ADVERTISEMENT
home / বিবাহ
বিয়ের আগে একবার কাপল কাউন্সেলিং করে নেওয়ার সুবিধে অনেক

বিয়ের আগে একবার কাপল কাউন্সেলিং করে নেওয়ার সুবিধে অনেক

প্রথমত বিয়ের টেনশন, তার উপরে নতুন জীবন কেমন হবে, তাই নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। উপরন্তু আত্মীয়স্বজনদের এক্সপার্ট কমেন্ট শুনতে-শুনতে হাল আরও বেহাল হয়ে পরে। বিশেষ করে কারও কোনও নেতিবাচক মতামত মনে গেঁছে গেলে তো আরও চিন্তার বিষয়। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে এমন সব নেতিবাচক ভুল ধারণার কারণেই কিন্তু আজকাল অনেকের বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে। তাই বিয়ের আগে হোক কী পরে, কারও কথায় কান দেওয়াই উচিত নয়। বরং নিজের মন যা চায়, তাই করুন। দেখবেন, ঝগড়া-অশান্তি কম হবে। আর যদি এই সব দুশ্চিন্তার মেঘ বিয়ের আগেই কাটিয়ে ফেলতে চান, তা হলে তো একবার কাউন্সেলিং করা মাস্ট! ‘প্রি ওয়েডিং’ কাউন্সেলিং (counseling) করলে কি আদৌ কোনও উপকার মেলে? আলবাত মেলে! বিশেষ করে হবু স্বামী-স্ত্রীয়ের মনে বাসা বেঁধে ফেলা নানা অনিশ্চয়তা নিমেষে দূরে পালায়। শুধু তাই নয়, আরও অনেক উপকার মেলার সম্ভাবনা থাকে। যেমন ধরুন…

১. একে অপরকে চিনে নেওয়ার সুযোগ মেলে

কাউন্সেলারের সঙ্গে কথা বলার সময় হবু স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই মন খুলে কথা বলার সুযোগ পান, যে কারণে একে অপরের মনের হাল-হকিকত বুঝে ফেলার সুযোগ থাকে। তাছাড়া কারও মনে কোনও অনিশ্চিয়তা বা ভয় থাকলে, সে ধোঁয়াশাও কেটে যায়। ফলে বিয়ের পরে কোনও ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকেই না। বরং কাউন্সেলারের সাহায্য নেওয়ার কারণে সম্পর্কের ভিত কিছুটা হলেও দৃঢ়তা পায়, যা বৈবাহিক জীবনকে আরও সুন্দর করে তোলে।

২. অনেক ভুল ধারণা গোড়াতেই মিটে যাবে

বিয়ে মানেই স্বাধীনতা শেষ হয়ে যাওয়া। বিয়ে মানেই নিজের জীবন ভুলে অন্যের মতো করে চলা, এই সব নানা ভুল ধারণার কারণে কিন্তু অনেক সময়েই সম্পর্ক তিক্ত হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, দু’জনে মিলে সংসার চালানোর সময় নানা অর্থনৈতিক কারণে যেমন মনোমালিন্য হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনই প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে ঘিরেও অনেক সময় জল ঘোলা হয়, যা সম্পর্কের মাঝে ফাটল ধরার জন্য যথেষ্ট। বিয়ের আগেই কাপল কাউন্সেলিং (premarital counseling) করলে কিন্তু এই সব নেতিবাচক ভাবনা-চিন্তাগুলি গোড়াতেই নির্মূল হয়ে যায়। ফলে বিবাহ পরবর্তী জীবনে কোনও ধরনের অশান্তি দানা বাঁধার আশঙ্কা অনেকটাই কমে। তাই তো বলি, সমস্যা তৈরি হওয়ার পরে কাউন্সেলিং না করে, বরং শুরুতেই কাউন্সেলারের সাহায্য নিন, তাতে কিন্তু বেশি উপকার মিলবে। ওই যে কথায় বলে না, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর’, প্রি ওয়েডিং কাউন্সেলিং কিন্তু অনেকটা তেমনই।

https://bangla.popxo.com/article/how-to-deal-with-dead-bedroom-relationship-problem-in-bengali

৩. ফিউচার প্ল্যানিং করতে সুবিধে হবে

বিয়ে সংক্রান্ত ধোঁয়াশা মেটানোই কিন্তু প্রি ওয়েডিং কাউন্সেলারের একমাত্র কাজ নয়। বরং বিয়ে থেকে কে কী আশা করছেন, তা বুঝে নিয়ে সেই মতো রাস্তা দেখানোটাও কাউন্সেলারের মূল কাজ। তাই বুঝতেই পারছেন, বিয়ের আগে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতিতে মন খুলে কথা বলার সুযোগ পেলে বৈবাহিক জীবন কন্টকময় হয়ে ওঠার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। তাছাড়া কাউন্সেলারের পরামর্শ শুনে এগলে নেতিবাচক ভাবনা-চিন্তাগুলি বিষ বৃক্ষ হয়ে ওঠার সুযোগ পায় না। ফলে বৈবাহিক সম্পর্কে ফাটল ধরার আশঙ্কা আর থাকে না।

ADVERTISEMENT

৪. নিজেকে চেনার সুযোগ মেলে

মানুষের চরিত্র দোষে-গুণে ভরা। কখনও কেউ রাম, তো কখনও রেগে রাবণ। তাই তো নিজেকে চেনাটাও সহজ কাজ নয়। ঠিক এই কারণেই প্রি ওয়েডিং কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। আসলে কাউন্সেলারের সঙ্গে কথা বললে নিজেকে আরও ভাল ভাবে চিন্তে পারার সুযোগ মেলে। চরিত্রের ভাল-মন্দ নানা দিক সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে কাউন্সেলারের সাহায্যে চরিত্রের খারাপ দিকগুলিকে সহজেই বাগে আনা সম্ভব হয়। ফলে বিয়ের পরে কোনও ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা আর থাকে না। তাই বৈবাহিক জীবনকে সফল করে তুলতে হলে বিয়ের আগেই কাউন্সেলারের সাহায্য নিতে ভুলবেন না যেন!

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…

04 Nov 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT