অট্টালিকা হোক বা ছোট্ট পাখির বাসার মতো দু’কামরার ফ্ল্যাট – অন্দরসজ্জা (Home Decor) যদি রুচিসম্মত না হয়, তা হলে কোনওটাই দেখতে ভাল লাগে না। কথায় বলে অন্দরসজ্জা দেখে বোঝা যায় যে বাড়ির মালিকের রুচি কেমন! কথাটা কিন্তু একশ ভাগ সত্যি। তবে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র বসার ঘরের সাজসজ্জার দিকে নজর দিলেই হবে না, শোওয়ার ঘর, রান্নাঘর, ঠাকুরঘর, এমনকী, বাথরুমের সাজসজ্জার দিকেও কিন্তু নজর দিতে হবে। ঘরের রঙ কেমন হবে (Home Decoration Ideas), বাথরুমের ফিটিংসের ডিজাইন কেমন হবে, কেমন আসবাব রাখলে তা আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হবে, গাছ রাখবেন নাকি রাখবেন না – ঘর সাজানোর সব কিছু নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব এই প্রতিবেদনে!
আচ্ছা একটা কথা বলুন তো, আপনি কি সাজগোজ করেন? যদি করেন তা হলে কেন করেন? কি ভাবছেন যে অন্দরসজ্জার (Home Decor) সঙ্গে আপনার সাজগোজের কী সম্পর্ক! সে’কথাতাই আসছি। আপনি যেমন বাইরে গেলে বা কখনও কখনও নিজের জন্যই নিজেকে প্রেজেন্টেবল করে তোলার জন্য সাজেন, ঠিক সেরকমই, আপনার বাড়িরও সাজের প্রয়োজন। বাড়িতে অতিথি এলে তাঁরা যেমন আপনার রুচিশীল অন্দরসজ্জার (Home Decor) তারিফ করবেন, ঠিক তেমনই, আপনিও বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে যদি দেখেন যে সুন্দর করে বাড়ি সাজানো-গোছানো রয়েছে, তাহলে আপনারও মন ভাল হয়ে যাবে!
৫০০ টাকার নীচে এই পাঁচটি দারুণ এয়ার ফ্রেশনার দিয়ে বাড়ি সুগন্ধিত করে তুলুন
আমাদের বাড়ির মধ্যে বসার ঘর হল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। বাড়িতে কোনও অতিথি এলে সবার আগে তাঁদের কিন্তু এই ঘরটি-ই চোখে পড়ে, কাজেই বসার ঘর আপনি কীভাবে সাজাচ্ছেন (Home Decorating Tips) সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। বসার ঘরের রঙ, আসবাব, ডেকোরেটিভ আইটেম, পর্দা, কুশন – সবকিছু পরিপাটি ও রুচিসম্মত কীভাবে করে তুলবেন সে নিয়েই আলোচনা করি বরং!
বসার ঘরের (Living Room) আসবাব কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে অনেকের অনেকরকম পছন্দ বা অপছন্দ থাকে। কেউ দেশি ডিজাইনের ভারী আসবাব পছন্দ করেন আবার কেউ হাল ফ্যাশনের হালকা-ফুলকা আসবাব পছন্দ করেন। যেমন আসবাবই আপনার পছন্দ হোক না কেন, খেয়াল রাখবেন তা যেন বসার ঘরের অন্যান্য অন্দরসজ্জার সরঞ্জামের সঙ্গে মানানসই হয়।
