ADVERTISEMENT
home / বিবাহ
বাঙালি বিয়ের এই নিয়মগুলিতে কি মেয়েদের আদৌ সম্মান রয়েছে? আপনিও কি একমত?

বাঙালি বিয়ের এই নিয়মগুলিতে কি মেয়েদের আদৌ সম্মান রয়েছে? আপনিও কি একমত?

বিয়ের (wedding) সঙ্গে জড়়িয়ে থাকে বহু নিয়ম (rituals)। ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিয়ের আবার ভিন্ন নিয়ম। কোনও কোনও নিয়ম একই। বাঙালিদের (Bengali) মধ্যে বা হিন্দু ধর্মে বিয়ের যে সব নিয়ম রয়েছে, তাতে আদৌ কি মেয়েদের সম্মান রক্ষার কথা ভাবা হয়? নাকি পুরুষশাসিত সমাজ নিয়ম সাজিয়েছে নিজের সুবিধের কথা ভেবে? আমরা সাধারণ কয়েকটি নিয়মের কথা আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। আপনিও কি আমাদের সঙ্গে একমত? শেয়ার করতে পারেন আপনার অভিজ্ঞতা। 

 

১) কন্যাদান

এই রীতি শুধু বাঙালিদের মধ্যে নেই। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিয়েতেই কন্যাদান বহু পুরনো এবং প্রচলিত রীতি। কনের বাবা বা তাঁর অবর্তমানে পিতৃস্থানীয় কোনও ব্যক্তি তাঁকে দান করে। মেয়েরা তো কোনও বস্তু বা সামগ্রী নয়, যে তাঁদের দান করা সম্ভব! মেয়েদেরও মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিলে বিয়েতে এই রীতি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন সমাজের এতটা বড় অংশ।

২) গোত্র বদল

কন্যাদানের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে গোত্র বদলের প্রসঙ্গও। বিয়ের পর মেয়েদের গোত্রান্তর হয়ে যায়। অর্থাৎ জন্মবাধি সে যে গোত্রের দানের পর শ্বশুরবাড়ির গোত্র তাকে ধারণ করতে হয়। সে কারণেই বদলে যায় পদবীও। যদিও এখন অনেক মেয়েই এই নিয়মের বিরোধিতা করেন। অর্থাৎ পদবী বদলাতে রাজি হন না অনেকে। আবার বহু ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রির সময় নিজের এবং শ্বশুরবাড়ির পদবী, দুটোই ব্যবহার করেন অনেকে। কোন পদবী আগে লেখা হবে, তা নিয়েও বহু প্রশ্ন রয়ছে। তাই এ নিয়ম তুলে দিলে ভাল হয় না? প্রশ্ন উঠেছে সমাজের অন্দরেই।

ADVERTISEMENT

৩) দাসীপ্রথা

মেয়েমানুষ নয়, মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে শিখতে হবে আমাদের। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

বিয়ে করতে যাওয়ার সময় ছেলে মাকে বলে যায়, তোমার জন্য দাসী আনতে যাচ্ছি। বাঙালি বিয়েতে এই রীতি বহু পুরনো। সত্যি করে ভেবে বলুন তো, ছেলের বউ কি শাশুড়ি বা পরিবারের সকলের দাসী? আবার সেই মর্যাদার প্রশ্ন। মেয়েমানুষ নয়, মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে শিখতে হবে আমাদের। আপনি হয়তো বলবেন, আজকাল আর এ সব কেউ মানে না। ঠিকই। কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠও তো রয়েছে। এখন এই সব নিয়ম মেনে বিয়ে করছেন, এমন পাত্র-পাত্রীর সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। 

৪) মাঙ্গলিক

মেয়ে কি মাঙ্গলিক? লক্ষ্য করে দেখবেন, এ প্রশ্ন হামেশাই এখন বিয়ের আগে বাঙালি পরিবারে শোনা যায়। হয়তো কোনও জোত্যিষীর পরামর্শে হবু কনের জন্মছক দেখা হয়েছে। আর সেখানেই হয়তো দেখা গিয়েছে, মেয়েটি মাঙ্গলিক। ব্যাস, বিয়ে গেল ভেস্তে। দু’জন মানুষ যদি একে অপরকে পছন্দ করে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন। দুই পরিবারের আত্মীয়-পরিজনরা যদি আশীর্বাদ করেন, তাহলে এ সব কি আদৌ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে? আর যদি জ্যোতিষ মতে, কোনও মেয়ে মাঙ্গলিকও হন, সে তো তাঁর দোষ হতে পারে না। এ কারণে বিয়ে ভেস্তে দেওয়া কি আদৌ ঠিক? ভেবে দেখবেন। উত্তর কিন্তু আপনারও জানা। 

ADVERTISEMENT

৫) বিয়ের চিহ্ন

এই বিষয়টি নিয়ে সত্যিই এখনকার দিনে বহু মহিলা সরব। বিয়ের চিহ্ন হিসেবে শাঁখা, সিঁদুর কেন শুধু মেয়েদেরই ধারণ করতে হবে? যুগ যুগ ধরে চলতে থাকা এই প্রথাতে মেয়েদের সম্মানের দিকটা কি কখনও ভেবে দেখা হয়েছে? ফলে এ সব বর্জনে অভ্যস্ত অনেকেই। আবার বহু মহিলা ভালবেসে পরেন সিঁদুর। পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে পরেন শাঁখা বা পলা। সেটা তখন তাঁদের সাজের অঙ্গ। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম নয়। 

ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম

https://bangla.popxo.com/article/what-kind-of-fear-a-bride-can-face-before-wedding-in-bengali

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!

04 Mar 2020

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT