এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে। দুর্গা ঠাকুর কৈলাস যাত্রা করার পরেও কিন্তু বাঙালির উৎসবের বেজাজ থাকে অটুট। কারণ তারপরেই হয় লক্ষ্মীর আরাধনা। ধন-সম্পত্তির অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মী হলেন সবার প্রিয়। তাঁর শান্ত, স্নিগ্ধ রূপ সত্যিই মনোহর। গোটা ভারতবর্ষে নানা রূপে নানাভাবে লক্ষ্মীর আরাধনা হয়। বাঙালিরা যেমন কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মী পুজো (Lakshmi Puja) করেন তেমনই আবার উত্তর ভারতে চল আছে কালীপুজোর দিন লক্ষ্মীর আরাধনা করার। অনেক বাঙালি বাড়িতেও অবশ্য কালীপুজোর দিন দীপান্বিতা লক্ষ্মীর আরাধনা হয়। তবে পুজো যেমন ভাবেই হোক না কেন, লক্ষ্মীপুজোর অপরিহার্য অঙ্গ হল লক্ষ্মী পূজার আলপনা (Alpana Designs For Lakshmi Puja)। এখন যদিও চটজলদি স্টিকার দেওয়া আলপনা পাওয়া যায়। তবে দুধের স্বাদ কি আর ঘোলে মেটে? আপনি বাড়ির কর্ত্রী। আপনি নিজে হাতে স্নেহ আর ভালবাসা দিয়ে লক্ষ্মী পূজার আলপনা আঁকবেন আর সেটা দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবে তবেই না আনন্দ! আর সেইজন্যই লক্ষ্মীপুজোর আগে আমরা নিয়ে এসেছি কয়েকটি লক্ষ্মী পূজার আলপনা ডিজাইন (Alpana Design)। যেগুলো পুজোর সময় আপনার কাজে লাগবেই।
লক্ষ্মীর পা ও ধানের ছড়ার সাবেকি ডিজাইন (Lakshmi Paa Alpana Designs)
যতরকম আলপনার নকশা বা ডিজাইন লক্ষ্মী পুজোর (Laxmi Puja) সময় করা হয়, তার মধ্যে সেরার সেরা হল এই লক্ষ্মীর পা ও ধানের ছড়ার ডিজাইন (Bengali Alpana Design)। এটিকে যদিও ঠিক আলপনার মধ্যে ফেলা যায় না। তবে লক্ষ্মীপুজোর আলপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি। বাড়ির গৃহিণীরা এটি আঁকেন একদম দরজার সামনে থেকে শুরু করে যেখানে লক্ষ্মীর ঘট পাতা আছে বা মূর্তি রাখা আছে সেই ঠাকুরের আসন পর্যন্ত। মনে করা হয় মা লক্ষ্মী স্বয়ং আস্তে-আস্তে পা ফেলে বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে যেখানে মূর্তি আছে সেখানে অধিষ্ঠান করেন। এই পা আঁকার একটি বিশেষ ধরন আছে। এটি দেখতে অনেকটা ইংরিজির ‘এস’ এর মতো হয়। বলা হয় মা লক্ষ্মীর পা (Laxmi Paa Alpona Design) খুব ছোট্ট তাই পা-ও যেন ছোট-ছোট করে আঁকা হয়। তার সঙ্গে থাকে ধানের ছড়া। ধান হল সমৃদ্ধির প্রতীক। মাঠের মধ্যে যখন সোনালি ধানের শিষ মাথা নোয়ায়, তখন মনে করা হয় ফসল ভাল হয়েছে। কারণ, মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আছে। পশ্চিমবঙ্গ কৃষি নির্ভর রাজ্য। এখানে ধানের ফলন ভাল হওয়ার মানে হল রাজ্যে সুখ সমৃদ্ধি রয়েছে। তাছাড়া ধান থেকেই চাল বা ভাত হয়। ধান মানে অন্ন। লক্ষ্মীর কৃপায় কেউ যেন অভুক্ত না থাকে, সেটা বোঝাতেও ধানের ছড়া আঁকা হয়। এটি আঁকা খুব সহজ। একটা লম্বা লাইন টেনে দুই ধারে ধানের শিষ (Dhaner Shish) ছোট-ছোট করে আঁকা হয়।
রঙের উপর ভিত্তি করে আলপনার নকশা (Colourful Alpana Designs)
বাঙালি লক্ষ্মীপুজোয় (Laxmi Puja) মূলত খড়িমাটি, চালের গুঁড়ো, ময়দা বা আলপনার পাউডার গুলে সেটা দিয়েই আলপনা দেওয়ার রেওয়াজ আছে। আর এই উপাদানগুলি দিয়ে আলপনা দিলে সেটা সাদা হয়। আজকাল অনেকে অবশ্য এসবের পরিবর্তে অ্যাক্রিলিক রং ব্যবহার করেন। কারণ অ্যাক্রিলিক রং বা পেন্ট দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাছাড়া এই রঙের জৌলুস খড়ি মাটির আল্পনার চেয়ে অনেক বেশি হয়। তবে এখন অনেক বাড়িতেই রঙ্গোলি স্টাইলে রঙিন আলপনা আঁকার (Bengali Alpana Collection) প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের বাড়িতে বড় ঠাকুর দালান আছে তাঁরা বেশ নানা রং দিয়েই আলপনা আঁকছেন। তাই প্রথমে আমরা কিছু আলপনা দেখব যেগুলি একরঙা। আবার তারপর কিছু আলপনা দেখব, যেখানে নানা রঙের ছটা দেখা যাচ্ছে।
১| একরঙা আলপনার নকশা (White Alpana Designs)
এটি অবশ্যই একরঙা আলপনা। অর্থাৎ এটি খড়িমাটি, চালের গুঁড়ো, ময়দা বা সাদা অ্যাক্রিলিক দিয়ে আঁকা। আদতে এটিই দেখতে সবচেয়ে ভাল লাগে (Bengali Alpona Design)। বাড়ির মেঝে যদি লাল বা হলুদ বা অন্য কোনও ঘন রঙের হয়, তা হলে তার উপরে সাদা আলপনা অনেক বেশি আকর্ষণীয় দেখতে লাগে। অনেকে সাদা রঙের সঙ্গে সামান্য একটু হলুদ মিশিয়ে নেন বা হলুদ পেন্ট এক ফোঁটা দিয়ে দেন। এতে আলপনাতে একটা অদ্ভুত অফ হোয়াইট লুক আসে। দেখে নেব, কয়েকটি একরঙা আলপনার ডিজাইন।
২| রঙিন আলপনার নকশা (Colouring Alpona Design)
উত্তর ভারতে চল আছে কালী পুজো বা দীপাবলির আগে বাড়ির সামনে বা উঠোনে বড় করে চক্রাকার আলপনা আঁকা। যেহেতু এই আলপনা আঁকার সময় অনেক রং ব্যবহার করা হয় তাই একে রঙ্গোলী বলা হয়। তবে এটিও এক ধরনের আল্পনাই। অনেক বাড়িতে এরকম ধরনের আলপনা লক্ষ্মী পুজোর সময়ও দেখা যায় (Simple Alpana Designs For Lakshmi Puja)। যেহেতু এতে নানা রঙের সমাহার দেখা যায়, তাই এটি দেখতে খুব ভাল লাগে। সাধারণত লাল, হলুদ, সবুজ ইত্যাদি খুব গাঢ় রং ব্যবহার করা হয় যাতে তার ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকে। এই বার দেখে নেওয়ার পালা কিছু রঙিন আলপনার নকশা।
মোটিফ বা প্রতীক নির্ভর আলপনার নকশা (Symbol Based Alpana Designs)