বেশিরভাগ বাড়িতেই বসার ঘরে সোফাসেট থাকে। আপনার বাড়িতেও যদি সেরকম বন্দোবস্ত থাকে, তাহলে সেন্টার টেবিলও নিশ্চয়ই থাকবে! সেক্ষেত্রে কিন্তু রাগস বা কার্পেট রাখাটা মাস্ট। এতে ধুলো-ময়লাও কম জমে, আর দেখতেও বেশ ভাল লাগে। যদি আপনার বাড়িতে বসার বন্দোবস্ত মাটিতে হয় বা আসবাব যদি লো-হাইটের হয় সেক্ষেত্রেও কিন্তু রাগস পাততে পারেন। সাধারণত, বসার ঘরের মাঝামাঝি জায়গায় রাগস পাতা হয়।
বসার ঘর (Living Room) সাজানোর জন্য আমরা নানা রকমের আর্টিস্টিক জিনিসপত্র কিনে থাকি, কিন্তু আপনার বসার ঘরে কোনটি মানাবে, সেটা আপনি সবথেকে ভাল বুঝতে পারবেন। শো-পিস রাখার সময়ে মাথায় রাখবেন বসার ঘরটি যেন ছিমছাম থাকে। চাইলে আপনি ঘরের দেওয়ালে কোনও ছবি লাগাতে পারেন, চাইলে ওয়াল হ্যাঙ্গিং ঝোলাতে পারেন; আবার যদি মনে হয় কোনও স্ট্যাচুও রাখতে পারেন (Home Decorating Tips)।
বেশিরভাগ বাড়িতেই আলোকসজ্জার দিকে নজর দেওয়া হয় না। হয় একটা টিউবলাইট লাগানো হয় অথবা ল্যাম্পশেড! আজকাল দারুণ দারুণ ডিজাইনের আলো পাওয়া যায় যেগুলো শুধুমাত্র অন্দরসজ্জার কাজেই ব্যবহার করা হয় (Home Decoration Ideas)। নানা আকারের, নানা মাপের, নানা রঙের আলো দিয়ে কিন্তু আপনি বসার ঘর সাজাতে পারেন। আজকাল ফ্যাশনে ওয়ার্ম লাইট খুব চলছে যেগুলো কিন্তু চোখে বেশ আরাম দেয়।
বসার ঘরের রঙ সব সময়ে উজ্জ্বল হওয়া উচিত বলে অনেক ইন্টেরিওর ডিজাইনার মনে করেন। যেহেতু বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই এই ঘরটিই চোখে পড়ে, কাজেই উজ্জ্বল রঙ হলে দেখতে ভাল লাগে। যদি প্যাস্টেল শেড করাতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্য সাদা বা আকাশি রঙটাও বেশ ভাল লাগে। তবে মনে রাখবেন, অন্দরসজ্জা, আসবাব বা অন্যান্য সরঞ্জামের সঙ্গে মানানসই (Home Decor) করেই বসার ঘরের দেওয়াল রঙ করাবেন।
এক এক জনের বসার ঘরের আয়তন এক এক রকমের হয়, আর সেই হিসেবেই অন্দরসজ্জাও (Home Decor) করা উচিত। বসার ঘর যদি ছোট হয়, সেক্ষেত্রে অন্দরসজ্জা যদি ছিমছাম হয় তাহলে দেখতে বেশ ভাল লাগে। আজকাল বেশিরভাগ পরিবারই যেহেতু নিউক্লিয়ার, কাজেই বাড়িও ছোট হয়। বসার ঘরের সঙ্গেই আবার অনেক ফ্ল্যাটে রান্নাঘর থাকে। কাজেই বসার ঘরের আয়তন বেশ অনেকটাই কমে যায়। সেক্ষেত্রে যদি বসার বন্দোবস্ত নীচে করা হয়, বা দুটো বিনব্যাগ রাখা হয় বসার জন্য, তাহলে বেশ অনেকটা জায়গা বাঁচে।
দেওয়ালে পরিবারের সবার ছবি লাগানো অন্দরসজ্জার (Home Decorating Tips) একটি বিশেষ অঙ্গ। কিন্তু যেমন তেমন করে ছবি লাগালেই তো হল না, তাতেও রুচির ছোঁয়া জেন থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। আজকাল দারুণ দারুণ ফটোফ্রেমের সেট কিনতে পাওয়া যায়, সেসঙ্গে কীভাবে সেগুলো রাখবেন, তার একটা নির্দেশিকাও দেওয়া থাকে অনেকসময়ে। কিনে, দেখে ব্যস লাগিয়ে নিন!
একটা সময় ছিল যখন ঘরে, বিশেষ করে বসার ঘরে ওয়াল পেপার লাগানোর একটা ফ্যাশন তৈরি হয়েছিল। এখন ওয়ালপেপার লাগানোটা আর ঠিক ফ্যাশন নয়, তার বদলে এসছে নানা ডিজাইনের ওয়াল স্টিকার। ফাঙ্কি ডিজাইন থেকে শুরু করে অ্যাবস্ট্রাক্ট – পছন্দ অনুযায়ী লাগাতে পারেন।
আগেই বলেছি এখন আর আগেকার দিনের মতো অট্টালিকা খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না, সবাই ছোট ছোট ফ্ল্যাটে থাকেন। কিন্তু ফ্ল্যাটে থাকলেও সংসারের জিনিসপত্র তো খুব একটা কম থাকে না! রাখার জায়গার অভাব হলে নানা ধরনের স্টোরেজ কিনে নিতে পারেন অথবা নিজেও তৈরি করে নিতে পারেন। এই স্টোরেজগুলো কিন্তু বসার কাজেও লাগে।
ঘরের দেওয়ালের হোক বা মেঝের – মৌলিক টেক্সচার কিন্তু বসার ঘরের অন্দরসজ্জায় একটা আলাদা মাত্রা এনে দেয়। আপনি বাড়ি রঙ করানোর সময়ে নিজের পছন্দমত ডিজাইন বেছে টেক্সচার করাতে পারেন। এখন খুব সুন্দর স্টেন্সিল পাওয়া যায়, চাইলে সেরকম কিছুও করাতে পারেন।
শোওয়ার ঘর কীভাবে সাজাবেন – এটি একটি বড় প্রশ্ন! আর কেন সাজাবেন, সেটি আরও বড় প্রশ্ন! শোওয়ার ঘর কেন সাজাবেন তার উত্তরে বলা যেতে পারে, বাড়ির মধ্যে শোওয়ার ঘর হল এমন একটি জায়গা যেখানে আমরা সবাই বিশ্রাম করি। ঘুমনোর জন্য এওন একটা জায়গা প্রয়োজন, যেখানে আপনি শান্তি পেতে পারেন। কাজেই শোওয়ার ঘর যদি খুব বেশি জমকালো হয় বা অগোছালো হয় তাহলে কিন্তু তা আমাদের মস্তিকে বেশ ভাল রকম প্রভাব ফেলে এবং একইসঙ্গে আমাদের সম্পর্কগুলোতেও! দেখে নিন, কীরকম হওয়া উচিত শোওয়ার ঘরের অন্দর সজ্জা।
শোওয়ার ঘরের অন্দর সজ্জা করার সময়ে সবার আগে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হল আপনার শোওয়ার ঘরে কীরকম রঙ আপনি করাতে চান। দেওয়ালের রঙের উপরে কিন্তু ঘরটি দেখতে ভাল লাগবে নাকি লাগবে না, তা অনেকটাই নির্ভর করে। যদি আপনার শোওয়ার ঘরের আয়তন ছোট হয় এবং সে তুলনায় আসবাব বেশি থাকে তাহলে ঘরের রঙ হওয়ায় উচিত হালকা, যাতে ঘরটি দেখতে একটু বড় লাগে।
অন্দর সজ্জায় গাছপালা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। যদি আপনার বাগান করার শখ থাকে কিন্তু বাড়িতে জায়গার অভাবের জন্য সেই শখ কিছুতেই পূরণ করতে পারেন না, সেক্ষেত্রে কিন্তু বেডরুমে কিছু ইন্ডোর প্ল্যান্টস লাগাতে পারেন। লাকি ব্যাম্বু, ছোট পাম ট্রি, মানি প্ল্যান্ট – নানা রকমের গাছ রাখতে পারেন। অন্দর সজ্জায় আলাদা একটা মাত্রা আসবে, সে সঙ্গে ফ্রেশ অক্সিজেনের অভাবও হবে না।
অন্দর সজ্জার সময়ে মাথায় রাখবেন শোওয়ার ঘরের মাপের সঙ্গে খাটের মাপ জেন মানানসই হয়। আগেকার দিনে বিশাল বিশাল অট্টালিকায় বড় বড় পালঙ্ক রাখা হত শোওয়ার জন্য, কিন্তু আজকাল সে অট্টালিকাো নেই, কাজেই পালঙ্কও নেই! বেশিরভাগ বাড়িতেই আজকাল কুইদ সাইজ খাট রাখা হয় যাতে সেটি পাতার পরেও কিছু জায়গা বেঁচে যায় শোওয়ার ঘরে। তবে আপনার শোওয়ার ঘরের মাপ যদি বড় হয় সেক্ষেত্রে কিং সাইজ বেড রাখতে পারেন।
প্রিন্টেড নাকি একরঙা, ভারী নাকি হালকা - অন্দরসজ্জায় পর্দা কেমন হওয়া উচিত
অন্দরসজ্জার সময়ে পর্দা কিনবেন যখন তখন কিন্তু রঙের দিকে খেয়াল রাখবেন। যে ঘরের জন্য পর্দা কিনছেন, সে ঘরে অন্যান্য কী কী আসবাব বা ঘর সাজানোর জিনিস রয়েছে সেদিকে খেয়াল রাখুন। আবার ঘরের আয়তন এবং প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখেও কিন্তু পর্দার রঙ বাছাই করা উচিত। শোওয়ার ঘরের পর্দা এমন রঙের কিনুন যাতে চোখে আরাম দেয়, আবার বসার ঘরে উজ্জ্বল রঙের পর্দা লাগান; ঘরের মাপ ছোট হলে হলুদ, উজ্জ্বল কমলা বা সাদা পর্দা লাগালে ঘরটি দেখতে বেশ বড় লাগবে। বাথরুমে একটু গাঢ় রঙের পর্দা লাগালে ভাল।
শোওয়ার ঘরে (bedroom) জানালা যেদিকে, সম্ভব হলে তার বিপরীত দিকে খাট পাতুন; এতে ঘুম থেকে উঠেই বাইরের দিকে দেখতে পারবেন। যদি আপনাদের বাড়িতে জানালার নীচে বক্স করা থাকে, তাহলে সেটি স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন; অথবা জানালায় ছোট ছোট ফুলের টব রাখতে পারেন। জানালায় ড্রিম ক্যাচার অথবা উইন্ডচাইমও ঝোলাতে পারেন।
বিছানার চাদর তো আমরা প্রতি সপ্তাহেই বদলাই, কিন্তু কেমন চাদর পাতলে আপনার শোওয়ার ঘরের অন্দরসজ্জা বেশ রুচিসম্মত দেখতে লাগবে (Home Decoration Ideas), সেটিও কিন্তু জানতে হবে। ঘরের আসবাব, পর্দা, অন্যান্য ঘর সাজানোর সরঞ্জাম – সব কিছুর সঙ্গে মানানসই করে তবেই কিন্তু বিছানার চাদর পাতা ভাল। ধরুন আপনার শোওয়ার ঘরের রঙ হালকা হলুদ আর খাটটি গাঢ় বাদামী, সেখত্রে যদি আপনি একটা উজ্জ্বল গোলাপি বা ক্যাটক্যাটে কমলা রঙের বিছানার চাদর পারেন, দেখতে কিন্তু খুবই খারাপ লাগবে।
যদি জায়গা থাকে তাহলে খাটের পাশে একটি ছোট্ট টেবিল রাখতে পারেন, সঙ্গে স্টোরেজ থাকলে আরও ভাল। খাটের ডিজাইনের সঙ্গে মানানসই করে তবেই কিন্তু বেডসাইড টেবিল রাখুন।
বেড সাইড টেবিলেই উপরে এল ই ডি লাইট লাগানো ফটোফ্রেম রাখুন আপনার পরিবারের ছবি লাগিয়ে, দেখতে দারুণ লাগবে!
বেশিরভাগ বাঙালি বাড়িতেই বাথরুমের অন্দর সজ্জা নিয়ে বেশি মাথা ঘামানো হয় না। কিন্তু একটা কথা আমরা ভুলে যাই যে বাথরুম হল এমন একটি জায়গা, যেখানে আমি আপনি বেশ অনেকটা সময় কাটাই! কাজেই তার অন্দর সজ্জাটাও ভাল হওয়া উচিত। বাথরুম যদি ছোট হয় তাহলে ওয়াল মাউন্টেড কমোড ফিট করুন। বেসিনের নীচের জায়গাটা বেশিরভাগ বাথ্রুমেই অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকে, সেখানে একটি ক্যাবিনেট তৈরি করিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারেন। চাইলে কিছু ইনডোর প্ল্যান্টসও রাখতে পারেন।
রান্নাঘরে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো ঢোকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন। এখন বেশিরভাগ বাড়িতেই মডিউলার কিচেন থাকে। এতে দুটো সুবিধে, প্রথমত জায়গা বাঁচে এবং দ্বিতিয়ত দেখতে ভাল লাগে। নানা কোম্পানি এখন মডিউলার কিচেন তৈরি করে দেয়, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আরামসে আপনার রান্নাঘরটিও মডিউলার করিয়ে নিতে পারেন। রান্নাঘরে কিন্তু অবশ্যই কিচেন চিমনি লাগাবেন!
যদি আপনার বাড়ি হয় এবং সেখানে এক চিলতে জায়গা থাকে, তাহলে বাগান করতে পারেন। নানা ফুল গাছ লাগান, সব্জি লাগান, যা ইচ্চে তাই করুন। চাইলে ছাদেও বাগান করতে পারেন। ফ্ল্যাটে বাগান করাটাও কিন্তু খুব একটা কঠিন না। ঘরের কোনাগুলো ব্যবহার করুন। চাইলে ঝোলানো টব রাখুন, দেখতে বেশ লাগে।
আমরা বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি তো সাজিয়ে ফেলি, কিন্তু ছাদের সাজ সজ্জা করাতে ভুলে যাই! বেশিরভাগ বাড়িতেই ছাদে এক পোচ সাদা রঙ করিয়ে একটা ফ্যান ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। চাইলে কিন্তু আপনি ঘরের বাকি দেওয়ালের সঙ্গে মানানসই করে ছাদেও রঙ করাতে পারেন। আবার যদি আপনার বাড়িতে ফলস সিলিং থাকে, তাহলে সেখানে ছোট ছোট লাইট লাগাতে পারেন।
আলো এখন নানা রকমের হয় – ফ্লোর লাইট, ল্যাম্প শেড, ঝারবাতি বা শ্যান্ডিলিয়ার, গ্লোব লাইট, এল ই ডি, স্টার লাইট – যেটি পছন্দ লাগিয়ে ফেলুন। তবে আলো লাগানোর সময়ে অবশ্যই নিজের বাড়ির দেওয়ালের রঙ, আসবাব, পর্দার রঙ ইত্যাদির সঙ্গে মানানসই করে আলো লাগাবেন। সাদা হোক বা ওয়ার্ম – পছন্দ আপনার!
অন্দর সজ্জার জন্য কিছু কিছু ডেকোরেটিভ আইটেম (Home Decorative Items) দেখে নেওয়া যাক -
উত্তর – প্রথমত, দেওয়ালের রঙ হালকা রাখুন, এতে আলো বেশি প্রতিফলিত হয় কাজেই ঘরের আয়তন বেশ বড় লাগে। এছাড়া জানালায় ভারী পর্দা লাগাবেন না, পর্দার রঙও পারলে হালকা বাছুন। যদি হালকা রঙের পর্দা না লাগাতে চান, তাহলে উজ্জ্বল শেড যেমন হলুদ, হালকা সবুজ, নীল – এই ধরনের রঙ বাছুন। দেওয়ালজোড়া আয়নাও লাগাতে পারেন।
উত্তর – এখন বেশিরভাগ বাড়িতেই আলাদা করে খাবার ঘর থাকে না, লিভিং রুম এবং রান্নাঘরের একটা অংশ নিয়েই খাওয়ার জায়গার বন্দোবস্ত করা হয়। লিভিং রুমের আসবাবের সঙ্গে মানানসই করে ডাইনিং টেবিল ও চেয়ার কিনুন। এখন দারুণ দারুণ ডিজাইনের ফোল্ডিং ডাইনিং টেবিল পাওয়া যায়, আবার ওয়াল মাউন্টেড ডাইনিং টেবিলও বেশ চলছে। এতে জায়গাও বাঁচে।
উত্তর – রান্নাঘরে যদি জানালার উপরে বেশ খানিকটা জায়গা থাকে তাহলে তা ব্যবহার করে সেখানে ছোট বড় টবে কিছু হারবস লাগাতে পারেন। যেমন ধনেপাতা, পুদিনা, রোজমেরি, স্প্রিং অনিয়ন – এসব কিন্তু ছোট টবেও বেশ ভাল হয়। আবার কিছু সব্জির বাগানও করা যেতে পারে। টোম্যাটো, বেগুন, শাক ইত্যাদি চাড়া এনে ব্যালকনিতে বা জানালার উপরে লাগাতে পারেন।
উত্তর – বাথটাবে শুয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেবেন, এই কথাটা ভাবতে যতই ভাল লাগুক না কেন, বাথটাব পরিষ্কার করা কিন্তু খুব ঝক্কির ব্যাপার। খুব সম্ভবত সে কারণেই, আজকাল খুব একটা বাথটাব কেউ বসান না বাথরুমে। তার বদলে শাওয়ার কিউবিক্যাল-এর কনসেপ্ট বেশ ভাল।
উত্তর – বাচ্চা কিন্তু একদিন বড় হবে – এই কথাটা মাথায় রেখে তারপরেই বাচ্চার ঘর সাজানো শুরু করুন। ধরুন টেম্পোরারি ওয়াল স্টিকার লাগালেন, অথবা আপনার সন্তানের প্রিয় কার্টুন চরিত্রের ছবিওয়ালা বিছানার চাদর, বালিশের কভার, গায়ের চাদর – এসব রাখতে পারেন। এমন কোনও স্ট্রাকচার করাবেন না ঘরে, যেটা আর বদলানো না যায়। বাচ্চার ঘরে যদি জায়গা থাকে তাহলে একটা স্টাডি টেবিল বা ওয়াল ইউনিট তৈরি করিয়ে রাখতে পারেন যেটি বড় হয়েও তার কাজে লাগবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty - POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়...।