পুজো (puja) এলেই আমাদের সবারই কেমন যেন বাঁধন ছেঁড়া ভাব হয়। মা বলেন রান্নাঘরে যেতে ইচ্ছে করছে না, বাবা বলেন আজ আর অফিস যাব না। মন উড়ু উড়ু হয়ে যায় সবার। আর পুজোর পাঁচ দিন তো কথাই নেই। কোনও রকমে সকাল হলেই পাখি ফুড়ুৎ। ব্রেকফাস্টের নিকুচি করেছে। পারলে দাঁতটাও ঠাকুর দেখতে দেখতে মাজলে ভাল হয়। আর একবার ভোর ভোর বাড়ির বাইরে বেরনো মানেই সেই রাত্তিরে ফেরা। পাগল নাকি বলুন তো? দুপুর বা বিকেলে বাড়ি এলে মা আর বেরোতে দেবে? তারচেয়ে বাবা সেই রাতে ফেরাই ভাল। এখন সারাদিন ঘোরাঘুরি করলে একটু তো ঘাম ঝরবেই। আর তার জন্য চাই এমন পারফিউম (perfumes) যার সুবাস হবে লং লাস্টিং। অর্থাৎ সারাদিন পুজোর ভিড়েও (crowd) আপনি থাকবেন তরতাজা (fresh)। কী সেই ম্যাজিক জেনে নিন চট করে।
কোথায় কোথায় পারফিউম লাগাবেন
আমরা পরামর্শ দিচ্ছি জামাকাপড়ে যতটা সম্ভব কম পারফিউম লাগাতে। এর দুটো কারণ আছে। এক হল এতে জামাকাপড়ে বিশ্রী দাগ হয়ে যায় আর দুই হল জামাকাপড় থেকে চট করে পারফিউম উবে যায়। তাই আন্ডার আর্মস ছাড়াও পারফিউম লাগান দুই হাতের কবজিতে। এছাড়া যেখানে আপনি হাত ভাঁজ করছেন অর্থাৎ কনুইয়ের উল্টো দিকে আর যেখান থেকে পা ভাঁজ করছেন অর্থাৎ হাঁটুর পিছন দিকে এবং গোড়ালিতে স্প্রে করুন সুগন্ধি।
কোথায় রাখবেন পারফিউমের শিশি
পুজোর আগে পারফিউমের শিশি রাখুন ফ্রিজে। ঠান্ডা জায়গায় রাখলে সুগন্ধ অনেকদিন থাকে।
কখন লাগাব পারফিউম
হাল্কা উষ্ণ জল আমাদের ত্বকের ছিদ্র বড় করে দেয়। তাই যে কোনও বস্তু রোমকূপ দিয়ে ত্বকের গভীরে চলে যেতে পারে। সারাদিন ঠাকুর দেখার প্ল্যান থাকলে হাল্কা গরম জলে স্নান করে নিন আর তারপরেই পারফিউম লাগিয়ে নিন। পারফিউম লাগিয়ে তারপর জামাকাপড় পরুন। যে কোনও স্নায়ুসন্ধিতে পারফিউম লাগালে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়। কারণ আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে স্নায়ুসন্ধি অনেক বেশি গরম হয়। সেইজন্যই কবজি, কনুই আর হাঁটু ইত্যাদি জায়গায় পারফিউম লাগাতে বলা হয়। তবে এইসব জায়গায় পারফিউম লাগানো মাত্রই ঘষে দেবেন না। পারফিউম কিন্তু আতর নয়। ঘষে দিলে আপনি বাইরে বেরনোর একটু পড়েই গন্ধ উবে যাবে।
চুলে যদি গন্ধ হয়?
চুলে পারফিউম না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। সুগন্ধি তেল, শ্যাম্পু বা সেরাম ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। চুলে পারফিউম দিলে চুল শুষ্ক হয়ে যাবে। তবে চিরুনিতে অল্প একটু পারফিউম স্প্রে করে সেটা দিয়ে চুল আঁচড়ে নিতে পারেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!