শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য ওয়্যাক্সিং-এর চেয়ে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। একবার একটু কষ্ট করে ওয়্যাক্সিং করিয়ে নিলে অন্তত মাসখানেকের জন্য নিশ্চিন্ত। তবে পার্লারে অনেকসময়েই ওয়্যাক্সিং করাতে গিয়ে অনেকে অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হন। প্রথমত, কখন পার্লারে যাবেন, সেই সময়টা বের করা একটা চিন্তার বিষয়। দ্বিতীয়ত, পার্লারগুলোতে যথেষ্ট ভিড় থাকে। তৃতীয়ত, সব সময়ে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে না সব পার্লার এবং সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, প্রতিটি পার্লারেই ওয়্যাক্সিং-এর জন্য অনেক বেশি খরচ হয়! তার চেয়ে যদি কয়েকটা বিষয় একটু মাথায় রাখেন, তা হলে বাড়িতেই আপনি অনায়াসে waxing করে নিতে পারেন, তা-ও কারও সাহায্য ছাড়াই! তাতে ব্যথাও কম লাগবে এবং পয়সাও বাঁচবে!
আপনি কীভাবে বাড়িতে ওয়্যাক্স করবেন আগে তা ঠিক করে নিন। Ready to use waxing strips দিয়ে করবেন নাকি ওয়্যাক্সিং জেল দিয়ে করবেন, সেটা আপনাকেই ভাবতে হবে। Waxing kit-এর সঙ্গে রাখুন বেবি পাউডার, বডি লোশন এবং ব্যথা কমানোর জেল বা বাম। যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয়, সেক্ষেত্রে অ্যালো ভেরাযুক্ত ওয়্যাক্স ব্যবহার করুন।
খেয়াল করে দেখবেন, অনেকসময়ে আমাদের অবাঞ্ছিত লোমের ইনার গ্রোথ হয়। অর্থাৎ চামড়ার ভিতরে ওই লোমগুলো থাকে, ফলে যাই করুন না কেন কিছুতেই উঠতে চায় না! সেজন্য ওয়্যাক্স করার আগে ত্বক এক্সফোলিয়েট করে নিন, অর্থাৎ স্ক্রাব করে নিন। যেদিন বাড়িতে ওয়্যাক্স করবেন, সেদিন কিন্তু এক্সফোলিয়েট করবেন না, দু'-একদিন আগে করুন, তাতে waxing করতে গেলে ব্যথা কম লাগবে।
যদি অবাঞ্ছিত লোমের লেংথ খুব ছোট হয় তা হলে ওয়্যাক্স করে কোনও লাভ নেই, কারণ তাতে অবাঞ্ছিত লোমের থেকে মুক্তি তো পাবেনই না, উল্টে কপালে জুটতে পারে ব্যথা। আপনার অবাঞ্ছিত লোমের লেংথ যদি হাফ ইঞ্চি বা এক কড় মতো হয়, তা হলে সবচেয়ে ভাল ফল পাবেন। অন্যভাবে বলতে গেলে ওই লেংথের অবাঞ্ছিত লোম ওয়্যাক্সিং-এর জন্য বেস্ট! একবারেই উঠে আসে।
Waxing করার সময়ে কিন্তু ঘাম হয় এবং ঘাম হল ওয়্যাক্সিং-এর জন্য সবচেয়ে বড় বাধা। যেদিন বাড়িতে ওয়্যাক্স করবেন তার আগে ময়েশ্চারাইজার অথবা তেল লাগাবেন না ত্বকে। খুব ভাল হয় যদি এসি চালিয়ে ওয়্যাক্স করেনয তা হলে ঘাম কম হবে এবং তাড়াতাড়ি waxing-ও হয়ে যাবে।
যদি gel waxing kit দিয়ে ওয়্যাক্সিং করেন, তা হলে কত তাপমাত্রায় ওয়্যাক্স গরম করছেন, সেটা দেখে নিন। খুব কম যদি গরম করেন, তা হলে আপনার অবাঞ্ছিত লোমের উপরে ওয়্যাক্স ঠিক করে লাগাতে পারবেন না, আবার যদি খুব বেশি গরম করেন, তা হলে চামড়া পুড়ে যেতে পারে। আপনি ঠিক কতটা গরম সহ্য করতে পারবেন, সেটা বুঝে সেই তাপমাত্রায় ওয়্যাক্স গরম করুন।
পার্লারে গিয়ে ওয়্যাক্সিং করাতে ব্যথা লাগে, কিন্তু বাড়িতে যদি ওয়্যাক্সিং করেন, তা হলে ব্যথা লাগবে না – এমন ধারণা ভুল করেও মনে আনবেন না। ওয়্যাক্সিং করতে গেলে একটু ব্যথা লাগবেই। এই কথাটি মনে রেখেই কাজে নামুন।
ওয়্যাক্সিং-এর ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি কীভাবে স্ট্রিপ টানছেন সেটা জানা জরুরি। আপনার ত্বকের অবাঞ্ছিত লোমের স্বাভাবিক গ্রোথ যেদিকে, তার উল্টো দিকে স্ট্রিপ টানুন এবং একবারে ঝট করে টানুন যাতে ব্যথা কম লাগে। মনে রাখবেন, এটি কোনও পিল অফ মাস্ক নয় যে ধীরে-ধীরে টেনে তুলবেন!