হিন্দিতে একটা খুব জনপ্রিয় প্রবাদ আছে, যার আক্ষরিক অর্থ করলে দাঁড়ায় মোষ যেন এসে আমায় গুঁতিয়ে যায়! কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) বা এক কথায় বলা চলে দুই রানাউত বোন সেই দলে পড়েন। কঙ্গনা শের তো বোন রঙ্গোলি সোওয়া শের! বলিউডে তো আবার অনেকে ফিসফিস করে বলছে এই দুই বোনের জন্য আলাদা করে প্রবাদ তৈরি করতে হবে বা চেনা প্রবাদ পাল্টে দিতে হবে। লোকে নিজের পায়ে কুড়ুল মারে শুনেছি কিন্তু এঁরা দু’জনে গিয়ে কুড়ুলে পা মারেন! সত্যিই তাই। এমনিতে ‘মেন্টাল হ্যায় কেয়া!’ ওহ সরি এখন তো ছবির নাম পাল্টে গিয়ে হয়েছে ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’। সে নাম যাই হোক না কেন, ছবি নিয়েই গোড়া থেকেই বিতর্কের শেষ ছিল না। এমনিতেই এই মেন্টাল শব্দে আপত্তি জানায় মানসিক রোগীদের নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলি ও মনোবিদরা। তাঁদের মনে হয়েছিল এই প্রশ্ন অর্থাৎ তুমি কি একজন মানসিক রোগী? খুবই আপত্তিজনক। বিতর্ক থেকে বাঁচতে তড়িঘড়ি ছবির নাম পাল্টে দেওয়া হয়। কিন্তু এখানেই গল্প শেষ নয়। ছবির পোস্টারে জিভের উপর ব্লেড রাখা ছবি নিয়েও অনেকে আপত্তি জানান। সেটাও পাল্টে দেওয়া হয়। আচ্ছা বলুন তো ঝুড়ি-ঝুড়ি বিতর্ক যখন আগে থেকেই মজুত ছিল, সেখানে গায়ে পড়ে বা বলা চলে পায়ে পা দিয়ে আরও একটু বিতর্ক যোগ করার কি দরকার ছিল? হ্যাঁ, ছিল। কারণ, কঙ্গনা বিতর্ক দিয়ে বিতর্ক রেঁধে সেটা খেয়ে বিতর্ক বিছিয়ে শুয়ে পড়েন। কার বয়ফ্রেন্ড বয়সে বড় বা কোন পরিচালক একদমই ছবি করতে পারেন না, সেই নিয়ে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করে তিনি ইতিমধ্যেই বিতর্ক ‘কুইন’ হয়ে বসে আছেন। কিছুদিন আগেই তাঁর নতুন ছবি ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’র একটি গান লঞ্চে যুক্ত হল নতুন বিতর্ক। পিটিআইয়ের একজন সিনিয়ার সাংবাদিকের প্রশ্নে কঙ্গনা তাঁকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ শুরু করেন। ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিয়ো। সেখানে দেখা যায় সাংবাদিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি থেকে সেটা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গেছে। আর একটাই কারণ। সেই সাংবাদিক (journalists) নাকি কঙ্গনার আগের ছবি ‘মণিকর্ণিকা’র খুব খারাপ রিভিউ করেছেন। আর সেটা নাকি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে রীতিমতো পয়সা নিয়ে করেছেন। এই ষড়যন্ত্র নাকি কঙ্গনা ধরতে পেরেছেন। দেখুন সেই ভিডিয়ো।
আর এতেই ভয়ানক খেপে গেছেন মুম্বইয়ের বিনোদন সাংবাদিক মহল। ছবির প্রযোজক একতা কপূরের কাছে মুম্বইয়ের এন্টারটেনমেন্ট জার্নালিস্ট গিল্ড অব ইন্ডিয়ার ১০ জন সিনিয়র সাংবাদিক গিয়ে দেখা করেন। তাঁরা দাবি করেন, প্রযোজনা সংস্থা থেকে এই বিষয়ের বিশ্লেষণ করে একটি বয়ান দিতে হবে এবং অবশ্যই কঙ্গনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। একতা জানান তাঁর সংস্থা বয়ান দেবে। নীচে সেই বয়ানটি হুবহু দিয়ে দেওয়া হল।
Official Statement from Balaji Telefilms:
To whomsoever it may concern:
A lot is being reported about the debate that ensued between our film JudgeMentall Hai Kya’s actor and journalist Justin Rao, at the film’s song launch event on July 7th, 2019. Unfortunately, the event took an unpleasant turn.
While the people involved in it fairly held their own perspectives but because it happened at the event of our film, we, as the producers, would like to apologize and express regret for this untoward incident.
We would like to maintain that our intention was not to disrespect or hurt anyone’s sentiments.
Our film JudgeMentall Hai Kya releases on July 26th and we urge the media to not let this one incident hamper the team effort that has gone behind making the film.
তবে কঙ্গনা কী বলেছেন, সে দায় একান্তভাবেই তাঁর। সুতরাং সেই বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। এবার মাঠে নামেন কঙ্গনার বোন রঙ্গোলি। তিনি টুইট করেন যে, তাঁর দিদির ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। একবার সেই টুইটের ভাষার বহর দেখুন!
Ek baat ka main vaada karti hoon, Kangana se apology toh nahin milegi, in bikau, nange, deshdrohi, desh ke dalal, libtard mediawalon ko, magar woh tumko dho dho kar sidha zaroor karegi … just wait and watch, tumne galat insaan se maafi mangi hai … 🙏 pic.twitter.com/gm8UvupO3S
— Rangoli Chandel (@Rangoli_A) July 9, 2019
বিষয়টি যেহেতু কঙ্গনাকে ঘিরে সেহেতু রঙ্গোলির এই বিষয়ে কথা না বললেও চলত। বোন হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর খারাপ লাগতেই পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে এত জলঘোলা না করলেই পারতেন। সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, কঙ্গনা ক্ষমা না চাইলে তাঁর কোনও ছবির প্রেস রিলিজে তাঁরা থাকবেন না। কঙ্গনা কোনও ইভেন্টে এলে তাঁরা সেই জায়গা ছেড়ে চলে যাবেন। জলে বাস করে যে কুমিরের সঙ্গে বিবাদ মানায় না সেটা কি কঙ্গনা ও রঙ্গোলি ভুলে গেছেন? নাকি কঙ্গনা বুঝতে পেরেছেন ছবিতে রাজকুমার রাও তাঁকে ছাপিয়ে গেছেন! আর সেটা সহ্য হচ্ছে না বলেই…! সাধে কী উত্তমকুমার বলে গেছেন যে ”ওরা কোনও ল মানে না…!!”
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!