কেন আলপনা দেওয়া শুরু হল সেই নিয়ে ইতিহাসবিদরা নানা মত প্রকাশ করেছেন। লক্ষ্য করে দেখবেন কোনও সাঁওতাল গ্রামে গেলে সেখানকার বাড়ির দেওয়ালগুলির গায়ে নানা নকশা আঁকা থাকে। এগুলো অনেকটা প্রাচীন রীতি বা টোটেমের মতো। কিছু আলপনা বা নকশার দ্বারা অশুভ শক্তিকে দূরে রাখা হয়। মূলত সেখান থেকেই নানা রকমের আলপনার জন্ম হয়েছে বলে মনে করা হয়। এবার আমরা দেখে নেব বাঙালি লক্ষ্মীপুজোর আলপনায় (Simple Alpana Designs For Lakshmi Puja) কোন-কোন মোটিফ বা প্রতীক ব্যবহার করা হয় এবং কেন।
১| মাছ (Fish Alpana)
অনেক আলপনায় মাছ আঁকা হয়। কারণ অনেকে মনে করেন, লক্ষ্মী হলেন বিবাহিতা। তিনি বিষ্ণুর ঘরণী একজন সধবা। অনেকে লক্ষ্মীর ভোগেও ইলিশ মাছ দেন। বিশেষ করে পূর্ববঙ্গের মানুষদের মধ্যে এই প্রথা চালু আছে। তাই আলপনা আঁকার ক্ষেত্রেও মাছ প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
২| ফুল বা লতাপাতা সহ ফ্লোরাল মোটিফ (Flower Alpana)
আলপনা আঁকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে মোটিফ ব্যবহার করা হয় সেটা হল ফুল। ফুল ছাড়া কোনও পুজোই সম্পন্ন হয় না। তাছাড়া ফুল আলপনা (Easy Alpana Designs for Lakshmi Puja) হিসেবে আঁকলে দেখতেও ভাল লাগে। আমরা সবাই জানি মা লক্ষ্মীর আর এক নাম হল পদ্মালয়া। কারণ তিনি পদ্মবনে থাকেন। তাই লক্ষ্মী পুজোর আলপনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পদ্মফুল আঁকা হয়। মা লক্ষ্মীর হাতেও দেখা যায় পদ্ম। ফুল ও লতাপাতা হল ফ্লোরাল মোটিফ। এটা অনেকটা শিল্পীর কল্পনা শক্তির উপর নির্ভরশীল। যারা আলপনা আঁকায় খুব দক্ষ হন, তাঁরা মোটামুটি মাথার মধ্যে একটা নকশা আবছা করে ভেবে রাখেন। যদিও বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় যেটা ভেবে রাখা হয়েছিল আর যেটা আঁকা হয়েছে সেটা অনেকটা আলাদা। যদিও সেটা দেখতে খুবই ভাল লাগে। কেউ-কেউ হাতের আঙুল দিয়ে আলপনা আঁকেন আবার কেউ তুলির সাহায্য নেন। তবে ফ্লোরাল মোটিফ আঁকার সময় তুলির সাহায্য নিলেই ভাল হয় তা হলে আলপনার সূক্ষ্ম দিকগুলি ভাল করে ফুটে উঠবে।
৩| পেঁচা (Owl Alpona)
সাদা রঙের পেঁচা বা লক্ষ্মীপেঁচা হল মা লক্ষ্মীর বাহন। সে দেবীর পায়ের কাছে বসে থাকে। বলা হয় এই পেঁচা হল উদাসীনতার প্রতীক। অর্থাৎ চূড়ান্ত বৈভবের মধ্যে থেকেও সে উদাস থাকতে পারছে কারণ কোনও কিছুই কেউ সঙ্গে করে নিয়ে যায় না। তবে আলপনার দ্বারা পেঁচা আঁকা (Owl Alpana) খুব একটা সহজ নয়। এটা অনেকটা আধুনিক আলপনা। কারণ এর আগে এই জাতীয় আলপনা খুব একটা দেখা যায়নি।
