ADVERTISEMENT
home / Our World
সত্যিকারের পুজোর গল্প: দুর্গা পুজোর স্মৃতিকথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন POPxo-র বাঙালিরা

সত্যিকারের পুজোর গল্প: দুর্গা পুজোর স্মৃতিকথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন POPxo-র বাঙালিরা

দুর্গা পুজো (Durga Puja) বলতেই কারও মনে পড়ে কাশবনে ঢেউ খেলানো অনেক কাশফুল, আবার কারও বা পুজোর স্মৃতি একেবারেই অন্যরকম! বয়সের কাঁটা যত ডানদিকে এগোয়, পুজোর অভিজ্ঞতাগুলো কিন্তু তত বেশি পাল্টাতে থাকে! এবার পুজোয় কে কী করছেন, কবে কোন ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন…সেসব নিয়ে কথা হচ্ছিল, আমার সহকর্মীদের অনেকেই দেখলাম নিজের-নিজের পুজোর (Durga Puja) স্মৃতিতে হারিয়ে গেলেন। তাঁরা অনেকে বহুদিন প্রবাসী, অনেকে এখনও খাঁটি কলকাত্তাইয়া, কেউ হয়তো কোনওদিন কলকাতার পুজো দেখেনইনি! POPxo-তে আমার কয়েকজন সহকর্মীর সেসব স্মৃতিরই (memories) একটা মালা তৈরি করে আপনাদের সামনে পেশ করছি। আজ আমাদের গল্প শুনে নিন, এর পর আসবে আপনাদের কী মনে পড়ে দুর্গা পুজো বলতে, তার পালা!

প্রবাসে থাকলেও অষ্টমীর সকালে অঞ্জলিটা কিন্তু মিস করি না!

রুচিরা বোস, কনটেন্ট হেড, Luxeva India Limited

বাঙালি হলেও, আমি কোনওদিনই কলকাতায় থাকিনি। আমার জন্ম-বড় হয়ে ওঠা দিল্লি এবং বিদেশে। ইন ফ্যাক্ট, কর্মসূত্রেও অনেকদিন বিদেশে থেকেছি। ফলে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সঙ্গে যে প্রচণ্ড পাগলপারা ভালবাসাটা, সেটা অতটা খচখচ করে না আমার মধ্যে। কিন্তু আদতে বাঙালি তো, তাই পুজো এলে আমারও ভাল লাগে। আসলে আমার মনে হয়, পুজোর সঙ্গে পাড়া ব্যাপারটাও কোথাও না-কোথাও জড়িয়ে! সেই পাড়াটা আমি কোনওদিন পাইনি, তাই পুজোর আড্ডা, পুজোর (Durga Puja) খাওয়াদাওয়া, এগুলোও খুব কমই এসেছে আমার জীবনে! তবে দুটো ঘটনার কথা আজ খুব মনে পড়ছে। এক, ছোটবেলায় দিল্লির চাণক্যপুরী অঞ্চলে মামাবাড়িতে যেতাম পুজোর সময়। তখন আমার বছরতিনেক বয়স, তখন নাটক করেছিলাম! ছোট্ট রোল, আমাকে শাড়ি পরিয়ে তরকারিওয়ালি সাজানো হয়েছিল, আমার ডায়লগ ছিল ‘আলু লে লো, ব্যাঙ্গন লে লো’…ওটা ভারী মন দিয়ে করেছিলাম। ঘোমটা টেনে লজ্জা-লজ্জা মুখ করে তোলা একটা সাদা-কালো ছবিও বোধ হয় মায়ের কাছে আছে এখনও! তারপর নেক্সট যে ঘটনাটা মনে আছে, সেটা বিয়ের পর প্রথম পুজো। তখন আমি সিঙ্গাপুরে। খুঁজে-খুঁজে পুজো বের করলাম, রামকৃষ্ণ মিশনের। গেলামও, কিন্তু ভারী হতাশ হয়েছিলাম পুঁচকেস্য পুঁচকে দুর্গাপ্রতিমা দেখে! তার উপর অঞ্জলির বদলে সকলে গান গাইছিল! ওদের নিয়ম অনুযায়ী ছেলে আর মেয়েরা আলাদা বসেন। তাই আমি আর আমার বর আলাদা-আলাদা বসে বিয়ের পর প্রথম পুজো সেলিব্রেট করলাম! তবে দেশে ফিরে আসার পর থেকে একটা জিনিস আমি প্রতিবার করি, সেটা হল, অষ্টমীর সকালে অঞ্জলিটা মিস না করার চেষ্টা। এবার পুজোয় মুম্বই থাকব, নিশ্চয়ই ভাল কাটবে। কারণ, এখানে এখন অনেক পুজো হয়!

