ঘুম থেকে ওঠা মাত্র এক পেয়ালা গরম চায়ে চুমুক মারার মজাই আলাদা। আর তা যদি লাল চা হয়, তা হলে তো কথাই নেই! কিন্তু সেই চাই যে শরীরের এত উপকারে লাগে, সে কথা জানা ছিল কি? বলেন কী, লিকার চা খেলে শরীরের উপকার হয়? আলবাত হয়! তাই তো সেই মিং সাম্রাজ্যের সময় থেকেই লাল চা পানের চল রয়েছে। তবে বাঙালিদের মধ্যে চা পানের অভ্যাস খুব পুরনো নয়। ইতিহাসের পাতা উল্টালে জানা যায় ইংরেজরা এদেশে আসার পর থেকেই নাকি বাঙালিরা চায়ে মজেছে। আর তাতে যে আমাদের উপকারই হয়েছে, সেকথা আধুনিক গবেষণাও মেনে নিয়েছে। কিন্তু লাল চায়ে এমন কী আছে, যা শরীরের উপকারে লাগে? এতে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান নানা ভাবে শরীরের কাজে আসে। বিশেষ করে হার্টের খেয়াল রাখতে তো এই সব উপাদানের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে শুধু হার্ট নয়, আরও বেশ কিছু রোগকে দূরে রাখতেও লিকার চায়ের জুড়ি মেলা ভার।
এই পানীয়তে (tea) রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং Fluoride, যা শরীরের উপকারে তো লাগেই, সেই সঙ্গে ত্বকের যত্নেও নানা ভাবে কাজে আসে। তাই বুঝতেই পারছেন, সুস্থ থাকতে নিয়মিত কয়েক পেয়ালা চিনি ছাড়া লাল চা খাওয়ার যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমনই রূপচর্য়ায় এই পানীয়টিকে কাজে লাগালে যে ঠকবেন না, তা তো বলাই বাহুল্য।
যে পানীয়তে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপকারী উপাদান মজুত রয়েছে, সেই পানীয় নিয়মিত খেলে যে শরীরের উপকারে লাগবে, তাতে তো কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, লাল চা কী কী রোগকে দূরে রাখতে সক্ষম?
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লাল চা এর উপকারিতা অনেক। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন! লিকার চায়ে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের ক্ষমতা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনই myocardial infarction এবং ischemia সহ নানা ধরনের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে যে হারে হার্টের রোগের প্রকোপ বেড়েছে, তাতে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষ সবারই যে নিয়ম করে লাল চা খাওয়া উচিত, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
নিয়মিত দু'পেয়ালা লাল চা খেলে আর কোনও চিন্তাই নেই! কেন জানেন? কারণ, বেশ কিছু স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে লাল চায়ে থাকা theaflavins নামক উপাদানটি ক্যান্সার সেলগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে এমন মারণ রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়।
আমাদের দেশ ডায়াবেটিস ক্যাপিটালের তকমা পয়েছে। তাই লাল চা খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগের সঙ্গে লাল চা এর উপকারিতার কী সম্পর্ক? বিশেষজ্ঞদের মতে এই পানীয়টিতে উপস্থিত catechins এবং theaflavins নামক দুটি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বিপদসীমা পেরোনোর আশঙ্কা আর থাকে না। তাই তো যাঁদের পরিবারে এমন রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের তো নিয়ম করে লিকার চা খাওয়া উচিত। তবে তাতে যেন চিনি না থাকে।
লাল চা খাওয়া মাত্র শরীরে বিশেষ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলি ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়ার কারণে হার্ট, কিডনি সহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনই দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। তাই বুঝতেই পারছেন, আজকের পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে হলে লাল চায়ের উপর ভরসা না রেখে কোনও উপায় নেই।
সিংহভাগ বাঙালিই খেতে খুব ভালবাসেন। তাই তো গ্যাস-অম্বলের সমস্যা লেজুড় হতে সময় লাগে না। সঙ্গে বুক জ্বালা এবং বদহজমের সমস্যা তো আছেই। এই সব রোগের খপ্পরে থেকে বাঁচতে চান নাকি? তাহলে দিনে কাপ দুয়েক লাল চা খেতে ভুলবেন না যেন! তাতে কী উপকার মিলবে? লাল চায়ে মজুত রয়েছে polyphenols নামক একটি উপাদান, যা শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যে কারণে ছোট-বড় নানা পেটের রোগের প্রকোপ কমতে যেমন সময় লাগে না, তেমনই হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুটি উপাদান পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে স্টমাক আলসারের মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
রক্তে 'এল ডি এল' কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তো শরীরে যাতে কোনও ভাবেই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা না বাড়ে,সেদিকে নজর রাখতে হবে। আর সেই কারণেই তো নিয়মিত লিকার চা খাওয়া মাস্ট! ভাবছেন, লাল চা খাওয়ার সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের বাড়া-কমার কী সম্পর্কে? তাহলে জেনে রাখুন, লাল চায়ে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে যা এল ডি এল কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমে।
বলেন কী, লাল চা খেলে ওজন কমবে! কীভাবে? নিয়মিত লাল চা পানের অভ্যাস করলে শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমতে শুরু করে, যে কারণে ওজন কমতে সময় লাগে না (লাল চা এর উপকারিতা)। তবে এই পানীয়টি খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়ম করে মিনিটকুড়ি হাঁটাহাঁটি বা জগিং করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। কারণে, সেক্ষেত্রে আরও দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
oxalate, ক্যালসিয়াম এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কোনও ভাবে যদি এই সব উপাদানগুলি কিডনিতে জমতে না পারে, তাহলেই আর কোনও চিন্তা থাকবে না। আর ঠিক এই কারণেই নিয়মিত লাল চা খেতে হবে (চা পানের উপকারিতা)। কারণ, নিয়ম করে লাল চা খেলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৮ শতাংশ কমে যায়।
প্রতি মুহূর্তে নানা ভাবে নানা রকমের ক্ষতিকর উপাদান আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। ঠিক সময়ে এই সব টক্সিক উপাদানগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে না গেলে হাজার রকমের রোগ ঘাড়ে চেপে বসার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই সব ক্ষতিকর উপাদানগুলি ধ্বংস হবে কীভাবে? তার জন্য যে লাল চায়ের উপর ভরসা রাখতে হবে। কারণ, চা পানের উপকারিতা প্রচুর। এই পানীয়তে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুব অল্প সময়েই রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের ধ্বংস করে দেয়। ফলে রোগভোগের আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এক কাপ লাল চায়ে চামচ দুয়েক পাতিলেবুর রস মিশিয়ে যদি খাওয়া যায়, তাহলে আরও উপকার মেলে। কারণ, লাল চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে আরও দ্রুত ফল মেলে।
লিকার চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য phytonutrient-এর গুণে নিমেষে ক্ষতিকর সব জীবাণু মারা যায়। ফলে কোনও ধরনের সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
আজকের দিনে স্ট্রেস-অ্যাংজাইটির মাত্রা এমন বাড়ছে যে তার লেজুড় হয়ে আরও সব রোগ ঘাড়ে চেপে বসছে। তাই তো শরীরকে সুস্থ রাখতে সময় থাকতে থাকতে স্ট্রেসের প্রকোপ কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু স্ট্রেস কমবে কীভাবে? নিয়মিত লাল চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন, চা পানের উপকারিতা কি তা ঠিকই বুঝতে পাবেন! University College London-এর গবেষকদের করা এক স্টাডিতে দেখা গেছে লাল চা পান করা মাত্র স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কমতে শুরু করে, যে কারণে স্ট্রেস-অ্যাংজাইটির মাত্রা কমতেও সময় লাগে না।
লাল চা পান করা মাত্র এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলি দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে। ফলে ক্যাভিটি বা অন্য কোনও দাঁতের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
এক কাপ জল ফুটিয়ে তাতে এক চামচ চা পাতা ভিজিয়ে মিনিট চারেক রেখে দিন। এই সময় আঁচটা বন্ধ করে দিতে ভুলবেন না যেন! সময় হওয়া মাত্র জলটা ছেঁকে নিয়ে পান করুন। ইচ্ছা হলে লাল চায়ে অল্প করে পাতিলেবুর রস মিশিয়েও খেতে পারেন, তাতে স্বাদ আরও বাড়বে।
শরীরকে সুস্থ রাখতে লাল চায়ের যেমন জুড়ি মেলা ভার, তেমনই এই পানীয়টি ত্বকের দেখভালেও চা পানের উপকারিতা (Black Tea Benefits for Skin) নানা ভাবে কাজে আসে। যেমন ধরুন...