৪| শাঁখ (Sankha Alpona)
ফুলের মতো শঙ্খ বা শাঁখও একটি অপরিহার্য বস্তু যা পুজোর সময় লাগে। তবে বলা হয় যে লক্ষ্মীদেবী খুব শান্ত প্রকৃতির তাই তিনি বেশি শব্দ পছন্দ করেন না। তাই লক্ষ্মীপুজোয় কাঁসর ঘণ্টা বাজে না।তবে পুজোর সময় শাঁখ বাজে। শাঁখ আঁকা খুব একটা কঠিন নয়। আলপনার নকশায় শাঁখ আঁকলে (Easy Alpana Designs for Lakshmi Puja) বিশেষ করে বেশ বড় আকৃতির শঙ্খ দেখতে বেশ ভাল লাগে।
আকারের উপর ভিত্তি করে আলপনা (Alpona Designs With Different Shape)
মোটিফ বা প্রতীক মেনে যেমন আল্পনা আঁকা হয় ঠিক তেমনই আকার অনুসরণ করেও নানা রকমের আলপনা আঁকা হয়। এগুলো হল প্যাটার্ন বা আকার ভিত্তিক আলপনা। কোনও আলপনা হয় চক্রাকার আবার কোনওটা হয় চৌকো বা লম্বাটে ছাঁদের। অনেক সময় বাড়িতে যেখানে পুজো আছে সেখানে কতটা জায়গা আছে সেই অনুযায়ীও প্যাটার্ন বা আকার ঠিক করা হয়। বলাই বাহুল্য যদি আপনার ঠাকুরের সামনে জায়গা চৌকো হয় তা হলে সেখানে গোলাকার আলপনা আঁকা বেশ কঠিন। এগুলির আলাদা কোনও মানে হয়না তবে সুন্দর করে ঠাস বুনোটে আঁকলে দেখতে অপূর্ব লাগে।
১| চক্রাকার (Round Shape Alpona Design)
চক্রাকার অর্থাৎ গোলাকার আলপনা (Bengali Alpana Collection) বেশ বড় আকারের হয়। এই জাতীয় আলপনা আঁকতে অনেকটা সময় আর ধৈর্য লাগে। অনেক সময় এই আলপনা রঙিন হয়। আকারে বড় হওয়ার দরুন দেখা যায় এটি একসঙ্গে দুই বা তিনজন মহিলা আঁকছেন। বড় উঠোন থাকলে এরকম আলপনা দেখতে বেশি ভাল লাগে। চক্রাকার আলপনায় কিছু বিশেষ ডিজাইন বা নকশা থাকে সেটিকে মণ্ডলাজ বলা হয়।
২| চৌকো (Square Alpana Design)
আলপনা হিসেবে চক্রাকার বা গোলাকার আলপনা যতটা জনপ্রিয় চৌকো আকৃতির আলপনা ততটা নয়। এর দুটো কারণ আছে। প্রথমত গোলাকৃতি আলপনা অনেক সাবেকি বা সনাতনী। আমরা ছোটবেলা থেকে এই গোলাকার আলপনাই দেখে এসেছি। তাই আমাদের মাথায় এটা বসে গেছে যে আলপনা হলে এরকমই হবে। গোলাকার আলপনায় নিজের কল্পনা শক্তি দেখানোর জায়গাও অনেক বেশি। তুলনায় চৌকো আকৃতির আলপনা অনেক বেশি আধুনিক। এই জাতীয় আলপনা আঁকা বেশ কঠিন। কারণ এই আলপনার নকশা যদি খুব সুন্দর না হয় তাহলে দেখতে মোটেই ভাল লাগবে না।
৩| লম্বাটে (Alpana Border Design)
লম্বাটে আলপনা মূলত আঁকা হয় বাড়ির চৌকাঠে বা দেওয়ালের কোনও সাইডে। যেহেতু এটি লম্বা তাই এটি দৈর্ঘ্যে বেশি হলেও প্রস্থে খুব একটা চওড়া হয় না। অনেকে এই জাতীয় লম্বাটে আলপনা দেওয়ালের ধার ঘেঁষে দিয়ে থাকেন। তবে মোজাইক করা মেঝে হলে সেখানে আলপনা ফুটিয়ে তোলা বেশ কঠিন। কারণ এই জাতীয় মেঝে তেলতেলে হয়। আলপনা সবচেয়ে সুন্দর ফুটে ওঠে মাটির বাড়ি বা খসখসে দাওয়ায়। লম্বাটে ছাঁদের আলপনা অনেকটা প্যানেলের মতো দেখতে হয়। অনেক বাড়িতে দেখা যায় বিভিন্ন সাইডে আলাদা করে আলাদা ডিজাইনের লম্বাটে আলপনা (Bengali Alpana Design) করা হয়েছে। তবে মোজাইক করা মেঝে হলে খড়ি মাটি ব্যবহার না করে অ্যাক্রিলিক পেন্ট ব্যবহার করা ভাল। এতে আলপনা সুন্দর করে ফুটে ওঠে।
৪| কল্কা (Kolka Alpona Design)
কল্কা এক বিশেষ ধরনের প্যাটার্ন। এটা দেখতে একেবারেই অন্যরকম। কল্কার তোলার দিকটা গোলাকার হয় আর বেশ চওড়া হয়। এই চওড়া দিকটা উপরের দিকে সরু হয়ে আঁকশির মতো হয়ে যায়। এই কল্কা আলপনার মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। কারণ এর একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে। বিয়ের সময় বাঙালি কনের গালেও এই কল্কার নকশা (Alpona Design) দেখা যায়। অনেকে একটা বড় কল্কা আঁকেন। তারপর সেটার চারধারে অল্প-অল্প করে নকশা বা ডিজাইন আঁকতে আঁকতে সেটা একটা বড় আলপনার রূপ নেয়। যেহেতু কল্কার মাঝখান বা পেটের অংশ বেশ বড় বা চওড়া হয় তাই তার মাঝখানেও অনেকে সুন্দর করে ডিজাইন করে দেন।
আলপনা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর (FAQs)
প্রশ্ন: ১| আলপনা দীর্ঘস্থায়ী কীভাবে করা যায়?
উত্তর: অ্যাক্রিলিক পেন্ট ব্যবহার করুন বা পোস্টার কালার দিয়ে আলপনা দিলে সেটা বেশ কিছু দিন থেকে যায়। অন্য উপাদানের সঙ্গে এগুলো মিশিয়েও নিতে পারেন।
প্রশ্ন: ২| আঙুলের বদলে ব্রাশ দিয়ে আল্পনা আঁকলে কি বেশি ভাল হয়?
উত্তর: যে যেটাতে বেশি স্বচ্ছন্দ হন, সে সেটা দিয়েই আঁকেন। আপনার যদি তুলিতে আঁকার অভিজ্ঞতা না থাকে, তা হলে আপনি সেটা পারবেন না। সেক্ষেত্রে আঙুল দিয়ে আঁকাই ভাল।
প্রশ্ন: ৩| কীরকম জিনিস ব্যবহার করে আলপনা আঁকব?
উত্তর: মূলত খড়িমাটি। তবে তার সঙ্গে চালের গুঁড়ো, অ্যাক্রিলিক পেন্ট, পোস্টার কালার এই সব দিয়েও আঁকা যায়।
প্রশ্ন: ৪| আলপনা ডিজাইনের কী কোনও নির্ভরযোগ্য বই আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, অনেক বই কিনতে পাওয়া যায় আলপনার। ইন্টারনেটেও অনেক ডিজাইন পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: ৫| বাড়ির কোন জায়গায় আলপনা আঁকা সবচেয়ে শুভ?
উত্তর: দরজার কাছে বা চৌকাঠে। কারণ এখান দিয়েই মা লক্ষ্মী প্রবেশ করেন আমাদের বাড়িতে। আর লক্ষ্মীর মূর্তি বা ঘট যেখানে স্থাপিত হয়েছে সেখানে আঁকা সবচেয়ে শুভ।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…