ADVERTISEMENT

রুচিরা বোস, কনটেন্ট হেড, Luxeva India Limited

সেবারের দুর্গা পুজোটা ছিল একদম অন্যরকম!

পরমা সেন, এডিটর, POPxo Bangla

আমি জন্মসূত্রে কলকাতার বাসিন্দা। কর্ম এবং বিবাহসূত্রে এখন মুম্বই প্রবাসী। এই শহরের দুর্গা পুজো (Durga Puja) আর আমার শহরের দুর্গা পুজোর মধ্যে বিস্তর ফারাক। এখানে পুজো মানে রিইউনিয়ন, ছোট্ট এক টুকরো মাঠে একটা কলকাতা, একটা বাংলা তৈরি করা! যেখানে ফুচকা থেকে ঝালমুড়ি, তাঁতের শাড়ি থেকে বাংলা বই, সব পাওয়া যায়। বাংলায় কথা বলা যায়, বাঙালি সাজে সাজা যায়! কলকাতার মতো প্যান্ডেলে ঘুরে-ঘুরে গলদঘর্ম হওয়া নেই, রেস্তরাঁর বাইরে লাইন নেই, পাড়ার প্যান্ডেলে সকালে জমাটি আড্ডা নেই…আছে এসি টেন্টে বসে পুজো উপভোগ করা, ভোগ দেওয়া-খাওয়া, রাতে কালচারাল প্রোগ্রাম দেখা ইত্যাদি ইত্যাদি। আজকে পুজোর অভিজ্ঞতা লিখতে বসে, প্রথম যে অভিজ্ঞতাটা মাথায় এল, আশ্চর্যভাবে সেটা মুম্বইয়ে আমার প্রথম পুজোর (Durga Puja)! সেবার পুজো পড়েছিল অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে, প্রথম সপ্তাহে আমার ছেলে হয়েছে, প্রি-ম্যাচিওর বেবি, তখন এক মাস তাকে NICU তে থাকতে হবে বিশেষ তত্ত্বাবধানে। আমি বাড়ি আর হাসপাতালে শাটল ককের মতো খাবি খাচ্ছি। নিজের সি-সেকশনের সেলাইয়ে হাত বুলোতে-বুলোতে ছেলেকে ক্যাঙারু কেয়ার দিচ্ছি হাসপাতালের চেয়ারে বসে। এর মধ্যেই মহালয়া শুনলাম মোবাইলে, নার্সদের কড়া নজর এড়িয়ে ছেলের কানেও ধরলাম ফোনটা। আট মাসে জন্মানো ১,৬০০ গ্রামের ইঁদুরছানা কী বুঝল জানি না, একবার হাই তুলল বটে! পুজোর (Durga Puja) চারটে দিন ঠাকুর দেখতেই হবে। বিকেলে হাসপাতালেই সেজেগুজে নিচ্ছি আর বেরিয়ে পড়ছি কোনওদিন টিউলিপ স্টার হোটেলে রানি মুখোপাধ্যায়ের পুজোতে, কোনওদিন লোখন্ডওয়ালায় অভিজিতের পুজোতে। ভোগ ঠুসেই আবার খার-এ হাসপাতালে, ক্যাঙারু কেয়ার! ছেলেকে গল্প শোনাচ্ছি, নার্সরাও মিটিমিটি হেসে শুনছে! ছেলে হাই-ই তুলে চলেছে! মজাটা হল বিজয়া দশমীর দিন। খার রামকৃষ্ণ মিশনে সিঁদুর খেলে ভূত সেজে হাসপাতাল পৌঁছলাম! দারোয়ান থেকে শুরু করে নার্স, সকলে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে মুখের দিকে! স্মার্টলি বললাম ফেস ওয়াশ হ্যায় কেয়া? বেচারিরা আরও ঘাবড়ে গিয়ে তড়িঘড়ি বের করে দিল। হাসপাতালের ওয়াশরুমে ভাল করে মুখ ধুয়ে, সবুজ গাউন পরে হাতে-পায়ে নল জড়ানো ছেলেকে বুকে তুলে কানে-কানে বললাম, ‘পটাই, শুভ বিজয়া।’ বিশ্বাস করুন, একটুও বাড়িয়ে বলছি না, ছেলে সেই প্রথম ফিক করে হাসল ঘুমের ঘোরে! আর ব্যাটা আমার গত ৩৬ বছরের দুর্গা পুজো (Durga Puja) নিয়ে সব স্মৃতি ভুলিয়ে দিয়ে ওটাই সবচেয়ে মেমোরেবল পুজো করে দিল!