নিয়মিত লাল চা পান করলে শরীরে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে চুলকানি এবং ত্বকের সংক্রমণের মতো সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। তবে চুলকানি কমাতে আরেক ভাবেও লাল চাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। কীভাবে? ঠান্ডা লা চায়ে তুলো ভিজিয়ে নিয়ে সেই তুলোটা যেখানে চুলকাচ্ছে, সেখানে মিনিট খানেক ঘষুন। দেখবেন, কিছুক্ষণের মধ্যে চুলকানি কমে যাবে।
ঠান্ডা লাল চায়ে তুলো চুবিয়ে তা চোখের নিচে মিনিটকুড়ি ঘষুন, তাতে চোখের ফোলা ভাব কমতে সময় লাগবে না। ইচ্ছা হলে ব্যবহার হয়ে যাওয়া টি ব্যাগ ঠান্ডা করে মিনিট খানেক চোখের নিচে ঘষতে পারেন। তাতেও সমান উপকার মিলবে।
নিয়মিত লাল চা খাওয়ার পাশাপাশি এই পানীয় দিয়ে মুখ ধুলে বলিরেখা কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে Collagen-এর উৎপাদনও বাড়ে। ফলে ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়ার আশঙ্কা (Black Tea Benefits for Skin) আর থাকে না।
প্রতিদিন কাপ দুয়েক লিকার চা খাওয়ার পাশাপাশি সপ্তাহে বার তিনেক ঠান্ড লাল চা (Black Tea) দিয়ে চুল ধোওয়া শুরু করুন। দেখবেন, হেয়ার ফল তো কমবেই, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বাড়বে। কিন্তু লাল চা কীভাবে হেয়ার ফল কমায়? আসলে পানীয়তে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদানের গুণে চুলের গোড়া শক্তপোক্ত হয়, যে কারণে মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়ার আশঙ্কা কমে (Black Tea Benefits for Hair)।
চামচ তিনেক হেনার সঙ্গে সম পরিমাণ লাল চা মিশিয়ে তৈরি পেস্ট চুলে লাগিয়ে ঘন্টা খানেক রেখে দিন। সময় হওয়া মাত্র শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পরে দেখবেল চুলের রংটাই বদলে গেছে। সঙ্গে চুলের ঔজ্জ্বল্যও বাড়বে।
লাল চায়ে তুলো চুবিয়ে তা ধীরে ধীরে সারা মুখে লাগিয়ে ফেলুন। মিনিটকুড়ি বাদে মুখ ধুয়ে নিন। প্রতিদিন এই ভাবে লাল চা মুখে লাগালে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই দাগ-ছোপ সব মিলিয়ে যাবে (Black Tea Benefits for Skin)। সেই সঙ্গে ত্বক হয়ে উঠবে লাবণ্যময়।
পায়ের দুর্গন্ধের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে একটা কাজ করুন। আধ বালতি ঈষদুষ্ণ গরম জলে খান তিনেক টি ব্যাগ, মিনিটদশেক ভিজিয়ে রাখার পরে সেই জলে মিনিটকুড়ি পা চুবিয়ে রাখুন। নিয়মিত এইভাবে পায়ের যত্ন নিলে চায়ের পাতায় উপস্থিত Tannic Acid-এর গুণে বদ গন্ধ দূর হতে সময় লাগবে না।
ঠান্ডা লাল চায়ে তুলো চুবিয়ে নিয়ে শরীরের যে যে অংশ রোদে পুড়ে গেছে, সেখানে সেখানে লাগিয়ে মিনিট খানেক ঘষুন। দিনে দু'বার এই ভাবে ত্বকের যত্ন নিলে ট্যান দূর হতে সময় লাগবে না।
নিয়মিত লাল চা খেলে শরীরের নানা উপকার হয় ঠিকই। কিন্তু তাই বলে বেশি পরিমাণে খাওয়া চলবে না। কারণ, বেশি খেলেই বিপদ! সেক্ষেত্রে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। যেমন ধরুন...
মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে লাল চা খাওয়া শুরু করলে শরীরে caffeine-এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ডায়রিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে লেজুড় হয় গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যাও।
লিকার চায়ে থাকা Tannins নামক উপাদানটির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনই শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলি বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় না, যে কারণেও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
দিনে কাপ দুয়েক লাল চা খেলে যেখানে স্ট্রেস-অ্যাংজাইটির মাত্রা কমে, সেখানে বেশি মাত্রায় এই পানীয় পান করলে একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। সেক্ষেত্রে ইনসমনিয়ার মতো সমস্যা ঘাড়ে চেপে বসে। সেই সঙ্গে অ্যাংজাইটি লেভেলও বেড়ে যায়। তাই সাবধান!
লিকার চায়ে থাকা Caffeine-এর কারণে ব্লাডারের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। তাই তো বেশি মাত্রায় এই পানীয় খাওয়া শুরু করলে বারে বারে প্রস্রাব চাপার আশঙ্কা থাকে।
দিনে পাঁচ কাপের বেশি লাল চা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ, শরীরে caffeine-এর মাত্রা বাড়তে থাকলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
একেবারেই না। কারণ, লিকার চায়ে দুধ মেশানো মাত্র তাতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির ক্ষমতা কমে যায়। ফলে তেমন একটা উপকার মেলে না।
পুদিনা পাতায় রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। তাই তো লাল চায়ে পুদিনা পাতা ফেলে খেলে শরীরে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি বেশ কিছু ভিটামিন-মিনারেলের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়, যে কারণে আরও বেশি মাত্রায় উপকার মেলে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty - POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়...