বর থেকে বিরিয়ানি, সবই এখন অনলাইনে মেলে। একটা ক্লিকেই খেল খতম! নিমেষেই মিলবে রাজপুত্রের হদিস। তাই তো দিনে-দিনে পাত্রপাত্রীর পাতায় বিজ্ঞাপনের সংখ্যা কমছে। পয়সা যখন খরচ হবেই, তখন অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিতে ক্ষতি কী! তাতে আরও দ্রুত সুপাত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে। তাই বিয়ের বয়স হওয়ামাত্রই সিংহভাগ পরিবারই matrimonial website-এ প্রোফাইল তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পরে। কিন্তু সেখানেও যে এখন গোল বেধেছে। আজকাল বেশিরভাগ ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটেই ভেজাল প্রোফাইলের ছড়াছড়ি। কে আসল, কেই বা নকল, তা বুঝি উঠতেই কালঘাম ছুটছে অনেকের। নকলের খপ্পরে পড়ছেনও অনেকে। তাই তো এই টিপসগুলি মাথায় রাখা জরুরি। তাতে প্রোফাইলের সত্যতা যাচাই করতে আর সময় লাগবে না।
ছবির দিকে নজর ফেরান
যে সব প্রোফাইলে কোনও ছবি নেই, তাতে ক্লিক করা চলবে না। নকল প্রোফাইলেই (fake profile) মূলত ছবি থাকে না। তবে আজকাল অসাধু ব্যক্তিরা খুব স্মার্ট হন। ফেক প্রোফাইলে ছবি দিতেও অনেকে পিছপা হন না। সেক্ষেত্রে কী করণীয়? এমন পরিস্থিতিতে কিছু ‘গোল্ডেন রুল’ মেনে চলতে হবে। যেমন ধরুন, প্রোফাইলে দেওয়া বয়সের সঙ্গে যদি ছবির মিল না থাকে, তা হলে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলতে দেরি করবেন না। আজকাল নানা এডিটিং টুলের সৌজন্যে ছবি এডিট করা জলভাত হয়ে গেছে। কোনও প্রোফাইল pic-এ খুব বেশি এডিটের ছাপ থাকলে তেমন প্রোফাইল এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে আরেকটা কাজও করতে পারেন। প্রোফাইলে যে নাম দেওয়া রয়েছে, সেই নামে ফেসবুকে সার্চ করুন। দুটো প্রোফাইল মিলছে কিনা, সেটা খুঁটিয়ে একবার দেখে নিন। কোনও সন্দেহ হলে সঙ্গে-সঙ্গে প্রোফাইল থেকে বেরিয়ে আসুন।
তথ্যে কোনও ভুল নেই তো?
matrimonial site-এ প্রোফাইল খুলতে গেলে প্রথম ধাপেই নিজের সম্পর্কে কিছু তথ্য দিতে হয়। আপনি যাঁকে পছন্দ করেছেন, তাঁকেও সেই কাজটি করতে হয়েছে। তাই প্রোফাইলে দেওয়া তথ্যে একবার চোখ বুলিয়ে নিন। যদি লক্ষ করেন কোনও অসামঞ্জস্য রয়েছে, তা হলে আর এক পাও এগবেন না।
বারে বারে প্রোফাইল এডিট করা মানেই বিপদের লক্ষণ
যাঁরা নকল প্রোফাইল তৈরি করেন, তাঁরা কিছুদিন অন্তর-অন্তরই সাধারণত প্রোফাইলে লেখা নানা তথ্য বদলে দেন। অনেকে তো ধর্ম, চাকরি এবং হবির কলামে প্রায়ই তথ্য বদলাতে থাকেন। জানবেন, অসাধু ব্যক্তিরাই সাধারণত এমন কাজ করে থাকেন। তাই কোনও ছেলেকে পছন্দ হওয়ামাত্রই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না। বরং কয়েক সপ্তাহ একটু নজর রেখে দেখুন। যদি প্রোফাইলে দেওয়া তথ্য প্রায়ই বদলে যায়, তা হলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন না যে নকল ব্যক্তির পাল্লায় পড়েছিলেন আপনি।
আরও পড়ুন: সরাসরি না চেয়ে ঘুরিয়ে পণ চাইছে পাত্রপক্ষ? কথার জালে না জড়িয়ে প্রথম থেকেই রুখে দাঁড়ান
টাকা চাইলেই সম্পর্ক শেষ
এত সাবধানতা নেওয়ার পরেও কিন্তু অনেকে ঠকে যান। ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে কাউকে পছন্দ হয়ে যাওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়ে পড়াটা আজকাল আকছারই ঘটছে। এমনটা হওয়া ঠিক নয়, তা বলছি না। আসল প্রশ্নটা হল, আপনি যে অসাধু ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েননি, সে গ্যারান্টি কোথায়? তাই একটা জিনিস মাথায় রাখা জরুরি। সম্পর্ক শুরুর পর পর নানা অছিলায় যদি ছেলেটি আপনার থেকে টাকা চায়, তা হলে সাবধান হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে ছেলেটি সম্পর্কে আরও খুঁটিয়ে খোঁজখবর করতে হবে। যে পাড়ায় ছেলেটির বাড়ি, সেখানকার চায়ের দোকান বা মুদির দোকানে গিয়ে ছবি দেখিয়ে জানার চেষ্টা করলে ফল পাবেন। এভাবেই জেনে যাবেন ছেলেটা সৎ কিনা। খোঁজখবর করার পরে মনে কোনও সন্দেহ না থাকলে তাঁকে সাহায্য করতে পিছপা হবেন না। হয়তো সত্যি-সত্যিই কোনও বিপদে পড়ে সে আপনার থেকে সাহায্য চাইছে। আর যদি সামান্যতম সন্দেহ হয়, তা হলে সঙ্গে-সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেবেন। প্রয়োজনে থানায় জেনারেল ডায়েরিও করতে পারেন।
আলাপ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই কি বিয়ে করতে চাইছে?
কয়েক দিন দেখা করার পরেই যদি পাত্র বিয়ের জন্য জোরাজুরি করে, তা হলে বাড়ির বড়দের সে বিষয়ে জানিয়ে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। অনেকেই নানা অসৎ উদ্দেশ্য বিয়ে করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। আপনার ক্ষেত্রেও যে এমন ঘটনা ঘটছে না, তা যাচাই করে দেখে নেওয়াটা আপনার কর্তব্য। মাথায় রাখবেন, ফেক প্রোফাইলের থেকেও ভয়ঙ্কর হল অসৎ ব্যক্তি। তাই যাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেঁছে নেওয়ার কথা ভাবছেন, সে যে আপনাকে ব্যবহার করে দূরে ছুড়ে ফেলে দেবেন না, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। সন্দেহ দানা বাধলেই কাঁচি করে দিন, না হলে কিন্তু…
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!