ADVERTISEMENT

পরমা সেন, এডিটর, POPxo Bangla

প্রবাসের প্রথম পুজো

স্বরলিপি ভট্টাচার্য, লাইফস্টাইল এডিটর, POPxo Bangla

বয়স যত বাড়ে। পাল্টাতে থাকে দুর্গা পুজোর (Durga Puja) মানে। রাস্তার ওপর বাঁশ পড়া দেখে একসময় পুজো শুরু হত। রোদ্দুরের পাল্টে যাওয়া ফিল করতাম। সন্ধিপুজোর পরই নাকি দুগ্গার চোখ ছলছল করে, বলতেন এক দাদু। বিশ্বাস করতাম সেটাও। সে সময় অষ্টমীর দিন প্রচুর সেজে বাবা, মা, ভাই আর আমি ছবি তুলতাম কোনও একটা স্টুডিওতে। ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনও বছর কাশবন, কোনও বছর হলুদ পাহাড়। আর ম্যানডেটরি ছিল রোল খাওয়া। এরপর ডানা গজাল। বাবা, মায়ের সঙ্গে ছবি তোলা নয়। বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ার প্যান্ডেলে আড্ডা তখন মুখ্য আকর্ষণ। সে আড্ডার রস না পেলে, আপনি সিরিয়াসলি জীবনের একটা এপিসোড মিস করে গিয়েছেন। এরপর এল চাকরি। এমন চাকরি, যেখানে পুজোতে (Durga Puja) ছুটি থাকত একদিন। বাকি দিন লাইভ সামলানো, বড় পুজো হোক বা সেলেব সাজ কত তাড়াতাড়ি সেটা অডিয়েন্সকে দেখানো যাবে, সেই টেনশনে কেটে যেত পুজো। বিয়ের পর রুটিনে হালকা চেঞ্জ। পুজোর সময় কাজের প্রেশার অনেক বেশি, তাই কর্তা-গিন্নি অফিস করে রাতে ঠাকুর দেখতাম। দ্বিতীয়া, তৃতীয়াতে, ভিড় হওয়ার আগেই। সবচেয়ে ভাল লাগার মুহূর্ত দশমীর দিন সিঁদুর পরানো দুগ্গাকে, আর মাকে। এই প্রথম বছর কলকাতায় থাকা হবে না। মিস করব খুব…।

ADVERTISEMENT

স্বরলিপি ভট্টাচার্য, লাইফস্টাইল এডিটর, POPxo Bangla

ও দিদি, একটু বসে যান!

দোয়েল বন্দ্যোপাধ্যায়, সিনিয়র রাইটার, POPxo Bangla

নিজে ঘুরে-ঘুরে ঠাকুর দেখতে আমার একটুও ভাল লাগত না! কিন্তু বিয়ের পর থেকে আমার বরের পাল্লায় পড়ে সারা কলকাতার ঠাকুর দেখতে হয় আমাকে! আমরা, মানে আমি আর আমার বর ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়ি দ্বিতীয়া বা তৃতীয়া থেকেই, আর যতক্ষণ না ঠাকুর ভাসান যায়, আমাদের ঠাকুর দেখা শেষ হয় না। বুঝতেই পারছেন, হেঁটে হেঁটে সারা কলকাতা মানে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম – স-অ-ব ঠাকুর দেখার ফলে দুর্গা পুজোর শেষের দিকে এসে পা ফুলে ঢোল হয়ে যায়। তা একবার কী হয়েছে, টালিগঞ্জ মেট্রোর সামনে দিয়ে ঠাকুর দেখতে যাচ্ছি, দুর্গা পুজোর (Durga Puja) সময়ে হেঁটে-হেঁটে ঠাকুর দেখা ছাড়া তো গতি নেই, এদিকে আমার পায়ে বেশ ব্যথা হচ্ছে। তখন সুরুচু সঙ্ঘের ঠাকুর দেখে বেরিয়ে ব্যথার চোটে এমন রাস্তার ধার দিয়ে এমন খুঁড়িয়ে হাটছিলাম যে,  একজন অটোচালক উপযাচক হয়ে এসে আমাকে যথেষ্ট সহানুভুতির সঙ্গে বললেন, “দিদি, আপনার পায়ে সমস্যা আছে দেখছি, একটু বসে যান!” ভাবুন একবার!!! 

ADVERTISEMENT

দোয়েল বন্দ্যোপাধ্যায়, সিনিয়র রাইটার, POPxo Bangla

সেই পুজোটা আর ফিরে আসবে না…

দেবাপ্রিয়া ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, POPxo Bangla

ছোটবেলাতে দুর্গা পুজোর (Durga Puja) ঠিক আগে শেষ হত হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা। পরীক্ষার টেনশনে পুজোর কেনাকাটা করা মোটামুটি মাথায় উঠত। যেহেতু আমার ছোটবেলাটা কেটেছে মফঃস্বলে আর তখনও পর্যন্ত বেশ কিছু গাছ-গাছালি অবশিষ্ট ছিল, কাজেই সুয্যিমামা পাটে যাওয়ার পর সন্ধের দিকে বেশ ঠান্ডা-ঠান্ডা হাওয়া দিত, আর মনটাও কেমন উদাস হয়ে যেত। পরীক্ষা শেষ হয়ে মায়ের সঙ্গে বেরতাম পুজোর জামা কিনতে। ভিড়ের মধ্যেই ঠেলেঠুলে পছন্দ করতাম জামা। ছোট ছিলাম বলে হয়তো তখন প্রতিদিনের জন্য দুটো করে জামা হত, এখন আর হয় না! আর সবার কাছে দুর্গা পুজো মানে হয়ত সেজেগুজে ঠাকুর দেখতে বেরনো, ফুচকা-রোল-চাউমিন-ফিশফ্রাই – এগুলো সাঁটিয়ে খাওয়া, কিন্তু আমার পুজো কাটত একটু অন্যরকমভাবে। দাদু-ঠাম্মার বাড়িতে সবাই আসত, জেঠু-জেঠিমারা, আমার জেঠতুতো দাদা-দিদিরা। আমি সারা বছর ওই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকতাম। সবাই মিলে বাজি পোড়াতাম, বেশ রাতের দিকে ঠাকুর দেখতে বেরতাম। যেহেতু মফঃস্বলের পুজো কাজেই কলকাতার পুজোর (Durga Puja) মতো জাঁকজমক ছিল না, তবে হ্যাঁ, আন্তরিকতা ছিল। প্যান্ডেলে ঢুকলেই স্বেচ্ছা-সেবকের তাড়া খেয়ে কোনও মতে মায়ের মুখ দেখেই বেরিয়ে যেতে হত না…প্রাণ ভরে মা-কে দেখতে পারতাম। প্যান্ডেলেরই কোনও না-কোনও কাকিমা বা জেঠিমা প্রসাদ দিতেন। একটা মমতার ছোঁওয়া অনুভব করতাম মনের মধ্যে। এত বছর বাদে এখনও দুর্গা পুজো আসে, তবে আমার ছোটবেলার পুজোটার মতো মন ছুঁয়ে যায় না আর!

ADVERTISEMENT

দেবপ্রিয়া ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার , POPxo Bangla

একা ঠাকুর দেখতে যাওয়ার পারমিশন পাওয়াটাই কঠিন!

স্বর্ণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিনিয়র গ্রাফিক ডিজাইনার অ্যান্ড অ্যানিমেটর, POPxo

আমাদের একান্নবর্তী পরিবার, আর যখন ছোট ছিলাম, দুর্গা পুজো (Durga Puja) মানেই ছিল অগাধ স্বাধীনতা। ভাই-বোনেরা সবাই মিলে আনন্দ করা, ক্যাপ-বন্দুক নিয়ে নিজেকে জেমস বন্ড ভাবা – সবই ছিল পুজোর একটা অঙ্গ। একটু বড় হওয়ার পর আর বড়দের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যেতে ইচ্ছে হত না, কিন্তু তাঁদের থেকে অনুমতি পাওয়াটাই ছিল বেশ কঠিন। তাও কোনওমতে কাকুতি-মিনতি করে অনুমতি পেলেই বেরিয়ে পড়তাম প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখতে!

ADVERTISEMENT

স্বর্ণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিনিয়র গ্রাফিক ডিজাইনার অ্যান্ড অ্যানিমেটর, POPxo 

পুজোতে বাঙালি-কর্ণাটকী প্রেম!

নয়ন মুন্সি, সিনিয়র রাইটার, POPxo Bangla

ভেতো বাঙালি বলতে যা বোঝায় আমি এক্কেবারে সে রকম। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি মাস্ট! যে কোনও সেলিব্রেশনই ওল্ড মঙ্কে চুমুক না মারলে মন ভরে না। আর পুজোর (Durga Puja) সময় তো বিরিয়ানি, রোল আর জমাটি আড্ডা না দিতে পারলে মন কেমন খারাপ হয়ে যায়। সেই আমি নাকি ভালবেসে বিয়ে করে ফেললাম খাঁটি দক্ষিণ ভারতীয় এক মেয়েকে। তাঁরা আমিষ খায় ভেবে-চিন্তে। কথা বলে ধীরেসুস্থে। উপরন্তু মাছের তো নাম গন্ধই নেই! তাই পুজোর সময় কব্জি ঢুবিয়ে খাওয়া আর গলা ছেড়ে আড্ডা দেওয়ার যে চল আমাদের বাড়িতে রয়েছে, তার সঙ্গে ও মানিয়ে নিতে পারবে তো? এই চিন্তায় যখন রাতের ঘুম উড়েছে, তখন আমার বউ সবাইকে অবাক করে দিয়ে জমিয়ে নন-ভেজ তো সাঁটালোই, সঙ্গে ফুচকা-রোলের কম্পিটিশনেও জোর লড়াইও দিন। শুধু তাই নয়, আমার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে ঠাকুরও দেখলো…এক কর্ণাটকি মেয়ের এইভাবে দুর্গা পুজোর (Durga Puja) প্রেমে পড়ে যেতে দেখে আমিও নিজের অজান্তে দুর্গা পুজো আর শহর কলকাতার প্রেমে পড়ে গেলাম। এই অভিজ্ঞতা সত্যিই না ভোলার মতো। এই বছর আমার শাশুড়ি মা সপরিবারে আসছেন কলকাতার পুজো উপভোগ করতে। তাই গত বছরের মতো এবছরের পুজাও যে আমার কাছে একটু অন্যরকমের, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। দুর্গা পুজোর শুভেচ্ছা রইলো…খুব আনন্দে করে পুজো কাটান আর দুর্গা মায়ের কাছে একটা প্রার্থনা করবেন প্লিজ, এবছর ফুচকার কম্পিটিশনেও বাঙালি যেন কর্ণাটকিদের জোড়া গোল দিতে পারে!

ADVERTISEMENT

নয়ন মুন্সি, সিনিয়র রাইটার, POPxo Bangla

পুজোটা এখনও সেই ছোটবেলার মতোই আছে…

শুভশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, পোস্ট প্রডিউসার, POPxo

ছোটবেলা থেকেই আমি খুব শান্ত আর লক্ষ্মী মেয়ে বলেই পরিচিত! দুর্গা পুজোর (Durga Puja) স্মৃতি বলতে যা মনে পড়ে, আমাদের হাউজিং সোসাইটিতে দুর্গা মণ্ডপে মায়ের সঙ্গে যাওয়া। সেখানেই মোটামুটি পুজোর চারটে দিন হইহই করে কেটে যেত, আড্ডা মেরে, ভোগ খেয়ে…এখনও অবশ্য কিছুই বদলায়নি…শুধু আমি বড় হয়ে গেছি! 

ADVERTISEMENT

শুভশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, পোস্ট প্রডিউসার, POPxo 

দুর্গা পুজোতে ঢাক বাজানো মাস্ট!

মনিকা দাস, SEO অ্যানালিস্ট, POPxo

আমি শিলিগুড়ির মেয়ে, তবে কর্মসূত্রে এখন থাকি দিল্লিতে। পুজোর (Durga Puja) সময়ে প্রতি বছরই বাড়ি যাই। আগে পুজোতে যখন ঢাকি আসত, তাঁদের থেকে কাঠি চেয়ে আমিও ঢাক বাজাতাম, বাজাতাম বললে হয়ত ভুল হবে, এই গত বছর পর্যন্তও বাজিয়েছি! এবার পুজোতে (Durga Puja) অবশ্য বাড়ি ফেরা হবে না… মিস করবো ভীষণভাবে আমার পাড়ার পুজো! 

ADVERTISEMENT

মনিকা দাস, SEO অ্যানালিস্ট, POPxo 

মূল ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…

ADVERTISEMENT
27 Sep 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT