ADVERTISEMENT
home / নাইটলাইফ এবং ফুড
জিভে জল আনা ২০টি পিঠে ও পায়েসের রেসিপি, ট্রাই করবেন নাকি?

জিভে জল আনা ২০টি পিঠে ও পায়েসের রেসিপি, ট্রাই করবেন নাকি?

শীতকাল মানেই বাঙালি বাড়িতে পিঠে (pithe), পায়েসের (payesh) চল থাকবেই। কিছু বংশ পরম্পরায় শেখা রান্না। আবার কিছু রান্না নতুন। কিন্তু মা, ঠাকুমা বা দিদিমার হাতের পিঠে, পায়েসের স্বাদই আলাদা। আমরা তেমনই কিছু রেসিপি সাজিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলাম। 

পিঠে, পায়েসের ইতিহাস (How the journey of pithe payesh started)

বাঙালিদের কাছে পায়েস অত্যন্ত শুভ একটি খাবার। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে পায়েস হওয়াটা মাস্ট। ঠিক যেমন জন্মদিনে কেকের থেকে এখনও পায়েসের আদরই বেশি। শীতকালে কিছু ইউনিক পিঠে, পায়েস আজও তৈরি করেন বাঙালিরা। 

ADVERTISEMENT

পিঠের ১০টি রেসিপি (Top 10 pithe recipes)

দেখে নিন পিঠের ১০টি রেসিপি। বাড়িতে সহজ কিছু উপকরণের মাধ্যমে কম সময়েই তৈরি করে ফেলতে পারবেন এই পদগুলি।

১) ভাপা পিঠে

উপকরণ: চালের (rice) গুঁড়ো দুই কাপ। খেজুর গুড় এক কাপ। নারকেল গুঁড়ো এক কাপ। নুন আন্দাজ মতো।

প্রণালী: চালের গুঁড়ো চালুনিতে চেলে নিন। এরপর নিন এবং জল দিয়ে হালকা ভাবে মেখে নিন। দলা বেঁধে যাতে না যায়, খেয়াল রাখবেন। এরপর হাঁড়িতে অল্প আঁচে জল বসান। ওপরে ঢাকনিটা যেন ছিদ্রযুক্ত হয়। ঢাকনির পাশে ছিদ্র থাকলে আটা দিয়ে বন্ধ করে দিন। এরপর ছোট বাটিতে আগে থেকে মেখে রাখা চাল গুঁড়ো, গুড় এবং নারকেল গুঁড়ো দিন। পাতলা কাপড় দিয়ে বাটির মুখ ঢেকে হাঁড়ির ছিদ্রযুক্ত ঢাকনির ওপর বাটি উল্টে দিন। বাটি সরিয়ে নিন তিন মিনিট অপেক্ষা করলেই তৈরি ভাপা পিঠে। নারকেল গুঁড়ো ছড়িয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

২) গোলাপ পিঠে

উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, দুধ ১ কাপ, চালের গুঁড়ো আধ কাপ, চিনি ২ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, নুন স্বাদ মতো, সাদা তেল ১ কাপ। শিরার জন্য লাগবে চিনি ২ কাপ, এলাচ ৩টি, গোলাপ জল ২ চা চামচ।

ADVERTISEMENT

প্রণালী: ময়দায় চালের গুঁড়ো, নুন, চিনি ও ঘি মিশিয়ে ময়ান দিয়ে নিন। হালকা গরম দুধ দিয়ে মণ্ড তৈরি করুন। তা কেটে বল তৈরি করে পাতলা রুটি বেলে নিন। এই রুটি থেকে সমান মাপের ছয়টি গোল টুকরো কেটে নিন। এই গোল টুকরো একটির উপরে আর একটি রাখুন। এই ছয়টি স্তরের রুটি একসঙ্গে রোল করে নিন। রোল মাঝখান থেকে ছুরি দিয়ে কাটুন। কাটার জায়গা হাতের চাপে জুড়ে নিন। এ বার গোলাপের পাপড়ির মতো খুলে দিন। গরম তেলে লাল করে ভেজে নিন। অন্য পাত্রে গরম জলে চিনি, এলাচ, দারচিনি দিয়ে ফুটিয়ে রস বানান। নামিয়ে গোলাপজল দিন। এতে পিঠে ডুবিয়ে রাখুন। তৈরি আপনার গোলাপ পিঠে।

৩) নকশি পিঠে

Instagram

উপকরণ: চালের গুঁড়ো ২ কাপ, নুন অল্প, উষ্ণ জল ২ কাপ, নারকেল কোরা ২ কাপ, নলেন গুড় ২ কাপ, ঘি স্বাদ মতো।

ADVERTISEMENT

প্রণালী: নারকেল কোরা ও খেজুরের গুড় একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করে নিন। একটি পাত্রে চালের গুঁড়ো, নুন ও গরম জল একসঙ্গে মেখে মণ্ড বানাতে হবে। এই মণ্ড থেকে ছোট ছোট অংশ কেটে বলের আকারে গড়ে নিন। এর মধ্যে নারকেলের পুর ভরে মুখটা আটকে পুলির মতো গড়ে নিন। পুলির গায়ে পছন্দ মতো নকশা করে নিন। একটি পাত্রে জল গরম করে মিনিট দশেক ভাপিয়ে নিলেই তৈরি নকশি পিঠে।

৪) চিতই পিঠে

 উপকরণ: চালের গুঁড়ো ১ কাপ, নারকেল কোরা আধ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, নুন স্বাদ মতো, উষ্ণ জল ১ কাপ।

প্রণালী: চালের গুঁড়ো, নারকেল কোরা, ঘি, নুন ও গরম জল একসঙ্গে মিশিয়ে লেই তৈরি করতে হবে। ঢাকা সমেত মাটির সরা নিয়ে গ্যাসে বসান। সরাটা গরম করে ঘি ব্রাশ করুন। এক হাতা লেই সরার মাঝখানে দিন। ঢাকা দিয়ে জলের ছিটে দিতে হবে। মিনিট পাঁচেক রাখুন। চারপাশে খুন্তি দিয়ে ঠেলে পিঠে আলগা করে তুলে নিন। গুড়ের সঙ্গে খেতে পারেন ।

৫) গোকুল পিঠে

উপকরণ: ময়দা এক কাপ, চালের গুঁড়ো আধ কাপ, তেল এক টেবিল চামচ, দুধ আধ কাপ। পুরের জন্য লাগবে: নারকেল কোরা এক কাপ, ক্ষীর আধ কাপ, চিনি আধ কাপ এবং রস তৈরি করতে সমপরিমাণ জল আর চিনি।

ADVERTISEMENT

প্রণালী: প্রথমে পিঠে তৈরি করার জন্য সব উপকরণ একটি পাত্রে ভাল করে মিশিয়ে নিন। পিঠে তৈরির মিশ্রণটি যেন বেশি পাতলা না হয়। মিশ্রণটি আগের দিন রাতে করে রাখলে বেশি ভাল হয়। তৈরি করার সময় আর একবার ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। এবার পুর তৈরি করার জন্য সব উপকরণ একটি পাত্রে মিশিয়ে ওভেনে কম আঁচে ভাল করে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটা আঠালো হয়ে গেলে ওভেন থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে দিন। চিনি ও জল একসঙ্গে মিশিয়ে সিরাপ তৈরি করে নিন। সিরাপ কিছুটা ঘন হয়ে আঠালো হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন। এরপর অল্প করে পুর নিয়ে হাতের তালুতে প্রথমে ঘুরিয়ে গোল করে নিন। এরপর হাতের তালুর চাপে সেটাকে চ্যাপ্টা করে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করুন। একটি ডালের চামচে পিঠের গোলা নিয়ে একটি করে নারকেলের পুর ভরে দিন। এরপর সেটাকে ডুবো তেলে দিয়ে দিন। পিঠে লালচে করে ভেজে তুলে ফেলুন। সবগুলো পিঠে ভাজা হয়ে গেলে পিঠেগুলোকে সিরাপে দিয়ে দিন। ভেতরে রস ঢুকে গেলে পিঠেগুলোকে তুলে একটি পাত্রে রেখে পরিবেশন করুন।

৬) বকুল পিঠে

উপকরণ: চালের গুঁড়ো, ময়দা, খোয়া ক্ষীর, নলেন গুড়ের রস, এলাচের গুঁড়া, সাদা তেল এবং ঘি।

প্রণালী: পরিমাণ মতো চালের গুঁড়ো, ময়দা, খোয়া ক্ষীর, ঈষদুষ্ণ গরম জলে মেখে নিন। মিশ্রণটি যেন কাদা কাদা হয়। এবারে ওই ঘন মিশ্রণটি থেকে লেচি কাটুন এবং পিঠার আকার দিন। সাদা তেল এবং ঘি সহযোগে অতঃপর ভেজে নিয়ে গরম গরম, নলেন গুড়ের রসের মধ্যে ফেলে দিন। ওপরে একটু এলাচের গুঁড়া ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

৭) সড়াই পিঠে

ADVERTISEMENT

Instagram

উপকরণ: মাটির সড়া, চাল গুঁড়ো, নুন।

প্রণালী: মাটির সড়াতে এই পিঠে তৈরি হয়। এটাও এক ধরণের ভাপা পিঠে। চালের গুঁড়োকে ভাল করে জল দিয়ে ঘন করে গুলে নেওয়া হয়। একটু হালকা করে নুনও ফেলে দেওয়া হয় এতে। এরপর গরম মাটির সড়াতে ছোট ছোট গর্তের মতো খোপগুলি ওই চালের গোলা দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়। এই কাজ শেষ হলে সড়াটির মাথায় মাটির ঢাকনা চাপিয়ে দেওয়া হয়। আর এর চারপাশ দিয়ে জল ফেলে দেওয়া হয়। মিনিট চারেক পরে পরে ঢাকনা খুলে নিলেই তৈরি সড়াই পিঠে। নলেন গুড় দিয়েও এই পিঠে খাওয়া যায়। এছাড়া দুধ বা ক্ষীরের মধ্যে খানিক্ষণ ফুটিয়ে নিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

৮) মুগের পুলি

উপকরণ: ভাজা মুগ ডাল এক কাপ, নারকেল কোড়ানো দুই কাপ, ময়দা এক কাপ, চিনি তিন কাপ, নুন ও সয়াবিনের তেল পরিমাণ মতো।

ADVERTISEMENT

প্রণালী: প্রথমে মুগের ডাল গরম জলে সেদ্ধ করে বেটে নিন। এবার দেড় কাপ চিনিতে ৩/৪ কাপ জল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন। তারপর নারকেল ও বাকি চিনি মিশিয়ে ভাল করে জ্বাল দিতে থাকুন। ঘন হয়ে এলে আভেন থেকে পাত্রটি নামিয়ে ফেলুন। এরপর ময়দা ও ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ময়ান বানিয়ে নিন। ময়দার সঙ্গে ১/৪ ভাগ জল ও সিদ্ধ ডাল দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। ২০-২৫ ভাগ করে প্রত্যেক ভাগে নারকেলের পুর দিয়ে মুখ ভাল করে বন্ধ করে দিন। এবার ডুবো তেলে ভেজে চিনির সিরায় ডুবিয়ে পরিবেশন করুন।

৯) মালপোয়া

Instagram

উপকরণ: দুধ, ময়দা, ঘি, কেশর, কাজু, কিসমিস

ADVERTISEMENT

প্রণালী: ফুটন্ত দুধে ময়দা ফেলে মিশ্রণটাকে মাখিয়ে নিন। বেশি পাতলা বা ঘন করবেন না। এরপর উনুনে বসানো কড়াইয়ে ঘি ফেলে দিন। ঘি গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে দুধ ও ময়দার মিশ্রণ অল্প অল্প করে ফেলে দিন। ছোট্ট ছড়ানো রুটির মতো সেগুলি ঘি-তে ভাজতে থাকুন। ভাজা হয়ে গেলে তা উনুন থেকে নামিয়ে চিনির সিরায় ডুবিয়ে দিন। তৈরি হয়ে গেল মালপোয়া। পরিবেশনের সময় সিরা থেকে তুলে মালপোয়ার উপরে কেশর বা কাজু-কিসমিস ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।

 

