শীতের সময় ঠোঁট তো ফাটবেই। এটাই তো স্বাভাবিক, তাহলে এই নিয়ে এত কথা কেন? একথা ঠিক যে পরিবেশে আর্দ্রতার মাত্রা কমলে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। অগত্যা হয় লিপ বাম, নয়তো পেট্রোলিয়াম জেলিকে কাজে লাগিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার চেষ্টা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু প্রশ্ন হল, এত কিছু করেও কী ঠোঁট ফাটছে? তাহলে একটু তলিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বই কি! কারণ, বিশেষজ্ঞরা এক নতুন তথ্য সামনে এনেছেন। তাঁদের মতে কথায় কথায় ঠোঁট ফাটলে বুঝবেন আপনি বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার শিকার। মুষ্টিমেয় কিছু রোগের (health condition) লক্ষণ হিসেবেও নাকি ঠোঁট ফাটে। তাই উত্তর খোঁজার সময় এসেছে।
শরীর ভাঙলে ঠোঁটের হালও বেহাল হবে
কথায় কথায় ঠোঁট ফাটলে বা সারা বছর ধরেই ঠোঁট থেকে চামড়া ওঠার মতো সমস্যা পিছু না ছাড়লে জানবেন শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আসলে শরীরকে সচল রাখতে যে যে ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন পড়ে, সেই সব পুষ্টিকর উপাদানগুলির ঘাটতি না মিটলে অনেক সময় নাকি এমন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই এমন পরিস্থিতিতে ডায়েটের দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে রোজের ডায়েটে মাছ-মাংসের পাশাপাশি দুধ, দই বা পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার থাকাও জরুরি। সেই সঙ্গে নিয়ম করে সবুজ শাক-সবজি এবং ফল খেতে ভুলবেন না।
বেশ কিছু রোগের কারণেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে
এক্কেবারে ঠিক শুনেছেন! বেশ কিছু রোগের লক্ষণ হিসেবেও কিন্তু ঠোঁট ফাটে। বিশেষজ্ঞদের মতে ডিহাইড্রেশন, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যানিমিয়া এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হলে ঠোঁট শুকতে শুরু করে। তাকে করে ঠোঁট ফাটে। অনেক সময় বেশ কিছু ওষুধের কারণেও এমন ঘটনা ঘটে। তবে এখানেই শেষ নয়, স্ট্রেস-অ্যাংজাইটির সঙ্গেও নাকি এমন সমস্যার যোগ রয়েছে। তাই সহজে ঠোঁট ফাটার (chapped lips) মতো সমস্যা পিছু না ছাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: ঠোঁট রাঙান পছন্দসই রঙে, বাজেটের মধ্যে সেরা লিকুইড লিপস্টিকের সন্ধান দিচ্ছি আমরা
ঠোঁটের সৌন্দর্য ধরে রাখার উপায়
ঠোঁটের হাল ফেরাতে ঘরোয়া পদ্ধতির উপরও ভরসা রাখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে নানা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি লিপ বাম ঠোঁটে লাগাতে পারেন। তাতে উপকার মিলবে। আর যদি হাতের কাছে কিছু না থাকে, তাহলে ঠোঁটে ঘি লাগিয়েও মালিশ করা যেতে পারে। শুনলে আবাক হবেন, নিয়মিত ঘি লাগালেও নাকি ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসে। ফলে ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না।
আরও একটা উপায় আছে
এক বাটি দুধে খান দশেক গোলাপের পাপড়ি মিনিট কুড়ি ভিজিয়ে রাখার পরে সেগুলি চটকে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার সেই পেস্টটা ঠোঁটে লাগিয়ে মিনিট পনেরো অপেক্ষা করার পরে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই ঘরোয়া চিকিৎসা চালালে ঠোঁটের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরে আসবে।
মধুর উপরও ভরসা রাখতে পারেন
এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে এত রকমের উপকারী উপাদান রয়েছে যে তা ঠোঁটের সৌন্দর্য ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই ঠোঁটের হাল ফেরাতে মধুর উপর ভরসা রাখা যেতেই পারে। এক্ষেত্রে অল্প করে কাঁচা মধু, ঠোঁটে লাগিয়ে মিনিট কুড়ি অপেক্ষা করুন। সময় হওয়া মাত্র ধুয়ে ফেলতে ভুলবেন না। নিয়মিত এইভাবে যত্ন নিলে ঠোঁট আর্দ্র থাকবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বারে বারে ঠোঁট ফাটার আশঙ্কা আর থাকবে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!