গত দশ বছরে বিশেষ কয়েকটি ডায়েট এবং হেলথ ট্রেন্ড (fitness trends) বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল, যা নাকি শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। তাই তো নতুন বছরেও (new year) সেই একই নিয়ম-নীতিগুলি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই অভ্যেসগুলির সঙ্গে ধাতস্থ হতে পারলে হার্টের রোগ ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারবে না। সঙ্গে শরীর বিষমুক্ত থাকবে। ফলে একাধিক জটিল রোগের খপ্পরে পড়়ার আশঙ্কাও কমবে। বিশেষ করে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। সঙ্গে শরীরের ভিতরে প্রদাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে বহু রোগ-ব্যাধিও ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পাবে না। আর যদি ডায়েট প্ল্যানের কথা বলেন, তা হলে বলব, এই নিয়মগুলি মেনে খাওয়াদাওয়া শুরু করলে শরীর ফিট থাকবে, এনার্জিও বাড়বে।
১. Gluten-free ডায়েট
২০১০ সাল পর থেকে গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছেল। যদিও তার পিছনে কিছু কারণও ছিল। কী কারণ? গত দশকে হওয়া বেশ কয়েকটি স্টাডি অনুসারে গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েট প্ল্যান মেনে চললে নাকি celiac disease সহ বেশ কিছু জটিল রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না। এমনকী, কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে। শুধু তাই নয়, এনার্জির ঘাটতি দূর হয়, হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং irritable bowl syndrom-এর মতো রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়। তাই বুঝতেই পারছেন, আজকের দিনে সুস্থ (healthy) থাকতে হলে গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েট প্ল্যান মেলে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. ডিটক্স ডায়েট
এক সময় এই নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনও ধরণাই ছিল না। কিন্তু গত দশ বছরে আমরা অনেক সচেতন হয়েছি। বুঝতে শিখেছি যে, নিয়ম করে শরীরকে বিষমুক্ত করতে না পারলে রোগ-ব্যাধির হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। তাই তো ডিটক্স ডায়েটের জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছে। কী এই ডিটক্স ডায়েট? এই ডায়েট প্ল্যান মেনে চললে নিয়ম করে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবজি এবং ফল খেতে হবে। তাতে করে রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কমবে প্রদাহের মাত্রাও, যে কারণে ছোট-বড় নানা রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। প্রতিদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গাজর, বিট, পুদিনা পাতা, ধনেপাতা, পালং শাক, মাশরুম, কুমড়ো, বাঁধাকপি, কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন অথবা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন। নিয়ম করে পাতিলেবুর রসও খেতে পারেন। কারণ, পাতিলেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে।
৩. Probiotic জাতীয় খাবার খেতে হবে
আমরা, মানে বাঙালিরা এমন ভোজনরসিক যে, হজমের সমস্যা তো বটেই, নানা ধরনের পেটের রোগও পিছু ছাড়তে চায় না। তাই তো গত কয়েক বছরে প্রোবায়োটিক খাবার (food) খাওয়ার প্রতি মানুষের ঝোঁক বেড়েছে। গোদা বাংলায় টক দই, পনির এবং বাটারমিল্ক জাতীয় খাবারকে probiotic food বলা হয়ে থাকে। নিয়মিত এই ধরনের খাবার খেলে আমাদের শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পেটের রোগের প্রকোপও কমে।
৪. Pilates এক্সারসাইজ
কখনও না-কখনও এই এক্সারসাইজের নামটা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন! কারণ, গত এক দশকে পিলাটিস এক্সারসাইজ তুমুল জনপ্রিয়তা পয়েছে। আর কেন পাবে না-ই বা বলুন! শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে তো বটেই, সেই সঙ্গে পেশির ক্ষমতা বাড়াতে, ওজন কমাতে এবং শরীরকে টোনড রাখতে Pilates এক্সারসাইজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো ডায়েটিংয়ের পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত চার দিন যদি এই এক্সারসাইজটি করতে পারেন, তা হলে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তা থাকবে না।
৫. বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি
প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনারে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শুরু করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সঙ্গে পেশির ক্ষমতা বাড়বে, হাড় শক্তপোক্ত হবে, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হবে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে নাকি কিডনির ক্ষমতাও বাড়ে। তবে খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানোর আগে একবার ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!