আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে থেকেই শরীরকে সুস্থ রাখতে জোয়ানের ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে জোয়ানের উপকারিতা ও নানা গুণের কথা যেমন উল্লেখ পাওয়া যায়, তেমনই মিশরীয় সভ্যতাতেও জোয়ানের ব্য়বহার হত (Ajwain Benefits and Side Effects)। সে সময় একাধিক রোগের চিকিৎসায় জোয়ান খাওয়ার পরামর্শ দিতেন সে সময়কার চিকিৎসকেরা। কিন্তু জোয়ান খাওয়ার সঙ্গে শরীরের ভাল-মন্দের সম্পর্কটা ঠিক কোথায়? আধুনিক গবেষণাতেও একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে জোয়ানে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে হজম ক্ষমতা বাড়াতে, ওজন ধরে রাখতে, ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বক-চুলের যত্নে জোয়ানের (Ajwain) কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে এখানেই শেষ নয়, নিয়মিত জোয়ান খাওয়ার অভ্যাস করলে আরও বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। কী কী উপকার মেলে জানা আছে?
জোয়ানের পুষ্টিগুণ (Ajwain Nutritional Facts)
এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে মজুত রয়েছে একাধিক ভিটামিন-মিনারেল। সঙ্গে রয়েছে আরও বেশ কিছু উপকারী উপাদানও। যেমন ধরুন – ফাইবার (১১.৯%), কার্বোহাইড্রেট (৩৮.৬%), প্রোটিন (১৫.৪%), উপকারী ফ্যাট (১৮.১%) ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদানও। রয়েছে এসেনশিয়াল তেল, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
জোয়ানের নানা উপকারিতা (Health Benefits of Ajwain)
জোয়ান খাওয়ার উপকারিতা (Ajwain Benefits) অনেক। ছোট-বড় একাধিক সমস্যার মোক্ষম দাওয়াই হল জোয়ান। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী রোগের চিকিৎসায় এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
১| ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে (Ajwain Water For Weight Loss)
এক্কেবারে ঠিক শুনেছেন! ওজন কমাতে জোয়ানের জুড়ি মেলা ভার। এতে উপস্থিত Laxative Properties হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় (Ajwain Benefits), সেই সঙ্গে মেটাবলিজম রেটও বেড়ে যায়। ফলে শরীরের ইতি-উতি মেদ জমার আশঙ্কা তো কমেই, সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতেও সময় লাগে না। এখন প্রশ্ন হল এমন উপকার পেতে কখন, কীভাবে জোয়ান খেতে হবে? খাওয়ার পরে এক গ্লাস জলে চামচ দুয়েক জোয়ান মিশিয়ে জলটা একটু ফুটিয়ে নিয়ে পান করতে হবে। নিয়ম করে এই পানীয় খাওয়া শুরু করলেই জোয়ানের উপকারিতা (Ajwain Water For Weight Loss) বুঝতে পারবেন।
২| হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে (Improves Digestion)
গ্যাস-অম্বল এবং বদহজমের সমস্যা তে যাঁরা জর্জরিত, তাঁরা জোয়ানের উপর ভরসা রাখতেই পারেন। খাওয়ার আগে-পরে অল্প করে জোয়ান খাওয়া শুরু করলে Gastric Juice-এর ক্ষরণ ঠিক মতো হবে, যে কারণে হজম ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যাবে যে গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। শুধু তাই নয়, জোয়ানে মজুত ফাইবারের গুণে (Ajwain Benefits) কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ যেমন কমবে, তেমনই গ্যাস্ট্রিক আলসারের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও দূর হবে।
৩| অ্যাসিডিটির সমস্যা কমবে (Reduces Acidity)
খাওয়ার পরে অল্প করে জোয়ান খেলে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাসিডের উৎপাদন হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না। ফলে অ্যাসিডিটির মতো সমস্যার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না (জোয়ান খাওয়ার উপকারিতা)।
৪| ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়বে (Improves Lung Capacity)
জোয়ানে রয়েছে Thymol নামে একটি উপাদান, যা ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায়, সেই সঙ্গে গলার ব্যথা, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং জ্বরজ্বালার প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। শুধু তাই নয়, অ্যাস্থেমা, Influenza এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগের চিকিৎসাতেও নাকি এই প্রাকৃতিক উপাদনটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে এত সব উপকার পেতে চামচ তিনেক জোয়ান নিয়ে তা থেঁতো করে এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেতে ভুলবেন না যেন! নিয়মিত এই পানীয়টি খেলে ফুসফুস সংক্রান্ত কোনও রোগের খপ্পরে যে পড়বেন না, তা তো বলাই বাহুল্য।
৫| রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে (Boosts Immunity)
কোনও ভাবে যদি দেহের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে পারেন, তাহলেই আর রোগ-ব্যাধির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকবে না। কিন্তু ইমিউনিটি বাড়বে কীভাবে? নিয়মিত জোয়ান খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন, জোয়ান খাওয়ার উপকারিতা (Ajwain Benefits) পাবেই পাবেন। কারণ, এই প্রাকতিক উাপাদানটিতে মজুত এসেনশিয়াল তেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে উঠতে সময় লাগে না। ফলে ছোট-বড় সব রোগ-ব্যাধি সব দূরে থাকতে বাধ্য হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জোয়ানে উপস্থিত Thymol এবং Limonene নামক দুটি উপাদানও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে নানা ধরনের সংক্রামক রোগকেও ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। তাই বুঝতেই পারছেন, সুস্থ থাকতে গেলে জোয়ান না খেয়ে উপায় নেই।
৬| প্রদাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে (Fights Inflammation)
শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়লে চিন্তার বিষয়। কারণ, এমন পরিস্থিতিতে হার্টের তো বটেই, সেই সঙ্গে শরীরের বাকি সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গেরও ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রদাহের মাত্রা যাতে কোনও ভাবেই বিপদসীমা না ছাড়ায়, সেদিকে নজর রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর ঠিক সেই কারণেই নিয়মিত জোয়ান খাওয়া মাস্ট! জোয়ান খেলে কী হবে? এতে মজুত একাধিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদানের গুণে প্রদাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরেন ব্যথা কমতেও দেখবেন সময় লাগবে না।
৭| খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে (Reduces The Level of Bad Cholesterol)
নিয়মিত জোয়ান খাওয়া শুরু করলে শরীরে monounsaturated এবং polyunsaturated ফ্যাটের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, জোয়ানে উপস্থিত ফাইবারও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৮| মাথা যন্ত্রণার প্রকোপ কমায় (Treats Migraine)
এক্কেবারে ঠিক শুনেছেন! মাথা যন্ত্রণার প্রকোপ কমাতে জোয়ানের জুড়ি মেলা ভার। এক্ষেত্রে চামচ দুয়েক জোয়ান থেঁতো করে কপালে লাগিয়ে মিনিটকুড়ি বিশ্রাম নিতে হবে, তাহলেই উপকার (Ajwain Benefits) মিলবে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতেও এই ঘরোয়া টোটকাটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু প্রশ্ন হল, জোয়ানে এমন কী আছে, যা মাথা যন্ত্রাণা কমায়? এতে রয়েছে Thymol নামে একটি উপকারী উপাদান, যা এই ধরনের রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৯| দাঁতের ব্যথা কমবে (Relieves Tooth-Ache)
এবার থেকে দাঁতে ব্যথা হলেই জোয়ান চিবান। দেখবেন, অল্প সময়েই ব্যথা কমে যাবে। কীভাবে এমনটা সম্ভব, তাই ভাবছেন? আসলে জোয়ানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান, যা শুধু দাঁতের ব্যথা নয়, যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কামতেই সাহায্য করে।
১০| কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা কমবে (Dissolves Kidney Stone)
নিয়মিত জোয়ান খেলে নাকি কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা কমে। তবে এই নিয়ে যে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে, সে কথা মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু একটা বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদান কিডনির দেখভালে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখতে জোয়ানের উপর ভরসা রাখতেই পারেন।
জোয়ানের গুণে ত্বক হয়ে উঠবে লাবণ্যময় (Benefits of Ajwain For Skin)
শরীরের খেয়াল রাখার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও জোয়ানের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে জোয়ান দিয়ে তৈরি বেশ কিছু ফেসপ্যাক মুখে লাগালে তো দ্রুত উপকার মেলে। যেমন ধরুন…
১| দাগ-ছোপ সব মিলিয়ে যাবে (Lightens Acne and Scars)
চামচ দুয়েক টক দইয়ে সম পরিমাণ জোয়ানের গুঁড়ো মিশিয়ে সেই পেস্ট মুখে লাগিয়ে মিনিপনেরো অপেক্ষা করে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই পেস্ট মুখে লাগাতে শুরু করলে অল্প দিনেই দাগ-ছোপ সব মিলিয়ে যাবে।
২| ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে (Improves Skin Texture)
অল্প দিনেই অপরূপ সুন্দরী হয়ে উঠতে চান নাকি? তাহলে একটা কাজ করুন। কী কাজ? চামচ দুয়েক জোয়ান থেঁতো করে নিয়ে তাতে সম পরিমাণ গরম জল এবং অল্প করে লেবুর রস মিশিয়ে সেই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ফেলুন। মিনিটপনেরো অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে নিন (Ajwain Benefits)। সপ্তাহে দিন দুয়েক এই ভাবে ত্বকের যত্ন নিলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে নানা ধরনের ত্বকের রোগও আর ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
৩| একজিমার চিকিৎসায় কাজে আসে (Treats Eczema)
চামচ দুয়েক জোয়ান থেঁতো করে নিয়ে তাতে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সেই পেস্ট একজিমার উপর লাগাতে হবে। নিয়ম করে এই ঘরোয়া চিকিৎসা চালালে উপকার পাবেই পাবেন। তবে জোয়ানকে কাজে লাগিয়ে আরেকভাবেও একজিমার চিকিৎসা করা সম্ভব। কীভাবে? থেঁতো করা জোয়ানের সঙ্গে লেবুর রসের পরিবর্তে গরম জল মিশিয়ে তৈরি পেস্ট একজিমার উপর লাগালেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
৪| ব্রণর প্রকোপ কমবে (Reduces Pimples)
ব্রণর কারণে যাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে, তাঁরা চামচ দুয়েক জোয়ান থেঁতো করে নিয়ে চামচ তিনেক টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত মুখে লাগাতে শুরু করুন। দেখবেন, মাস খানেকের মধ্যেই ব্রণ একেবারে মিলিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে দাগ-ছোপও দূর হবে। তবে এই ফেসপ্যাকটি কম কের মিনিটকুড়ি মুখে রাখার পর ধোবেন, না হলে কিন্তু সেভাবে কোনও উপকারই মিলবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিয়ম করে জোয়ান ভেজানো জল খেলেও কিন্তু ত্বকের উপকার হয়। কারণ, জোয়ানে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদান শরীরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের ধ্বংস করে দেয়। ফলে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনই ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়ে।
চুলের যত্নেও কাজে আসে জোয়ান (Benefits of Ajwain For Hair)
ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে চুলের যত্নে যদি এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে বেশ কিছু উপকার মেলে। কেমন উপকার মেলে শুনি?
১| অসময়ে চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা কমে (Lessen Premature Greying of Hairs)
এক কাপ জলে চামচ দুয়েক জোয়ান ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠা মাত্র জলটা ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে পান করুন, তাতেই উপকার মিলবে। এই পানীয়টি খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়ম করে জোয়ান থেকে তৈরি তেল মাথায় লাগিয়ে মাসাজ করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! তবে তেল মালিশের ঘন্টা খানেক বাদে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে ভুলবেন না যেন!
২| চুল পড়ার হার কমবে (Promotes Hair Growth)
বলেন কি, জোয়ান হেয়ার ফলও কমায়! কীভাবে? নিয়ম করে জোয়ান খাওয়া শুরু করুন, তাতেই উপকার মিলবে। কারণ, জোয়ানে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান চুলের গোড়াকে শক্তপোক্ত করে, যে কারণে মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা কমতে সময় লাগে না।
জোয়ান খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (Side Effects of Ajwain)
নিয়মিত জোয়ান খেলে নানা উপকার মেলে ঠিকই। কিন্তু তাই বলে বেশি মাত্রায় খাওয়া চলবে না। কারণ, মুঠো মুঠো জোয়ান খেলে শরীরের তো কোনও লাভই হয় না (Ajwain Side Effects), উল্টে একাধিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। যেমন…
১| পেট খারাপ হতে পারে (Acidity)
অতিরিক্ত মাত্রায় জোয়ান খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে (Ajwain Side Effects), যে কারণে পেট খারাপ, মাথা ঘোরা, বারে বারে বমি হওয়া এবং বদহজমের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২| মাউথ আলসার (Mouth Ulcer)
মুঠো মুঠো জোয়ান খাওয়া শুরু করলে মুখগহ্বরে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায় (Ajwain Side Effects)। ফলে মাউথ আলসারের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে যাঁরা একবার এমন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের তো ভুলেও বেশি মাত্রায় জোয়ান খাওয়া উচিত নয়।
৩| লিভারের ক্ষতি হতে পারে (Increases Liver Problems)
যাঁরা কোনও না কোনও লিভারের রোগে ভুগছেন, তাঁদের তো ভুলেও জোয়ান খাওয়া উচিত নয় (Ajwain Side Effects)। তাতে লিভারের আরও ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর (FAQs)
১| নিয়মিত জোয়ান খেলে নাকি পাইলসের যন্ত্রণাও কমে যায়?
জোয়ানে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা প্রদাহের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর একবার ইনফ্লেমেশন রেট কমতে শুরু করলে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমতেই সময় লাগে না। বিশেষ করে বাটার মিল্কে অল্প করে সৈন্ধব লবণ এবং চামচ খানেক জোয়ান মিশিয়ে যদি খাওয়া যায়, তাহলে তো কথাই নেই! সেক্ষেত্রে পাইলসের কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগবে না।
২| মশা তাড়াতেও নাকি জোয়ানকে কাজে লাগানো যায়?
আলবাত যায়! কীভাবে জানেন? চামচ চারেক সরষের তেলে সম পরিমাণ জোয়ান মিশিয়ে সেই মিশ্রণ একটা কার্ডবোর্ডে লাগিয়ে ঘরের প্রতিটি কোণায় রেখে দিন। দেখবেন, মশা-মাছি আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
৩| জোয়ান খেলে কি পেটের ব্যথা কমে যায়?
চামচ চারেক জোয়ানে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তা রোদে শুকিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণটা এক গ্লাস গরম জলে মিশিয়ে সকাল-বিকাল পান করুন। দেখবেন, পেটের ব্যথা কমতে সময় লাগবে না।
Picture Courtesy: Youtube
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…