রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয় (Rabindranath Tagore Poems In Bengali)। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই প্রতিবেদনে রবীন্দ্রনাথের কিছু কবিতা (List of Rabindranath Tagore Poems) নিয়ে আলোচনা করা হল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা, রবীন্দ্রনাথের কবিতা, রোমান্টিক কবিতা, প্রেমের কবিতা, ভালোবাসার কবিতা নিয়ে আলোচনা করা হল।
Table of Contents
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা (Rabindranath Tagore Love Poems In Bengali)
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট কবিতা (Short Poem Of Rabindranath Tagore In Bengali)
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রকৃতি পর্যায়ের কবিতা (Poems On Nature By Rabindranath Tagore In Bengali)
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বাধীনতা বিষয়ক কবিতা (Freedom Poem By Rabindranath Tagore In Bengali)
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণী (Slogans Of Rabindranath Tagore In Bengali)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা (Rabindranath Tagore Love Poems In Bengali)
আপনি বাঙালি অথচ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়েননি, এ ঘটনা হাতে গোনা। সকলেই কোনও না কোনও ভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার সঙ্গে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা (Rabindranath Tagore Love Poems In Bengali), রোমান্টিক কবিতা, প্রেমের কবিতা বা ভালোবাসার কবিতার কয়েকটি এখানে দেওয়া হল –
১| শেষের কবিতা
কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?
তারি রথ নিত্য উধাও।
জাগিছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন
চক্রে পিষ্ট আধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন।
ওগো বন্ধু,
সেই ধাবমান কাল
জড়ায়ে ধরিল মোরে ফেলি তার জাল
তুলে নিল দ্রুতরথে
দু’সাহসী ভ্রমনের পথে
তোমা হতে বহু দূরে।
মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে
পার হয়ে আসিলাম
আজি নব প্রভাতের শিখর চুড়ায়;
রথের চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায়
আমার পুরানো নাম।
ফিরিবার পথ নাহি;
দূর হতে যদি দেখ চাহি
পারিবে না চিনিতে আমায়।
হে বন্ধু বিদায়।
কোনদিন কর্মহীন পূর্ণো অবকাশে
বসন্তবাতাসে
অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস,
ঝরা বকুলের কান্না ব্যাথিবে আকাশ,
সেইক্ষণে খুজে দেখো, কিছু মোর পিছে রহিল সে
তোমার প্রাণের প্রানে, বিস্মৃতি প্রাদোষে
হয়তো দিবে সে জ্যোতি,
হয়তো ধরিবে কভু নামহারা স্বপ্নে মুরতি।
তবু সে তো স্বপ্ন নয়,
সব চেয়ে সত্য মোর সেই মৃত্যুঞ্জয় –
সে আমার প্রেম।
তারে আমি রাখিয়া এলাম
অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশ্যে।
পরিবর্তনের স্রোতে আমি যাই ভেসে
কালের যাত্রায়।
হে বন্ধু বিদায়। (Rabindranath Tagore Love Poems In Bengali)
তোমায় হয় নি কোন ক্ষতি।
মর্তের মৃত্তিকা মোর, তাই দিয়ে অমৃতমুরতি
যদি সৃষ্টি করে থাক তাহারি আরতি
হোক তবে সন্ধ্যা বেলা-
পূজার সে খেলা