১০) রাঙা আলুর পান্তুয়া

উপকরণ: রাঙা আলু, ময়দা, চিনি. নারকেল, ক্ষীর, তেল।

প্রণালী: রাঙা আলু প্রেসারকুকারে সেদ্ধ করে নিন। আলুসিদ্ধ মাখার মতো করে রাঙাআলুগুলিকে চটকে দিন। এরপর তাতে সামান্য ময়দা ও চিনি মেশান। মাখা সম্পূর্ণ হলে ছোট ছোট লেচি করে নিন। এরপর প্রতিটি লেচিতে নারকেল বা ক্ষীরের পুর ভরে দিন। পুরভর্তি লেচিগুলিকে হালকা সাদা তেলে মাখিয়ে নিন। এরপর এমনি ময়দায় লেচিগুলি মাখিয়ে নিন। কড়াইয়ে গরম তেলে একটা একটা ছেড়ে ভেজে নিন। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে চিনির সিরায় ডুবিয়ে দিন। তৈরি হয়ে গেল রাঙা আলুর পান্তুয়া।

ADVERTISEMENT

 

 

পায়েসের ১০টি রেসিপি (Top 10 payesh recipes)

দেখে নিন পায়েসের ১০টি রেসিপি। বাড়িতে সহজ কিছু উপকরণের মাধ্যমে কম সময়েই তৈরি করে ফেলতে পারবেন এই পদগুলি।

ADVERTISEMENT

১) নলেন গুড়ের পায়েস

Instagram

উপকরণ: গোবিন্দভোগ চাল হাফ কাপ, এক টেবিল চামচ ঘি, এক লিটার দুধ, কনডেনডস মিল্ক ১/৩ ক্যান, নলেন গুড় তিন থেকে চার কাপ, ভাঙা বাদাম, চিনি।

প্রণালী: হালকা আঁচে দুধ ফুটিয়ে নিন। ফোটার সময় সমানে নাড়তে থাকুন। চাল ধুয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই জল ঝরিয়ে নিন। প্যানে ঘি গরম করে চাল দিয়ে নেড়ে নিন। দুধ ঘন হয়ে এলে চাল দিয়ে দিন। হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন। এতে তলা লেগে যাবে না। চাল সেদ্ধ হয়ে এলে কনডেনসড মিল্ক যোগ করুন। চিনি দিন প্রয়োজন মতো। চার-পাঁচ মিনিট নেড়ে নিন। চিনির মাপ ঠিক হয়েছে কিনা চেখে দেখতে পারেন। পায়েস হয়ে গেলে ভাঙা বাদাম ছড়িয়ে দিন। ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন নলেন গুড়ের পায়েস।

ADVERTISEMENT

২) সিমাইয়ের পায়েস

উপকরণ: সিমাই, ঘি, দুধ, চিনি, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, আলমন্ড, কিসমিস, গোলাপের পাঁপড়ি।

প্রণালী: আগে সিমাইগুলি ছোট ছোট করে ভেঙে নিন। আলমন্ড গুলি দু ভাগে ভাগ করে নিন। কিসমিস গুলি গরম জলে ডুবিয়ে রেখে দিন। এবার কড়াইতে ঘি গরম করে আলমন্ডের টুকরো গুলি ভেজে নিয়ে তুলে রাখুন। এই ঘিতে এলাচ ও লবঙ্গ দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে সিমাইগুলো ঢেলে দিন ও ভাজতে থাকুন। এবার দুধ দিয়ে, আঁচ কম করে দিন। দুধ যেন ঘন হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এবার চিনি দিয়ে ভাল করে নেড়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে নিন। আলমন্ড ও গোলাপের পাঁপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

৩) ছানার পায়েস

উপকরণ: ছানা বা পনির ৩০০ গ্রাম। দুধ ১ লিটার। চিনি স্বাদ অনুযায়ী। এলাচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ। স্যাফ্রন। কাজু বাদাম ১০ থেকে ১২ টি টুকরোকে কাটা। কিসমিস ১০ থেকে ১২ টি। আলমন্ড ৪ থেকে ৫ টি টুকরো করে কাটা।

প্রণালী: প্রথমে ছানার সাথে অল্প ময়দা মিশিয়ে নিন। পনির এর ক্ষেত্রে ময়দা মেশানোর প্রয়োজন নেই। ভাল করে চটকে মেখে নিয়ে ছোট ছোট বলের মতো বানিয়ে নিতে হবে। এবার একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিতে হবে। গ্যাসের আঁচ কম করে দুধ ক্রমাগত নাড়িয়ে যেতে হবে। এভাবে দুধ ঘন করে নিন। এবার দুধে স্বাদ মতো চিনি, স্যাফ্রন, এলাচ গুঁড়ো, কষিয়ে আবার নাড়তে থাকুন। এবার কাজু, কিসমিস ও আলমন্ড মিশিয়ে দিন। দুধ পুরোপুরি ঘন ক্রিমের মতো হয়ে আসলে ওতে ছানা বা পনিরের বলগুলি দিয়ে দিন। আরো চার থেকে পাঁচ মিনিট নাড়তে থাকুন। পাঁচ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করার সময় পায়েসের ওপর কাজু, আলমন্ড টুকরো ছড়িয়ে দিন।

ADVERTISEMENT

৪) চিনির পায়েস

Instagram

উপকরণ: ১লিটার ফুল ফ্যাট দুধ। ১২৫ গ্রাম গোবিন্দ ভোগ চাল। ১/৪ কাপ কাজুবাদাম ও কিসমিস। ৭৫ গ্রাম চিনি।

প্রণালী: দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নিন এবং এর থেকে কিছুটা দুধ সরিয়ে রাখুন।  চাল ধুয়ে দিয়ে দিন এবং অল্প আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না সেদ্ধ হচ্ছে। চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে চিনি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন এবং বাকি দুধটা দিয়ে দিন। নামিয়ে পরিবেশন করুন।

ADVERTISEMENT

 

৫) পাউরুটির পায়েস

উপকরণ: পাউরুটি ৬/৭ পিস। দুধ ১ লিটার। চিনি চার বড় চামচ। কিসমিস ১৫/২০ টা। ২টো ছোট এলাচের গুঁড়ো। তেল ভাজার জন্য।

প্রণালী: প্রথমে ৬/৭ পিস পাউরুটি খুব সরু করে কেটে সাদা তেলে ভেজে তুলে রাখুন। ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে বেশ ঘন করে নিন। তাতে চিনি ও কিসমিস দিন। এরপর তার মধ্যে ছোট এলাচের গুঁড়ো দিন। দুধ ঘন হয়ে এলে পাউরুটি দিয়ে নামিয়ে রাখুন। ইচ্ছে হলে অল্প জাফরান দিতে পারেন। এভাবেই তৈরি করতে পারেন পাউরুটির পায়েস।

৬) খেজুর গুড়ের পায়েস

উপকরণ: খেজুর গুড়, চাল, দুধ।

ADVERTISEMENT

প্রণালী: গুড় ও দুধ আলাদা করে জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। চালটা আলাদা করে সেদ্ধ সেদ্ধ হলে তার মধ্যে গুড় দিয়ে ৩-৪ মিনিট নেড়ে নিন। গুড়টা ভাল করে মিশিয়ে নামিয়ে রাখুন। এবার জ্বাল দেওয়া ঠান্ডা দুধ পায়েসের মধ্যে ঢেলে দিয়ে আবার ২-৪ মিনিট হালকা আঁচে রেখে একটু নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। বাদাম, কিসমিস দিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন। ইচ্ছে করলে ফ্রিজে রেখেও ঠান্ডা করেও পরিবেশন করতে পারেন।

৭) চষির পায়েস

উপকরণ: ১০০ গ্রাম ময়দা, ২ চামচ ঘি, এক লিটার দুধ, ৬ টেবিল চামচ চিনি, সামান্য এলাচ গুঁড়ো, সাজানোর জন্য কাজু-কিশমিশ।

প্রণালী: প্রথমে অল্প জলে ময়দা মেখে নিতে হবে। এ বার দুই আঙুল দিয়ে ঝিরঝিরি চষি বানিয়ে, রোদে ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপরে কড়াইয়ে ঘি গরম করে চষিগুলি লাল করে ভেজে নিতে হবে। এরপরে এক লিটার দুধ ঘন করে তাতে চষি ছেড়ে দিতে হবে। চষি নরম হলে চিনি দিয়ে সামান্য ঘন করে নিয়ে তাতে সামান্য এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

