙ্গে ২ ফোঁটা মধু মিশিয়ে সেই পেস্টটা আঁচিলের উপর লাগিয়ে কম করে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। সময় হলে ধুয়ে ফেলতে হবে জায়গাটা। দিনে দু'বার এই মিশ্রণটা আঁচিলের উপর লাগালে দ্রুত ফল মিলবে। সঙ্গে যে-কোনও ধরনের দাগ-ছোপও দূর হবে।
হাফ কাপ ধনেপাতার সঙ্গে অল্প করে জল মিশিয়ে ভাল করে বেটে নিন। এবার সেই পেস্টটা আঁচিলের উপরে লাগিয়ে মিনিটদশেক অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে জয়গাটা ভাল করে ধুয়ে নিন। প্রতিদিন এই পেস্টটা লাগালে তবেই কিন্তু উপকার মিলবে।
পরিমাণমতো মধু নিয়ে আঁচিলের উপর লাগিয়ে একটা ব্যান্ড এড লাগিয়ে নিন। এক ঘণ্টা পরে ব্যান্ড এডটা খুলে জয়গাটা ভাল করে ধুয়ে নিন। দিনে বারতিনেক আঁচিলের উপর এভাবে মধু লাগালেই দেখবেন কেল্লা ফতে!
আঁচিল দূর করতে এই সবজিটির কোনও বিকল্প নেই! এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে ফুলকপির রসের। তাতে কিছুক্ষণ তুলো চুবিয়ে সেটা আঁচিলের উপর রেখে কম করে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। সময় হলে জায়গাটা ধুয়ে নিন। প্রতিদিন বারদু'য়েক এই রস আঁচিলে লাগালেই উপকার পাবেন।
এক মুঠো কাজুবাদাম সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে দিন। পরদিন সকালে জলটা ছেঁকে নিয়ে কাজুবাদামগুলি বেটে একটা পেস্ট বানিয়ে সেটা আঁচিলের উপর লাগান। এক ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। টানা এক মাস এই চিকিৎসা (Get Rid of Moles) চালালে উপকার পাবেনই পাবেন।
এক টুকরো স্ট্রবেরি নিয়ে তা আঁচিলের উপর রেখে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তাতে এই ফলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে, যে কারণে আঁচিল শুকিয়ে যেতে সময় লাগবে না।
আরও পড়ুন: কাঁচা হোক বা পাকা, রূপচর্চায় এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য পেঁপে কিন্তু দারুণ উপকারী
২ চামচ জিরে, জলে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরের দিন জিরাটা বেটে একটা পেস্ট তৈরি করে ফেলুন। পেস্টটা এবার আঁচিলে (Moles) লাগিয়ে আধ ঘণ্টার অপেক্ষা। সময় হলেই জয়গাটা ধুয়ে ফেলুন। টানা ২ সপ্তাহ এই চিকিৎসা চালালে ফল মিলবে একেবারে হাতে-নাতে।
এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে হলে কতগুলি সাবধানতা না নিলেই নয়! যেমন ধরুন...
রোগে খুব ঘোরাঘুরি করলে ত্বকের ভিতরে মেলানিনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যে কারণে আঁচিলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই তো গরমকালে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টে পর্যন্ত যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলুন। আর যদি বেশি সময় রোদে কাটাতেই হয়, তা হলে এমন ড্রেস পরতে হবে, যাতে শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঢাকা থাকে।
গরমকালে বাড়ি থেকে বেরনোর আগে সানস্ক্রিন লাগানো মাস্ট! কারণ আঁচিলসহ গরমকালে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা নানাবিধ ত্বকের সমস্যাকে দূরে রাখতে এই ক্রিমটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন ধরুন, বাড়ি থেকে বেরনোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। শুধু তাই নয়, দিনের বেশিরভাগ সময় যদি রোদে কাটাতে হয়, তা হলে ২ ঘণ্টা অন্তর-অন্তর সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।
একথা সকলেরই জানা আছে যে, আমাদের ত্বকের উপরে প্রতিনিয়ত মৃত কোষ জমতে থাকে। তাই সপ্তাহে ২-৩ দিন যদি স্ক্রাবারের সাহায্যে মুখ পরিষ্কার না করলে মৃত কোষ জমতে-জমতে আঁচিল বেরনোর আশঙ্কা বাড়ে। তাই ঠিক-ঠিক নিয়ম মেনে ত্বকের যত্ন নেওয়াটা জরুরি।
ছবির কৃতজ্ঞতা স্বীকার: Wikipedia
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!