ব্যাঘাত পাবে না মোর প্রত্যহের ম্লান স্পর্শ লেগে;
তৃষার্ত আবেগবেগে
ভ্রষ্ট্র নাহি হবে তার কোন ফুল নৈবদ্যের থালে।
তোমার মানস ভোজে সযত্নে সাজালে
যে ভাবরসের পাত্র বাণীর ত’ষায়
তার সাথে দিব না মিশায়ে
যা মোর ধূলির ধন, যা মোর চক্ষের জলে ভিজে।
আজও তুমি নিজে
হয়তো বা করিবে বচন
মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নবিষ্ট তোমার বচন
ভার তার না রহিবে, না রহিবে দায়।
হে বন্ধু বিদায়।
মোর লাগি করিয় না শোক-
আমার রয়েছে কর্ম রয়েছে বিশ্বলোক।
মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই,
শুন্যেরে করিব পূর্ণো, এই ব্রত বহিব সদাই।
উ’কন্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে
সে ধন্য করিবে আমাকে।
শুক্লপখক হতে আনি
রজনী গন্ধার বৃন্তখানি
যে পারে সাজাতে
অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে
সে আমারে দেখিবারে পায়
অসীম ক্ষমায়
ভালমন্দ মিলায়ে সকলি,
এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।
তোমারে যা দিয়েছিনু তার
পেয়েছ নিশেষ অধিকার।
হেথা মোর তিলে তিলে দান,
করূন মুহূর্তগুলি গন্ডুষ ভরিয়া করে পান
হৃদয়-অঞ্জলি হতে মম,
ওগো নিরূপম,
হে ঐশ্বর্যবান
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান,
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।
হে বন্ধু বিদায়।
আরও পড়ুনঃ বাংলা শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস
২| অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
চলবে না। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা)
এবার হৃদয় মাঝে লুকিয়ে বোসো,
কেউ জানবে না, কেউ বলবে না।
বিশ্বে তোমার লুকোচুরি,
দেশ বিদেশে কতই ঘুরি –
এবার বলো আমার মনের কোণে
দেবে ধরা, ছলবে না।
আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
চলবে না।
জানি আমার কঠিন হৃদয়
চরণ রাখার যোগ্য সে নয় –
সখা, তোমার হাওয়া লাগলে হিয়ায়
তবু কি প্রাণ গলবে না।
না হয় আমার নাই সাধনা,
ঝরলে তোমার কৃপার কণা
তখন নিমেষে কি ফুটবে না ফুল
চকিতে ফল ফলবে না।
আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
চলবে না।
৩| ক্ষণিকা
খোলো খোলো, হে আকাশ, স্তব্ধ তব নীল যবনিকা –
খুঁজে নিতে দাও সেই আনন্দের হারানো কণিকা।
কবে সে যে এসেছিল আমার হৃদয়ে যুগান্তরে
গোধূলিবেলার পান্থ জনশূন্য এ মোর প্রান্তরে
লয়ে তার ভীরু দীপশিখা!
দিগন্তের কোন্ পারে চলে গেল আমার ক্ষণিকা।।
৪| যাবার দিন
যাবার দিনে এই কথাটি বলে যেন যাই –
যা দেখেছি, যা পেয়েছি, তুলনা তার নাই।
এই জ্যোতিসমুদ্র মাঝে যে শতদল পদ্ম রাজে
তারি মধু পান করেছি, ধন্য আমি তাই।
যাবার দিনে এই কথাটি জানিয়ে যেন যাই।।
বিশ্বরূপের খেলাঘরে কতই গেলেম খেলে,
অপরূপকে দেখে গেলেম দুটি নয়ন মেলে।
পরশ যাঁরে যায় না করা সকল দেহে দিলেন ধরা,
এইখানে শেষ করেন যদি শেষ করে দিন তাই –
যাবার বেলা এই কথাটি জানিয়ে যেন যাই।।
৫| দায়মোচন
চিরকাল রবে মোর প্রেমের কাঙাল,
এ কথা বলিতে চাও বোলো।
এই ক্ষণটুকু হোক সেই চিরকাল –
তার পরে যদি তুমি ভোল
মনে করাব না আমি শপথ তোমার,
আসা যাওয়া দু দিকেই খোলা রবে দ্বার –
যাবার সময় হলে যেয়ো সহজেই,
আবার আসিতে হয় এসো।
সংশয় যদি রয় তাহে ক্ষতি নেই,
তবু ভালোবাস যদি বেসো।।
বন্ধু, তোমার পথ সম্মুখে জানি,
পশ্চাতে আমি আছি বাঁধা।
অশ্রুনয়নে বৃথা শিরে কর হানি
যাত্রায় নাহি দিব বাধা। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা)
আমি তব জীবনের লক্ষ্য তো নহি,
ভুলিতে ভুলিতে যাবে হে চিরবিরহী,
তোমার যা দান তাহা রহিবে নবীন
আমার স্মৃতির আঁখিজলে –
আমার যা দান সেও জেনো চিরদিন
রবে তব বিস্মৃতিতলে।।
দূরে চলে যেতে যেতে দ্বিধা করি মনে
যদি কভু চেয়ে দেখ ফিরে,
হয়তো দেখিবে আমি শূন্য শয়নে –
নয়ন সিক্ত আঁখিনীরে।
মার্জনা কর যদি পাব তবে বল,
করুণা করিলে নাহি ঘোচে আঁখিজল –
সত্য যা দিয়েছিলে থাক্ মোর তাই,
দিবে লাজ তার বেশি দিলে। (Rabindranath Tagore Love Poems In Bengali)
দুঃখ বাঁচাতে যদি কোনোমতে চাই
দুঃখের মূল্য না মিলে।।
দুর্বল ম্লান করে নিজ অধিকার
বরমাল্যের অপমানে।
যে পারে সহজে নিতে যোগ্য সে তার,
চেয়ে নিতে সে কভু না জানে।
প্রেমেরে বাড়াতে গিয়ে মিশাব না ফাঁকি,
সীমারে মানিয়া তার মর্যাদা রাখি –
যা পেয়েছি সেই মোর অক্ষয় ধন,
যা পাই নি বড়ো সেই নয়।
চিত্ত ভরিয়া রবে ক্ষণিক মিলন
চিরবিচ্ছেদ করি জয়।।
৬| আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে
আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
তব অবগুন্ঠিত কুন্ঠিত জীবনে
কোরো না বিড়ম্বিত তারে।
আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,
আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো,
এই সংগীতমুখরিত গগনে
তব গন্ধ করঙ্গিয়া তুলিয়ো।
এই বাহিরভূবনে দিশা হারায়ে
দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে।
অতি নিবিড় বেদনা বনমাঝে রে
আজি পল্লবে পল্লবে বাজে রে –
দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া
আজি ব্যকুল বসুন্ধরা সাজে রে।
মোর পরানে দখিন বায়ু লাগিছে,
কারে দ্বারে দ্বারে কর হানি মাগিছে,
এই সৌরভবিহবল রজনী
কার চরণে ধরণীতলে জাগিছে।
ওগো সুন্দর, বল্লভ, কান্ত,
তব গম্ভীর আহবান কারে।
৭| আমার মাঝে তোমার লীলা হবে
আমার মাঝে তোমার লীলা হবে,
তাই তো আমি এসেছি এই ভবে।
এই ঘরে সব খুলে যাবে দ্বার,
ঘুচে যাবে সকল অহংকার,
আনন্দময় তোমার এ সংসার
আমার কিছু আর বাকি না রবে।
মরে গিয়ে বাঁচব আমি, তবে
আমার মাঝে তোমার লীলা হবে।
সব বাসনা যাবে আমার থেমে
মিলে গিয়ে তোমারি এক প্রেমে,
দুঃখসুখের বিচিত্র জীবনে
তুমি ছাড়া আর কিছু না রবে।
৮| আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে
আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে
তখন কে তুমি তা কে জানত।
তখন ছিল না ভয়, ছিল না লাজ মনে,
জীবন বহে যেত অশান্ত।
তুমি ভোরের বেলা ডাক দিয়েছ কত
যেন আমার আপন সখার মতো,
হেসে তোমার সাথে ফিরেছিলাম ছুটে
সেদিন কত-না বন-বনান্ত।
ওগো, সেদিন তুমি গাইতে যে সব গান
কোনো অর্থ তাহার কে জানত।
শুধু সঙ্গে তারি গাইত আমার প্রাণ,
সদা নাচত হৃদয় অশান্ত। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা)
হঠাৎ খেলার শেষে আজ কী দেখি ছবি –
স্তব্ধ আকাশ, নীরব শশী রবি,
তোমার চরণপানে নয়ন করি নত
ভুবন দাঁড়িয়ে গেছে একান্ত।
৯| আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু
আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু,
নয় তো হীনবল –
শুধু কি এ ব্যাকুল হয়ে
ফেলবে অশ্রুজল।
মন্দমধুর সুখে শোভায়
প্রেম কে কেন ঘুমে ডোবায়।
তোমার সাথে জাগতে সে চায়
আনন্দে পাগল।
নাচ’ যখন ভীষণ সাজে
তীব্র তালের আঘাত বাজে,
পালায় ত্রাসে পালায় লাজে
সন্দেহ বিহবল।
সেই প্রচন্ড মনোহরে
প্রেম যেন মোর বরণ করে,
ক্ষুদ্র আশার স্বর্গ তাহার
দিক সে রসাতল।
১০| আছে আমার হৃদয় আছে ভরে
আছে আমার হৃদয় আছে ভরে,
এখন তুমি যা খুশি তাই করো।
এমনি যদি বিরাজ’ অন্তরে (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা)
বাহির হতে সকলই মোর হরো।
সব পিপাসার যেথায় অবসান
সেথায় যদি পূর্ণ করো প্রাণ,
তাহার পরে মরুপথের মাঝে
উঠে রৌদ্র উঠুক খরতর।
এই যে খেলা খেলছ কত ছলে
এই খেলা তো আমি ভালবাসি।
এক দিকেতে ভাসাও আঁখিজলে,
আরেক দিকে জাগিয়ে তোল’ হাসি।
যখন ভাবি সব খোয়ালাম বুঝি
গভীর করে পাই তাহারে খুঁজি,
কোলের থেকে যখন ফেল’ দূরে
বুকের মাঝে আবার তুলে ধর’।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট কবিতা (Short Poem Of Rabindranath Tagore In Bengali)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার অনেকগুলি পর্যায় রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা, রোমান্টিক কবিতা, প্রেমের কবিতা (Short Poem of Rabindranath Tagore In Bengali), ভালোবাসার কবিতা তো রয়েইছে। প্রকৃতি, পূজা পর্যায়েরও প্রচুর কবিতা রচনা করেছিলেন বিশ্বকবি।
১| আমার মিলন লাগি তুমি
আমার মিলন লাগি তুমি
আসছ কবে থেকে।
তোমার চন্দ্র সূর্য তোমায়
রাখবে কোথায় ঢেকে।
কত কালের সকাল-সাঁঝে
তোমার চরণধ্বনি বাজে,
গোপনে দূত গৃহ-মাঝে
গেছে আমায় ডেকে।
ওগো পথিক, আজকে আমার
সকল পরাণ ব্যেপে
থেকে থেকে হরষ যেন
উঠছে কেঁপে কেঁপে
যেন সময় এসেছে আজ,
ফুরালো মোর যা ছিল কাজ –
বাতাস আসে, হে মহারাজ,
তোমার গন্ধ মেখে। (Short Poem of Rabindranath Tagore)
২| গানের পারে
দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ও পারে।
আমার সুরগুলি পায় চরণ, আমি পাই নে তোমারে।
বাতাস বহে মরি মরি, আর বেঁধে রেখো না তরী,
এসো এসো পার হয়ে মোর হৃদয়-মাঝারে।।
তোমার সাথে গানের খেলা দূরের খেলা যে –
বেদনাতে বাঁশি বাজায় সকল বেলা যে।
কবে নিয়ে আমার বাঁশি বাজাবে গো আপনি আসি
আনন্দময় নীরব রাতের নিবিড় আঁধারে?।
৩| ব্যর্থ
যদি প্রেম দিল না প্রাণে
কেন ভোরের আকাশ ভরে দিলে এমন গানে গানে?
কেন তারার মালা গাঁথা, (Rabindranath Tagore Famous Poem)
কেন ফুলের শয়ন পাতা,
কেন দখিন হাওয়া গোপন কথা জানায় কানে কানে?।
যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
কেন আকাশ তবে এমন চাওয়া চায় এ মুখের পানে?
তবে ক্ষণে ক্ষণে কেন
আমার হৃদয় পাগল হেন,
তরী সেই সাগরে ভাসায় যাহার কূল সে নাহি জানে?।
৪| ছল
তোমারে পাছে সহজে বুঝি
তাই কি এত লীলার ছল –
বাহিরে যবে হাসির ছটা
ভিতরে থাকে আঁখির জল।
বুঝি গো আমি, বুঝি গো তব ছলনা –
যে কথা তুমি বলিতে চাও
সে কথা তুমি বল না।।
তোমারে পাছে সহজে ধরি
কিছুরই তব কিনারা নাই –
দশের দলে টানি গো পাছে
কিরূপ তুমি, বিমুখ তাই।
বুঝি গো আমি, বুঝি গো তব ছলনা –
যে পথে তুমি চলিতে চাও
সে পথে তুমি চল না।।
সবার চেয়ে অধিক চাহ,
তাই কি তুমি ফিরিয়া যাও –
হেলার ভরে খেলার মতো
ভিক্ষাঝুলি ভাসায়ে দাও?
বুঝেছি আমি, বুজেছি তব ছলনা –
সবার যাহে তৃপ্তি হল
তোমার তাহে হল না।।
৫| মানসী
শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী!
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
আপন অন্তর হতে। বসি কবিগণ
সোনার উপমাসূত্রে বুনিছে বসন।
সঁপিয়া তোমার ‘পরে নূতন মহিমা
অমর করেছে শিল্পী তোমার প্রতিমা।
কত বর্ণ, কত গন্ধ, ভূষণ কত-না –
সিন্ধু হতে মুক্তা আসে, খনি হতে সোনা,
বসন্তের বন হতে আসে পুষ্পভার,
চরণ রাঙাতে কীট দেয় প্রাণ তার।
লজ্জা দিয়ে, সজ্জা দিয়ে, দিয়ে আবরণ,
তোমারে দুর্লভ করি করেছে গোপন।
পড়েছে তমার ‘পরে প্রদীপ্ত বাসনা –
অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক কল্পনা।।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রকৃতি পর্যায়ের কবিতা (Poems On Nature By Rabindranath Tagore In Bengali)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা বলতেই অনেকে হয়তো ভাবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা, রোমান্টিক কবিতা , ভালোবাসার কবিতা। কিন্তু প্রকৃতি পর্যায়ের কবিতাও (Poems on Nature by Rabindranath Tagore In Bengali) মুগ্ধ হয়ে পড়তে হয়।
১| আকাশে সোনার মেঘ
আকাশে সোনার মেঘ
কত ছবি আঁকে,
আপনার নাম তবু
লিখে নাহি রাখে।
২| আকাশের আলো মাটির তলায়
আকাশের আলো মাটির তলায়
লুকায় চুপে,
ফাগুনের ডাকে বাহিরিতে চায়
কুসুমরুপে।
৩| আজ ধানের খেতে রৌদ্রছায়ায়
আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা রে ভাই, লুকোচুরি খেলা।
নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই– লুকোচুরি খেলা॥
আজ ভ্রমর ভোলে মধু খেতে – উড়ে বেড়ায় আলোয় মেতে;
আজ কিসের তরে নদীর চরে চখা-চখীর মেলা॥
ওরে যাব না আজ ঘরে রে ভাই, যাব না আজ ঘরে।
ওরে, আকাশ ভেঙে বাহিরকে আজ নেব রে লুট ক’রে॥
যেন জোয়ার-জলে ফেনার রাশি বাতাসে আজ ছুটছে হাসি,
আজ বিনা কাজে বাজিয়ে বাঁশি কাটবে সকল বেলা॥
৪| আজ বারি ঝরে ঝর ঝর
আজ বারি ঝরে ঝরঝর ভরা বাদরে,
আকাশ-ভাঙা আকুল ধারা কোথাও না ধরে॥
শালের বনে থেকে থেকে ঝড় দোলা দেয় হেঁকে হেঁকে,
জল ছুটে যায় এঁকে বেঁকে মাঠের ‘পরে।
আজ মেঘের জটা উড়িয়ে দিয়ে নৃত্য কে করে॥
ওরে বৃষ্টিতে মোর ছুটেছে মন, লুটেছে এই ঝড়ে–
বুক ছাপিয়ে তরঙ্গ মোর কাহার পায়ে পড়ে।
অন্তরে আজ কী কলরোল, দ্বারে দ্বারে ভাঙল আগল–
হৃদয়-মাঝে জাগল পাগল আজি ভাদরে।
আজ এমন ক’রে কে মেতেছে বাহিরে ঘরে॥
৫| আজ বরষার রূপ হেরি মানবের মাঝে
আজ বরষার রূপ হেরি মানবের মাঝে–
চলেছে গরজি, চলেছে নিবিড় সাজে॥
হৃদয়ে তাহার নাচিয়া উঠিছে ভীমা,
ধাইতে ধাইতে লোপ ক’রে চলে সীমা,
কোন্ তাড়নায় মেঘের সহিত মেঘে
বক্ষে বক্ষে মিলিয়া বজ্র বাজে॥
পুঞ্জে পুঞ্জে দূরে সুদূরের পানে
দলে দলে চলে, কেন চলে নাহি জানে।
জানে না কিছুই কোন্ মহাদ্রিতলে
গভীর শ্রাবণে গলিয়া পড়িবে জলে,
নাহি জানে তার ঘনঘোর সমারোহে
