ADVERTISEMENT
home / ওয়েলনেস
ঠান্ডা লাগার ভয়ে কি শীতকালে টক দই একেবারেই খাচ্ছেন না? তা হলে কিন্তু মস্ত বড় ভুল করছেন!

ঠান্ডা লাগার ভয়ে কি শীতকালে টক দই একেবারেই খাচ্ছেন না? তা হলে কিন্তু মস্ত বড় ভুল করছেন!

আমাদের একটা অদ্ভুত ধারণা আছে, সেটি হল, টক দই খেলে নাকি শরীর ঠান্ডা হয় এবং তাই শীতকালে টক দই একেবারেই খাওয়া যাবে না। ভারী হাস্যকর যুক্তি কিন্তু। অনেকেই শীতকালে টক দই খাওয়া ছেড়ে দেন, পাছে ঠান্ডা লেগে যায়, সেই ভয়ে। অথচ একটু ভেবে দেখুন, শরীর ঠান্ডা রাখার সঙ্গে আবহাওয়ার ঠান্ডার একেবারেই কোনও যোগাযোগ নেই। শরীরের প্রদাহ গরমকালের মতো শীতকালেও হতে পারে। বাইরে ঠান্ডা বলে, আপনিও ঠান্ডা, সুতরাং টক দই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ! আর এখানেই আমরা মস্ত বড় ভুল করে ফেলি। টক দই হল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে নানা উপকারী উপাদান, যা শরীরের যত্নে নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে এই দুগ্ধজাত খাবারে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর পেট যখন চাঙ্গা থাকে, তখন শরীর নিয়ে আর চিন্তা কীসের! তাই ঠান্ডা লাগার ভয়ে দইকে দূরে দূরে রাখবেন না, বরং একটা কাজ করুন। রাতের বেলা না খেয়ে লাঞ্চের পরে নিয়মিত এক বাটি করে টক দই খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন, ঠান্ডা তো লাগবেই না, উল্টে শরীর রোগমুক্ত হবে। তবে শীতের মরসুমে দই (Curd) খাওয়ার আরও বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। চলুন, তা হলে সে সম্পর্কে একটু বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

১. শীতকালেও ভিটামিন-প্রোটিনের ঘাটতি মেটাটা জরুরি

শীত হোক কী গ্রীষ্ম, শরীরকে সচল রাখতে ভিটামিন-মিনারেলের পাশাপাশি প্রোটিনের যোগান ঠিক রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। না হলে যে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। এমনকী, রোগ-ব্যাধির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও থাকবে। তাই তো শীতের মরসুমে দই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দইয়ে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, সঙ্গে রয়েছে পটাশিয়াম এবং প্রোটিন, যা দেহের গঠনে যেমন বিশেষ ভূমিকা নেয়, তেমনই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। অন্যদিকে পটাশিয়ামের গুণে হাড় শক্তপক্ত থাকে। ফলে হাড়ের রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়।

২. গ্যাস-অম্বল দূরে থাকবে

শীতকালে (Winter) তো পিকনিক লেগেই থাকে। সঙ্গে আজ এখানে পার্টি, তো কাল সেখানে। এভাবেই তো সারা শীতকাল জুড়ে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া চলতেই থাকে। তাতে ভোজনরসিকেরা হাতে স্বর্গ পান ঠিকই। কিন্তু বদহজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যাও লেজুড় হয়। তখন মুঠো-মুঠো অ্যান্টাসিড খাওয়া ছাড়া আর কোনও গতি থাকে না। কিন্তু প্রশ্ন হল, হাতের কাছে দই থাকতে ওষুধ খাচ্ছেন কেন? পাত পেড়ে খান না, ক্ষতি নেই! সঙ্গে এক বাটি করে দই খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন, গ্যাস-অম্বল সব দূরে পালাবে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা হজম ক্ষমতার এমন উন্নতি ঘটায় যে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

https://bangla.popxo.com/article/bengaluru-start-up-is-paying-people-to-sleep-for-them-in-bengali-864130

৩. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়বে

নিয়মিত টক দই খাওয়ার পাশাপাশি অল্প করে মুখেও লাগাতে শুরু করুন। দেখবেন, শীতের শুষ্কতা ত্বকের উপর থাবা বসাতে পারবে না। শুধু তাই নয়, দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিডের গুণে ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়বে ষোল আনা। তাই বুঝতেই পারছেন শীতকালে দইকে বুড়ো আঙুল দেখালে আপনারই ক্ষতি!

ADVERTISEMENT

৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে

বেশ কিছু স্টাডিতে ইতিমধ্যেই একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে নিয়মিত এক বাটি করে দই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩১ শতাংশ কমে যায়। আসলে দইয়ে মজুত প্রোটিন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে, সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…

29 Nov 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT