ADVERTISEMENT
home / বাড়ির সাজসজ্জা
ছোট কয়েকটি অভ্যাস আপনার দৈনন্দিন জীবনে আরও পজিটিভিটি নিয়ে আসতে পারে

ছোট কয়েকটি অভ্যাস আপনার দৈনন্দিন জীবনে আরও পজিটিভিটি নিয়ে আসতে পারে

আমাদের দৈনন্দিন (daily life) জীবনে আমরা সারাদিন এত বেশি চাপের মধ্যে থাকি যে দিনের শেষে এমনিতেই আমাদের মধ্যে আর এতটুকুও এনার্জি থাকে না যে একটু বই পড়ব বা কারও সঙ্গে দু-চারটে সুখ দুঃখের গল্প করব। আর সত্যি কথা বলতে, আজকাল আট থেকে আশি সবাই সোশ্যাল মিডিয়াতে এতটাই সময় কাটান যে রিয়েল ওয়ার্ল্ড-এ যে কী চলছে, তার খবর খুব একটা রাখা হয় না। রিয়েল ওয়ার্ল্ড বলতে অবশ্য আমি আমাদের বাড়ির আশপাশের কথা বলছি। সারাদিন সংসার করে বা চাকরি করে বাড়ি ফেরার পর মন মেজাজ ঠিক থাকে না আর তার প্রভাব গিয়ে পড়ে আমাদের শরীরে এবং সম্পর্কে। তাই দিনের শুরুটা যদি বেশ পজিটিভ (positive) ভাবে শুরু করা যায়, তাহলে হয়ত এই সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়। আর ছোট ছোট কয়েকটা অভ্যাসও কিন্তু আপনার ঠিক করে দিতে পারে যে আপনার দৈনন্দিন জীবনে (daily life) পজিটিভিটি থাকবে নাকি সেই এক ঘ্যানঘ্যানে প্যানপ্যানে ব্যাপারগুলোই ঘুরেফিরে আসবে!

https://bangla.popxo.com/article/80-plus-positive-life-quotes-in-bengali

ছোট্ট ছোট্ট অভ্যাস আপনার দৈনন্দিন জীবনে নিয়ে আসতে পারে পজিটিভিটি

১। ঘর বাড়ি যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে, তাহলে মন এমনিতেই ভাল থাকে। রোজকার জামাকাপড় রোজ গুছিয়ে রাখুন। অনেকের একটা বাজে স্বভাব থাকে বাড়ি ফিরে যেখানে সেখানে জুতো খোলার, স্নান করে ভেজা তোয়ালে খাটের উপরে বা চেয়ারে রাখার, ময়লা জামাকাপড় জমিয়ে রাখার; এগুলো ত্যাগ করুন। অনেকের আবার বাড়ি ছোট হয়। ফলে জিনিসপত্র ধরে না। সেক্ষেত্রে দারুণ দেখতে স্টোরেজ কাম বসার আসবাব পাওয়া যায়, সেগুলো কিনতে পারেন। ময়লা জামাকাপড় লন্ড্রি বাস্কেটে রাখুন। সময় না থাকলে সপ্তাহে একদিন কাচাকাচি করুন।

২। সপ্তাহে একদিন করে বাড়ি পরিষ্কার করুন, এতে একবারে বেশি কাজের চাপ পড়বে না, কারণ ময়লা বেশি হবে না। রান্নাঘরের বাসনপত্র স্টোরেজে রেখে দিন, ছড়িয়ে ছিটিয়ে না রেখে। অনেকের বাজে অভ্যাস থাকে এঁটো বাসন সিঙ্কে রেখে দেওয়ার, সেটা না করে বরং ধুয়ে রেখে দিন। এখন ডিশ ড্রায়ারও পাওয়া যায়। বাসন ধুয়ে ডিশ ড্রায়ারের উপরে রেখে দিন, কিছুক্ষণেই শুকিয়ে যাবে।

https://bangla.popxo.com/article/7-practical-money-saving-tips-for-month-end-in-bengali

৩। মেজাজ খারাপ থাকলে তার প্রভাব সম্পর্কে যেমন পড়ে ঠিক তেমনই আপনার শরীরের উপরেও পড়ে। সেজন্য মাঝেমাঝে অ্যারোমা থেরাপির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। সপ্তাহে বা মাসে একদিন মাসাজ করার কথা বলছি না, এখন নানা ডিফিউজার পাওয়া যায়, আপনার পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল জলের সঙ্গে মিশিয়ে ডিফিউজার অন করে দিন অথবা নীচে মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। ঘরে সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে, সেই সঙ্গে আপনার মনেও যথেষ্ট পজিটিভিটি (positivity) আসবে। তাছাড়া টাইমার লাগানো এয়ার ফ্রেশনার পাওয়া যায়, চাইলে সেটাও ঘরে লাগিয়ে নিতে পারেন, আপনাকে কষ্ট করে আর কিছুই করতে হবে না।

ADVERTISEMENT

৪।  আপনার বাড়ির অন্দরসজ্জা কেমন, তার উপরেও কিন্তু নির্ভর করে যে আপনার জীবনে পজিটিভিটি (positivity) আসবে নাকি একরাশ বিরক্তি! আপনার অন্দরসজ্জাতে কিছু উজ্জ্বল রঙ যোগ করুন। ধরুন আপনার বাড়ির কোনও একটি কোণ একটু অন্ধকার, সেখানে একটা স্ট্যান্ডিং লাইট লাগাতে পারেন বা সোফায় উজ্জ্বল রঙের কুশন রাখতে পারেন অথবা কোয়ার্কি পাপোষ রাখতে পারেন বাড়ির বাইরে বা ভেতরে।

৫। মিউজিক থেরাপিও কিন্তু অনেক সাহায্য করে দৈনন্দিন জীবনে (daily life)  পজিটিভিটি (positivity) নিয়ে আসতে। নানা ডেইলি অ্যাফারমেশন-এর সিডি পাওয়া যায় অথবা মিউজিক পডের সাবস্ক্রিপশনও চাইলে নিতে পারেন।

৬। বাড়ির কোনায়, বাথরুমে ছোট ছোট ইন্ডোর প্ল্যান্ট রাখুন। যদি আপনার বাড়িতে বাগান থাকে তাহলে বেশ কিছুটা সময় গাছ-গাছালির মধ্যে কাটান।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

13 Nov 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT