অনেক তো হল নানা প্রসাধনীর ব্যবহার। এবার না হয় ত্বকের জৌলুস বাড়াতে একটু যোগাসনের উপর ভরসা রাখা যাক। বলেন কী! যোগাসন করে ত্বকের জেল্লাও বাড়ানো সম্ভব? আলবত সম্ভব! তবে যেমন-তেমন যোগাসন করলে চলবে না। বরং ভরসা রাখতে পারেন বিশেষ কিছু ফেসিয়াল যোগার উপর। তবেই মিলবে নানা উপকার। বিশেষ করে ত্বকের লাবণ্য তো বাড়বেই, সঙ্গে বলিরেখাও উধাও হয়ে যাবে, যে কারণে ত্বক এমন সুন্দর হয়ে উঠবে যে কেউই আপনার থেকে নজর ফেরাতে পারবে না। কিন্তু প্রশ্ন হল আসনের (exercises) সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যের সম্পর্কটা ঠিক কোথায়?
আমাদের সারা মুখ জুড়ে কম-বেশি প্রায় পঞ্চাশটি পেশি রয়েছে, যার প্রতিটির ক্ষমতা বাড়ে নিয়মিত ফেসিয়াল এক্সারসাইজ করলে। সঙ্গে ত্বকের প্রতিটি কোণায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়, যার ফলে ত্বকের সৌন্দর্য তো বাড়েই, সঙ্গে ত্বকের বয়সও কমতে শুরু করে। আর ত্বক ভিতর থেকে সুন্দর হয়ে ওঠার কারণে সহজে ত্বকের লাবণ্য কমে যাওয়ার ভয়ও আর থাকে না। তাই তো বলি, ত্বককে ভিতর থেকে সুন্দর করে তোলার মধ্যে দিয়ে যদি বাইরের জৌলুস বাড়াতে হয়, তা হলে সপ্তাহে দিনপাঁচেক, মিনিটকুড়ি করে এই ফেসিয়াল এক্সারসাইজগুলি করতে ভুলবেন না যেন!
১. ত্বকের পেশির ক্ষমতা বাড়ে।
২. বলিরেখা উধাও হয়ে যায়।
৩. সারা মুখে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে।
৪. ত্বকের ইলাস্টিসিটির উন্নতি ঘটে।
হাসলেই আসন হয়ে যাবে? এক্কেবারে! তবে প্রাণ খুলে হাসতে হবে। মানে হাসিটা যেন কান পর্যন্ত পৌঁছয়। সঙ্গে আরও একটা কাজ করতে হবে। কী কাজ? হাসার সময় আঙুল দিয়ে গালটা উপরের দিকে ঠেলতে হবে। তাতে গালের পেশির ক্ষমতা বাড়বে। তাতে বলিরেখা কমবে বই কী!
খেয়াল করে দেখবেন, থুতনি আর গলার আশেপাশের চামড়াতেই কিন্তু প্রথম বয়সের ছাপ পড়ে। তাই তো ত্বকের বয়স ধরে রাখতে এমনটা যাতে না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর ঠিক সেই কারণেই নিয়মিত তিরিশ সেকেন্ড গলা এবং মুখের সংযোগস্থলের চামড়া আঙুল দিয়ে উপরের দিকে ঠেলে রাখতে হবে, এই সময় দৃষ্টি থাকবে উপরের দিকে। সপ্তাহে বারচারেক এই আসনটি করতে হবে!
প্রথমে কপালে ভাঁজ ফেলুন, তার কয়েক সেকেন্ড পরে মাথা সোজা রেখে সিলিং-এর দিকে তাকান। এমনটা করা মাত্র চোখ কপালের দিকে ঠেলে উঠবে। ফলে কপালের চামড়ায় ভাঁজ পরবে। এইভাবে দুটো আসন বার পাঁচেক করুন, তাহলেই দেখবেন কপালে প্রকাশ পাওয়া সব বলিরেখা মিলিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে কপালের চামড়াও টানটান হয়ে উঠবে।
চোখ মারতে জানেন? তা হলেই আর কোনও চিন্তা নেই! মানে? সহজ কথায় বললে চোখ মারাটাও এক ধরনের এক্সারসাইজ। এক্ষেত্রে এক সেকেন্ড করে এক একটা চোখ বন্ধ রাখতে হবে। বার কুড়ি এই আসনটা করলে চোখের আশেপাশে প্রকাশ পাওয়া বলিরেখাগুলি তো মিলিয়ে যাবেই, সঙ্গে ত্বকের ইলাস্টিসিটিও বাড়বে। ফলে ত্বকের বয়স কমতে সময় লাগবে না।
চটজলদি বলিরেখার খপ্পর থেকে মুক্তি পেতে চান কি? তা হলে একটা কাজ করুন। খাটে বসে সামনের দিকে তাকান। এবার ডান চোখের উপরের পাতা বন্ধ না করে ধীরে-ধীরে নীচের পাতাটা আঙুল দিয়ে ঠেলে বন্ধ করুন। কয়েক সেকেন্ড থাকার পরে বাঁ চোখের নীচের পাতাটা একই ভাবে বন্ধ করুন। এভাবে আসনটা বার কুড়ি করতে হবে। সপ্তাহে দিনপাঁচেক এক্সারসাইজটি করলেই দেখবেন বলিরেখা সব মিলিয়ে যাবে।
চোখের তলায় তিনটে আঙুল রেখে চামড়াটা নীচের দিকে ঠেলুন। সেই সঙ্গে চোখটা বন্ধ করার চেষ্টা করুন। এমনটা করা মাত্র চোখের তলার পেশির ক্ষমতা বাড়তে শুরু করবে, সঙ্গে মুখের এই অংশে রক্তের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগবে না। দু'চোখ মিলিয়ে মোট কুড়ি সেকেন্ড করে দিনে পাঁচবার এই এক্সারসাইজটা করলে অল্প সময়েই ফল মিলবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!