কোন্ সে ভীষণ জীবন মরণ রাজে॥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বাধীনতা বিষয়ক কবিতা (Freedom Poem By Rabindranath Tagore In Bengali)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার মধ্যে স্বাধীনতা বিষয়ক কিছু কবিতা (Freedom Poem by Rabindranath Tagore In Bengali) বেছে নেওয়া হল। প্রেমের কবিতা ছাড়াও এই ধরনের কবিতাও অত্যন্ত জনপ্রিয়।
১| আত্মাভিমান
আপনি কণ্টক আমি, আপনি জর্জর।
আপনার মাঝে আমি শুধু ব্যথা পাই।
সকলের কাছে কেন যাচি গো নির্ভর–
গৃহ নাই, গৃহ নাই, মোর গৃহ নাই।
অতি তীক্ষ্ণ অতি ক্ষুদ্র আত্ম-অভিমান
সহিতে পারে না হায় তিল অসম্মান।
আগেভাগে সকলের পায়ে ফুটে যায়
ক্ষুদ্র ব’লে পাছে কেহ জানিতে না পায়।
বরঞ্চ আঁধারে রব ধুলায় মলিন,
চাহি না চাহি না এই দীন অহংকার–
আপন দারিদ্রে আমি রহিব বিলীন,
বেড়াব না চেয়ে চেয়ে প্রসাদ সবার।
আপনার মাঝে যদি শান্তি পায় মন
বিনীত ধুলার শয্যা সুখের শয়ন॥
২| আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার
আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে।
সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে॥
নিজেরে করিতে গৌরব দান নিজেরে কেবলি করি অপমান,
আপনারে শুধু ঘেরিয়া ঘেরিয়া ঘুরে মরি পলে পলে।
সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে॥ (Rabindranath Tagore Famous Poem)
আমারে না যেন করি প্রচার আমার আপন কাজে,
তোমারি ইচ্ছা করো হে পূর্ণ আমার জীবনমাঝে।
যাচি হে তোমার চরম শান্তি, পরানে তোমার পরম কান্তি,
আমারে আড়াল করিয়া দাঁড়াও হৃদয়পদ্মদলে।
সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে॥
৩| আহ্বানগীত
পৃথিবী জুড়িয়া বেজেছে বিষাণ,
শুনিতে পেয়েছি ওই–
সবাই এসেছে লইয়া নিশান,
কই রে বাঙালি কই।
সুগভীর স্বর কাঁদিয়া বেড়ায়
বঙ্গসাগরের তীরে, (Rabindranath Tagore Patriotic Poems)
“বাঙালির ঘরে কে আছিস আয়”
ডাকিতেছে ফিরে ফিরে।
ঘরে ঘরে কেন দুয়ার ভেজানো,
পথে কেন নাই লোক,
সারা দেশ ব্যাপি মরেছে কে যেন–
বেঁচে আছে শুধু শোক।
গঙ্গা বহে শুধু আপনার মনে,
চেয়ে থাকে হিমগিরি,
রবি শশী উঠে অনন্ত গগনে
আসে যায় ফিরি ফিরি।
কত-না সংকট, কত-না সন্তাপ
মানবশিশুর তরে,
কত-না বিবাদ কত-না বিলাপ
মানবশিশুর ঘরে।
কত ভায়ে ভায়ে নাহি যে বিশ্বাস,
কেহ কারে নাহি মানে,
ঈর্ষা নিশাচরী ফেলিছে নিশ্বাস
হৃদয়ের মাঝখানে।
হৃদয়ে লুকানো হৃদয়বেদনা,
সংশয়-আঁধারে যুঝে,
কে কাহারে আজি দিবে গো সান্ত্বনা–
কে দিবে আলয় খুঁজে।
মিটাতে হইবে শোক তাপ ত্রাস,
করিতে হইবে রণ,
পৃথিবী হইতে উঠেছে উচ্ছ্বাস–
শোনো শোনো সৈন্যগণ।
পৃথিবী ডাকিছে আপন সন্তানে,
বাতাস ছুটেছে তাই–
গৃহ তেয়াগিয়া ভায়ের সন্ধানে
চলিয়াছে কত ভাই।
বঙ্গের কুটিরে এসেছে বারতা,
শুনেছে কি তাহা সবে।
জেগেছে কি কবি শুনাতে সে কথা
জালদগম্ভীর রবে।
হৃদয় কি কারো উঠেছে উথলি।
আঁখি খুলেছে কি কেহ।
ভেঙেছে কি কেহ সাধের পুতলি।
ছেড়েছে খেলার গেহ?
কেন কানাকানি, কেন রে সংশয়।
কেন মরো ভয়ে লাজে।
খুলে ফেলো দ্বার, ভেঙে ফেলো ভয়,
চলো পৃথিবীর মাঝে।
ধরাপ্রান্তভাগে ধুলিতে লুটায়ে,
জড়িমাজড়িত তনু,
আপনার মাঝে আপনি গুটায়ে
ঘুমায় কীটের অণু।
চারি দিকে তার আপন উল্লাসে
জগৎ ধাইছে কাজে,
চারি দিকে তার অনন্ত আকাশে
স্বরগসংগীত বাজে।
চারি দিকে তার মানবমহিমা
উঠিছে গগনপানে,
খুঁজিছে মানব আপনার সীমা
অসীমের মাঝখানে।
সে কিছুই তার করে না বিশ্বাস,
আপনারে জানে বড়ো–
আপনি গণিছে আপন নিশ্বাস,
ধুলা করিতেছে জড়ো।
সুখ দুঃখ লয়ে অনন্ত সংগ্রাম,
জগতের রঙ্গভূমি–
হেথায় কে চায় ভীরুর বিশ্রাম,
কেন গো ঘুমাও তুমি।
ডুবিছ ভাসিছ অশ্রুর হিল্লোলে,
শুনিতেছ হাহাকার–
তীর কোথা আছে দেখো মুখ তুলে,
এ সমুদ্র করো পার।
মহা কলরবে সেতু বাঁধে সবে,
তুমি এসো, দাও যোগ–
বাধার মতন জড়াও চরণ
এ কী রে করম-ভোগ।
তা যদি না পারো সরো তবে সরো
ছড়ে দাও তবে স্থান,
ধুলায় পড়িয়া মরো তবে মরো–
কেন এ বিলাপগান!
ওরে চেয়ে দেখ্ মুখ আপনার,
ভেবে দেখ্ তোরা কারা,
মানবের মতো ধরিয়া আকার,
কেন রে কীটের পারা,
আছে ইতিহাস, আছে কুলমান,
আছে মহত্ত্বের খনি–
পিতৃপিতামহ গেয়েছে যে গান
শোন্ তার প্রতিধ্বনি।
খুঁজেছেন তাঁরা চাহিয়া আকাশে
গ্রহতারকার পথ,
জগৎ ছাড়ায়ে অসীমের আশে
উড়াতেন মনোরথ।
চাতকের মতো সত্যের লাগিয়া
তৃষিত আকুল প্রাণে
দিবস রজনী ছিলেন জাগিয়া
চাহিয়া বিশ্বের পানে।
তবে কেন সবে বধির হেথায়,
কেন অচেতন প্রাণ,
বিফল উচ্ছ্বাসে কেন ফিরে যায়
বিশ্বের আহ্বানগান!
মহত্ত্বের গাথা পশিতেছে কানে,
কেন রে বুঝি নে ভাষা।
তীর্থযাত্রী যত পথিকের গানে
কেন রে জাগে না আশা।
উন্নতির ধ্বজা উড়িছে বাতাসে,
কেন রে নাচে না প্রাণ।
নবীন কিরণ ফুটেছে আকাশে
কেন রে জাগে না গান।
কেন আছি শুয়ে, কেন আছি চেয়ে,
পড়ে আছি মুখোমুখি–
মানবের স্রোত চলে গান গেয়ে,
জগতের সুখে সুখী।
চলো দিবালোকে, চলো লোকালয়ে,
চলো জনকোলাহলে–
মিশাব হৃদয় মানবহৃদয়ে
অসীম আকাশতলে।
তরঙ্গ তুলিব তরঙ্গের ‘পরে,
নৃত্য গীত নব নব–
বিশ্বের কাহিনী কোটি কণ্ঠস্বরে
এক-কণ্ঠ হয়ে কব।
মানবের সুখ মানবের আশা
বাজিবে আমার প্রাণে,
শত লক্ষ কোটি মানবের ভাষা
ফুটিবে আমার গানে।
মানবের কাজে মানবের মাঝে
আমরা পাইব ঠাঁই,
বঙ্গের দুয়ারে তাই শিঙা বাজে–
শুনিতে পেয়েছি ভাই।
মুছে ফেলো ধুলা, মুছ অশ্রুজল,
ফেলো ভিখারির চীর–
পরো নব সাজ, ধরো নব বল,
তোলো তোলো নত শির।
তোমাদের কাছে আজি আসিয়াছে
জগতের নিমন্ত্রণ–
দীনহীন বেশ ফেলে যেয়ো পাছে,
দাসত্বের আভরণ। (Rabindranath Tagore Famous Poem)
সভার মাঝারে দাঁড়াবে যখন,
হাসিয়া চাহিবে ধীরে,
পুরব রবির হিরণ কিরণ
পড়িবে তোমার শিরে।
বাঁধন টুটিয়া উঠিবে ফুটিয়া
হৃদয়ের শতদল,
জগৎ-মাঝারে যাইবে লুটিয়া
প্রভাতের পরিমল।
উঠ বঙ্গকবি, মায়ের ভাষায়
মুমূর্ষুরে দাও প্রাণ,
জগতের লোক সুধার আশায়
সে ভাষা করিবে পান।
চাহিবে মোদের মায়ের বদনে,
ভাসিবে নয়নজলে–
বাঁধিবে জগৎ গানের বাঁধনে
মায়ের চরণতলে।
বিশ্বের মাঝারে ঠাঁই নাই বলে
কঁদিতেছে বঙ্গভূমি,
গান গেয়ে কবি জগতের তলে
স্থান কিনে দাও তুমি।
এক বার কবি মায়ের ভাষায়
গাও জগতের গান–
সকল জগৎ ভাই হয়ে যায়,
ঘুচে যায় অপমান।
৪| ওই মহামানব আসে
ওই মহামানব আসে।
দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে
মর্তধূলির ঘাসে ঘাসে।
সুরলোকে বেজে ওঠে শঙ্খ,
নরলোকে বাজে জয়ডঙ্ক–
এল মহাজন্মের লগ্ন।
আজি অমারাত্রির দুর্গতোরণ যত
ধূলিতলে হয়ে গেল ভগ্ন।
উদয়শিখরে জাগে ‘মাভৈ: মাভৈ:’
নবজীবনের আশ্বাসে ।
‘জয় জয় জয় রে মানব-অভ্যুদয়’
মন্দ্রি-উঠিল মহাকাশে।।
৫| কঠিন লোহা কঠিন ঘুমে
কঠিন লোহা কঠিন ঘুমে ছিল অচেতন, ও তার ঘুম ভাঙাইনু রে।
লক্ষ যুগের অন্ধকারে ছিল সঙ্গোপন, ওগো, তায় জাগাইনু রে॥
পোষ মেনেছে হাতের তলে যা বলাই সে তেমনি বলে–
দীর্ঘ দিনের মৌন তাহার আজ ভাগাইনু রে॥(Rabindranath Tagore Patriotic Poems)
অচল ছিল, সচল হয়ে ছুটেছে ওই জগৎ-জয়ে–
নির্ভয়ে আজ দুই হাতে তার রাশ বাগাইনু রে॥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণী (Slogans Of Rabindranath Tagore In Bengali)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা, রোমান্টিক কবিতা, প্রেমের কবিতা, ভালোবাসার কবিতা ছাড়াও কিছু বাণী (Slogans of Rabindranath Tagore In Bengali) নিয়ে আলোচনা করা হল।
১| মানুষের মধ্যে দ্বিজত্ব আছে; মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে। মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আর-এক জন্ম সকলকে নিয়ে (Rabindranath Tagore Famous Poem)।
২| মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন।
৩| যাহারা নিজে বিশ্বাস নষ্ট করে না তাহারাই অন্যকে বিশ্বাস করে।
৪| তিক্ত বড়িকে মিষ্টি আকারে গেলানো রাজনীতির নৈপুণ্য।
৫| বিবাহ না করিয়া ঠকা ভালো, বিবাহ করিয়া ঠকিলেই মুশকিল।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!