খেয়াল করে দেখবেন, কোনও রোগের চিকিৎসা করাতে গেলেই ডাক্তার আগে পরিবারের মেডিক্যাল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চান। কখনও ভেবে দেখেছেন, এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হন কেন? আসলে চিকিৎসা শাস্ত্র বলছে, আমাদের জিনেই নাকি লুকিয়ে রয়েছে নানা রোগের ইতিহাস, যা পর্যালোচনা করে অনেক তথ্যই জেনে ফেলা সম্ভব। বিশেষ করে আগামী দিনে কী-কী রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সে বিষয়ে তো অনেকটা স্পষ্ট ধারণা দেওয়া যেতে পারে। কারণ, জিন, কেমন পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছেন এবং লাইফস্টাইল, এই তিনটি ফ্যাক্টর একটু তলিয়ে দেখলেই পরিবারে কী-কী রোগের ইতিহাস রয়েছে, সে সম্পর্কে চিকিৎসকের জেনে ফেলতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মায়ের দিক থেকে কী-কী রোগে (health conditions) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সে বিষয়েও অনেক আগে থাকতেই ধারণা করে ফেলা সম্ভব।
১. হার্টের রোগ
Oxford University-এর গবেষকদের করা এক স্টাডি অনুসারে, মায়ের কোনও ধরনের হার্টের রোগ অথবা হার্ট অ্যাটাক হলে তাঁর মেয়েরও এমন রাগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, স্ট্রোকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। আসলে পরিবারিক ইতিহাসের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েদের coronary artery বা ব্রেনের cerebral artery দুর্বল হয়ে পড়ে, যে কারণেই এমন সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই তো হার্টের রোগ বা স্ট্রোকের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে তিরিশের পর থেকেই ডায়েট এবং লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেই সঙ্গে বছর বছর বেশ কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা করেও দেখে নেওয়া উচিত হার্টে কোনও গোলযোগ বেধেছে কিনা। জানবেন, আগে থাকতে রোগের সন্ধান পেলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনই অল্পতেই রোগের প্রকোপও কমিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।
২. ব্রেস্ট ক্যান্সার
এমন রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে সাবধান! এক্ষেত্রে প্রয়োজন মতো জেনেটিক টেস্ট করিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো mammogram টেস্টও করাতে পারেন। এই সব ডাক্তারি পরীক্ষা করালে রোগের উপস্থিতি সম্পর্কে জেনে ফেলা সম্ভব হবে। তাতে করে হাতে সময় থাকতে থাকতেই চিকিৎসা শুরু করা যাবে। ফলে রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, BRCA1 অথবা BRCA2 জিন যদি কারও শরীরে থাকে, তা হলে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এই দিকটা খেয়াল রাখতেও ভুলবেন না।
৩. অ্যালঝাইমার্স
মা অথবা মামাবাড়ির দিক থেকে মেয়েদের যে যে রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হল এই রোগ। Alzheimer Society- এর প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে মায়ের এই রোগ থাকলে মেয়েদের ডিমেনশিয়া বা Alzheimer’s রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০-৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই তো তিরিশ পেরোনো মাত্রই কতগুলি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ধরুন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা মাস্ট, সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেশার এবং কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাশাপাশি যদি লাইফস্টাইলে একটু বদল আনতে পারেন, তা হলে অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নাকি প্রায় ২০ শতাংশ কমে যয়, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
৪. ডিপ্রেশন
এক্কেবারে ঠিক শুনেছেন! এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে নতুন প্রজন্মের এমন সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। ভাবছেন, ১০ শতাংশ আর এমন কী? তা হলে ভুলে গেলে চলবে না আজকের দিনে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির মাত্রা যেমন বেড়েছে, তেমনই নানা কারণে অনেকেই নির্বিঘ্নে আট ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন না। তাই বুঝতেই পারছেন, এমন পরিস্থিতিতে যদি পরিবারের মেডিকেল ট্রিতে Mental illness থাকে, তা হলে বিপদ যে বাড়বে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই যাঁদের পরিবারে এমন রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। সেই সঙ্গে যতটা সম্ভব স্ট্রেস কমাতে হবে এবং মাত্রাতিরিক্ত হারে অ্যালকোহল সেবন করা চলবে না।
৫. মাইগ্রেন
মায়ের থাকলে মেয়েও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই কথায়-কথায় যদি মারাত্মক মাথা যন্ত্রণা হয়, তা হলে একবার খোঁজ নিয়ে দেখবেন তো মামাবাড়ির দিকে কারও মাইগ্রেন রোগের ইতিহাস রয়েছে কিনা। কারণ, মায়ের পরিবারে এমন রোগের ইতিহাস থাকলে মেয়ের মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই কারণেই তো চকোলেট, চিজ, কফি, সাইট্রাস ফল এবং রেড ওয়াইন এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, এই সব খাবার বেশি মাত্রায় খেলে মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!