৮) চিড়ের পায়েস

ADVERTISEMENT

Instagram

উপকরণ: দুধ, চিনি, এলাচ, কাজু, কিসমিস, ঘি, খোয়াক্ষীর, ড্রাই ফ্রুট।

প্রণালী: একটি পাত্রে দুধ নিয়ে গ্যাসে বসিয়ে দিন। তার মধ্যে তিনটে এলাচ দানা দিয়ে দিন। দুধ ভাল ভাব ফোটাতে হবে। তার মধ্যেই পাশের গ্যাসে আরও একটি পাত্র বসিয়ে দিন। তার মধ্যে ঘি দিয়ে হালকা করে কাজু, কিসমিস ভেজে নিন। এরপর ঘি দিয়ে চিড়ে ভেজে নিতে হবে। এরপর ঘন হয়ে আসা দুধের মধ্যে ভাজা কাজু, কিসমিস, ভাজা চিড়ে, গ্রেড করে রাখা খোয়াক্ষীর, পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। তাহলেই তৈরি চিড়ের পায়েস। ঠাণ্ডা হলে ড্রাই ফ্রুট ছড়িয়ে পরিবেশ করুন। 

৯) বাঁধাকপির পায়েস

উপকরণ: বড় বাঁধাকপি ১টি, দুধ ২ কেজি, গুঁড়ো দুধ ২ কাপ, খেজুরের গুড় আধ কেজি, চিনি ১ কাপ, চালের গুঁড়ো ১ কাপ, ছোট এলাচ ৪টি, দারচিনি দুই টুকরো, পেস্তাবাদাম, কিসমিস, গোলাপজল।

ADVERTISEMENT

প্রণালী: বাঁধাকপির ভেতরের সাদা অংশ কুচি কুচি করে কেটে নিন। এগুলো একটি পাত্রে অল্প সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে রাখুন। এবার একটি পাত্রে দুধ, চালের গুঁড়ো, এলাচ, দারচিনি, পেস্তাবাদাম, জল ঝরানো কপি দিয়ে অল্প আঁচে নাড়ুন। আলাদা একটি পাত্রে গুড় আর অল্প জল দিয়ে হালকা আঁচে রাখুন। পায়েস ঘন হয়ে এলে নামানোর আগে গুড়ের রস মিশিয়ে দিন। এতে দুধ ফাটবে না। রান্না হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করে কিসমিস, পেস্তাবাদাম দিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

১০) পাস্তা পায়েস

উপকরণ: দুধ ১ লিটার, জল ১ কাপ, পাস্তা ২ কাপ, ঘন নারকেলের দুধ ১ কাপ, গুড় আধ কাপ, চিনি ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালী: দুধ ও জল জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। দুধ ফুটে গেলে তাতে নারকেলের দুধ দিয়ে পাস্তা সেদ্ধ করে নিতে হবে। এতে ১ টেবিল-চামচ চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে নিন। তারপর গুড় মেশান। নেড়ে নেড়ে ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন।

ADVERTISEMENT

পিঠে ও পায়েস নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তর

Instagram

পিঠে ও পায়েস নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তর দেখে নেওয়া যাক এক নজরে। 

১) পিঠে ও পায়েস কি শুধুমাত্র শীতকালের খাবার?

সারা বছরই পায়েস খাওয়ার চল রয়েছে বাঙালিদের মধ্যে। তবে শীতে তৈরি হয় রকমারি পিঠে। 

ADVERTISEMENT

২) পিঠে ও পায়েস কি বাড়িতেই তৈরি করা সম্ভব?

খুব সহজ কিছু উপকরণের মাধ্যমে বাড়িতেই তৈরি করা যায় পিঠে ও পায়েস।

৩) পিঠে নাকি পায়েস কোনটা শুভ বলে ধরা হয়?

বাঙালিদের কাছে পায়েস অত্যন্ত শুভ একটি খাবার। 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়

22 Dec 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT