আমাদের হাতের কাছেই এমন অনেক কিছু রয়েছে, যা শরীরের দেখভালে বেশ কাজে আসে। যেমন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের কথাই ধরুন না। এই ভিনিগারটি জলে মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে নাকি শরীর রোগমুক্ত হতে সময় লাগে না। সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বাড়ে। অনেকে এও বলেন যে নিয়মিত অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেলে নাকি ওজনও কমে। তবে এখানেই শেষ নয়, এই উপাদানটির গুণ অনেক। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে জানা যায় জাপানের সামুরাই যোদ্ধারা নাকি নিয়মিত অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার পান করতেন। তাঁরা এমনটা বিশ্বাস করতে যে এই পানীয়টি খেলে নাকি শরীরের ক্ষমতা বাড়ে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময়ও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের ব্যবহার (Apple Cider Vinegar Benefits In Bengali)চোখে পরে। সে সময় ক্ষতের চিকিৎসায় এই উপাদানটিকে কাজে লাগাতেন সৈনিকরা। এবার বুঝতেই পারছেন, শরীর এবং ত্বককে সুস্থ-সুন্দর রাখতে হলে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের (Apple Cider Vinegar) উপর ভরসা না রেখে কোনও উপায় নেই।
এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে মজুত রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, কপার এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজও। এত সব উপকারী উপাদান এক সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে নানা উপকার যে মিলবেই, তাতে তো আর কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়!
শরীরকে (Health) সচল রাখতে যে সব মিনারেল এবং উপকারী অ্যাসিডের প্রয়োজন পড়ে, তার সিংহভাগই মজুত রয়েছে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে (Apple Cider Vinegar Benefits In Bengali)। তাই তো নিয়ম করে এই পানীয় খেলে নানা উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে ছোট-বড় একাধিক রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। যেমন ধরুন...
অতিরিক্ত ওজনের কারণে যাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, তাঁরা আজ থেকেই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন, উপকার মিলতে সময় লাগবে না। আসলে এই ভিনিগারটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা বহুক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, যে কারণে বারে বারে মুখ চালানোর ইচ্ছা আর থাকে না। ফলে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করার আশঙ্কাও কমে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar) পান করা শুরু করলে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে (অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপকারিতা), যে কারণেও মেদ ঝরে যায়। আর ওজন কমতে শুরু করলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও থাকে না। এমনকী, হার্টের রোগও দূরে থাকতেও বাধ্য হয়।
একেবারে ঠিক শুনেছেন! ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপকারিতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই ভিনিগারটি কীভাবে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে? বেশ কিছু স্টাডির পরে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে এই ভিনিগারটি খাওয়া মাত্র renin নামক হরমোনের ক্ষরণ নিয়ম মেনে হতে থাকে, যে কারণে blood vessel এতটাই প্রসারিত হয় যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar) বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদানের গুণে 'এইচ ডি এল' বা উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে, যে কারণে অল্প সময়েই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
American Diabetes Association-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার পান করলে (অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের ব্যবহার) নাকি রক্তে শর্করার মাত্র নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হয়। ফলে ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না। গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে যে হারে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, তাতে আট থেকে আশি সবারই যে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার প্রয়োজন (Apple Cider Vinegar Benefits In Bengali) বেড়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে যাঁরা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান, তাঁরা একবার এই নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে ভুলবেন না যেন!
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে malic acid নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি পেট খারাপের মতো রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয় (অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপকারিতা)। শুধু তাই নয়, এই ভিনিগারটিতে আরও এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে গ্যাস-অম্বল এবং বদহজমের মতো সমস্যার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
প্রতি সেকেন্ডে একাধিক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে আক্রমণ চালাচ্ছে। তবু আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি না কেন জানেন? কারণ, দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সারাক্ষণ ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে, যে কারণে রোগ-ব্যাধি আমাদের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারছে না। কিন্তু এমন সময়ও আসে যখন ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন কিন্তু নানা রোগের খপ্পরে পড়তেই হয়। তবে ইচ্ছা থাকলে এমন পরিস্থিতিতেও সুস্থ থাকা সম্ভব। কীভাবে? নিয়মিত অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়া শুরু করলে (Apple Cider Vinegar Benefits In Bengali) শরীরে উপস্থিত সিংহভাগ জীবাণুই মারা যায়, ফলে শরীর খারাপ হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। কোথাও কেটে-ছড়ে গেলে সেখানেও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার লাগাতে পারেন, তাতে ক্ষতস্থানে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কমবে (অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপকারিতা)। তবে ভুলেও সরাসরি অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar) লাগাবেন না যেন! এক্ষেত্রে জলে ভিনিগার মিলিয়ে সেই মিশ্রণটি ক্ষতস্থানে লাগাতে হবে, তাতেই উপকার মিলবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে উপস্থিত acetic acid রক্তে মেশামাত্র ক্যান্সার সেলগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে এমন রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না (অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপকারিতা)। ভিনিগারে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এই উপাদানটি রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের ধ্বংস করে দেয়। ফলে কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে।
ছোট-বড় নানা রোগ-ব্যাধিকে দূরে রাখতে হলে দেহের pH Level ঠিক রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর ঠিক এই কারণেই নিয়মিত অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar) খেতে হবে। তাতে কী উপকার মিলবে? এই ভিনিগারটি পান করা শুরু করলে দেহের pH Level ঠিক থাকবে। ফলে শরীর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কমবে, সেই সঙ্গে ক্ষতিকর জীবাণুগুলিও আর ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না, যে কারণে নানা সংক্রামক রোগের খপ্পরে পড়ের আশঙ্কাও কমবে।
নিয়মিত অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়া শুরু করলে লিভারে জমে থাকা টক্সিক উপাদানগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয় (অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপকারিতা)। সেই সঙ্গে lymphatic system-এর ক্ষমতাও বাড়ে। ফলে দেহের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। এবার বুঝতেই পারছেন, লিভারকে সুস্থ রাখতে হলে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপর ভরসা না রেখে কোনও উপায় নেই।
নিয়মিত অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়া শুরু করলে এতে উপস্থিত malic এবং acetic acid-এর গুণে মুখ গহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি মারা যায়। ফলে মুখ থেকে বদ গন্ধ বেরোনোর আশঙ্কা আর থাকে না। সেই সঙ্গে দাঁতের হলদে ছোপও দূর হয়।
অল্প বয়সেই হাড়ের রোগে আক্রান্ত হতে চান না নিশ্চয়? তাহলে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাচ্ছেন না কেন! এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে অসময়ে হাড়ের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খাবারে উপস্থিত নানা পুষ্টিকর উপাদানগুলি যাতে শরীর ঠিক মতো শোষণ করতে পারে, সেদিকেও নজর রাখে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে (Apple Cider Vinegar) উপস্থিত নানা উপকারী উপাদান, যে কারণেও হাড়ের ক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar) শুধুমাত্র শরীরেরই খেয়াল রাখে না, ত্বকের (Skin) যত্নেও কাজে আসে। কিন্তু প্রশ্ন হল, রূপচর্চায় কীভাবে এই ভিনিগারকে কাজে লাগানো যেতে পারে, সে সম্পর্কে জানা আছে কি?
সারা দিন রোদে ঘুরে কি ত্বকে পুড়ে কালো হয়ে গেছে? কোনও চিন্তা নেই! হাতের কাছে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার থাকলে এক বালতি স্নানের জলে আধ কাপ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে স্নান সেরে ফেলুন। নিয়মিত এমনটা করলে দেখবেন ত্বক একেবারে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। কীভাবে এমনটা সম্ভব, তাই ভাবছেন? অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের ভিতরে pH level ঠিক রাখতে সাহায্য করে, যে কারণে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের ব্যবহার ব্রণর প্রকোপ কমায়। এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar) মিশিয়ে সেই মিশ্রণ তুলোর সাহায্যে সারা মুখে লাগালে ত্বকের acidic layer ঠিক থাকে, যে কারণে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি মারা যায়। সেই সঙ্গে পরিবেশ দূষণের কারণে ত্বকের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। ফলে ব্রণর মতো ত্বকের রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
রূপচর্চায় অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারকে কাজে লাগালে ত্বকের ভিতরে flavonoids, quercetin এবং ক্যাটাচিনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না। ফলে ত্বকের বয়স কমে। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজান। তা হল অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার হল প্রকৃতিতে অ্যাসিডিক, তাই এ জিনিস সরাসরি মুখে লাগানো উচিত নয়। তাহলে কী করণীয়? এক কাপ জলে এক বা দু'চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে সেই মিশ্রণ তুলো দিয়ে মুখে লাগান, তাতেই উপকার মিলবে।
বাটিতে চামচ চারেক জল নিয়ে তাতে এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar) মিশিয়ে সেই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। মিনিটদশেক মাসাজ করার পরে কম করে মিনিটকুড়ি অপেক্ষা করার পরে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে বার দুয়েক এইভাবে চুলের যত্ন নিলে খুশকির প্রকোপ কমতে সময় লাগবে না, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্য বাড়বে এবং হেয়ার ফলে মাত্রাও কমবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের গুণ অনেক (Uses of Apple Cider Vinegar In Bengali)। শরীর ও ত্বককে সুস্থ রাখার পাশাপাশি আরও নানা কাজে আসে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের ব্যবহার। কী কী কাজে আসে শুনি?
কোনও খাবার বহুদিন রেখে দিতে চান? একটা কাজ করুন। খাবারের উপরে অল্প করে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ছড়িয়ে দিন। তাতে খাবারে জীবাণু বাসা বাঁধার আশঙ্কা কমবে। ফলে খাবারের মান একই থেকে যাবে।
বলেন কী, অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারকে ডিওডোরেন্ট হিসেবেও কাজে লাগানো যায়! কীভাবে? চামচ চারেক জলের সঙ্গে চামচ দুয়েক অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি (Uses of Apple Cider Vinegar In Bengali) একটা স্প্রে বোতলে ঢেলে নিয়ে ব্যবহার করুন। দেখবেন, গায়ের দুর্গন্ধ দূর হতে সময় লাগবে না। কারণ, এই ভিনিগারটিতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াদের নিমেষে মেরে ফেলে। ফলে ঘামের গন্ধ দূর হয়।
আধ বালতি জলে এক কাপ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে সেই জল দিয়ে ঘর মুছলে ক্ষতিকর সব ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু মারা যায় (Uses of Apple Cider Vinegar In Bengali)। ফলে নানা রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছু স্টাডিতে দেখে গেছে রান্না ঘর এবং বাথরুমেই সবথেকে বেশি পরিমাণে ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ মেলে। এই দুই জায়গা অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার দিয়ে পরিষ্কার করলে স্বাভাবিকভাবেই নানা রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
নিয়মিত অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেলে শরীরের নানা উপকার হয় ঠিকই। কিন্তু তাই বলে দিনে দু'চামচের বেশি খাওয়া চলবে না। কারণ, বেশি পরিমাণে ভিনিগার খেলে নানা ধরনের শারীরিক ক্ষতি (Side Effects of Apple Cider Vinegar) হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন ধরুন -
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার হল প্রকৃতিতে অ্যাসিডিক। তাই তো বেশি মাত্রায় খেলে দাঁতের উপরের স্তর ক্ষয়ে যেতে পারে। তাই সাবধান থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে দিনে দু'চামচের বেশি ভিনিগার খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে (Side Effects of Apple Cider Vinegar In Bengali), যে কারণে পেশীর ক্ষমতা কমতে যেমন সময় লাগে না, তেমনই দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
উপকারী জিনিসও বেশি খেলে বিপদ। যেমন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের কথাই ধরুন না। এই ভিনিগারটি শরীর এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। কিন্তু তাই বলে বেশি পরিমাণে খাওয়া চলবে না। সেক্ষেত্রে বারে বারে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনই ব্লাড সুগার লেভেলও ওঠানামা করে, যে কারণে শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তো ডায়াবেটিকদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেতে মানা করা হয়।
এক গ্লাস জলে চামচ দুয়েক অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে খেতে পারেন। ভুলেও সরাসরি ভিনিগার খাওয়া যেমন চলবে না, তেমনই দু'চামচের বেশি খেলেও বিপদ। সেক্ষেত্রে শরীরের নানা ক্ষতি পারে (Side Effects of Apple Cider Vinegar In Bengali)।
একদম ঠিক শুনেছেন! এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ই.কোলাই সহ যে কোনও ধরনের জীবাণুকে মারতেই বিশেষ ভূমিকা নেয়।
সূর্যালোক থেকে দূরে রাখলে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার বছরপাঁচেকও রেখে খাওয়া যায়।
বেশি মাত্রায় ভিনিগার খেলে ডায়াবেটিসের ওষুধ যেমন ঠিক মতো কাজ করে না, তেমনই হার্টের ওষুধ এবং diuretics-এর মতো মেডিসিনের ক্ষমতাও কমে যায়। তাই তো এই সব রোগ থাকলে চিকিৎসকের থেকে জেনে নিয়ে তবেই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়া উচিত।