গোটা বিশ্ব খুঁজে দেখুন, এমন কোনও দম্পতি (couple) পাবেন না যাদের মধ্যে ঝগড়া (fight) হয় না। সম্পর্কের মধ্যে ভালবাসা ও মাধুর্যের যেমন প্রয়োজন আছে, ঠিক তেমনই মাঝেমধ্যে ঝগড়া বা মনমালিন্যের প্রয়োজনও রয়েছে। তা না হলে সম্পর্ক কেমন যেন থিতিয়ে যায়! তবে একথাও ঠিক যে দু’জনের মধ্যে যদি সব সময়েই কোনও না কোনও কারণে ঝগড়া হতে থাকে, তাহলে খুব মুশকিল। একটি সম্পর্কের অনেকগুলো ধাপ থাকে। কোনও একটি ধাপে আপনি খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যেতে পারেন, আবার কোনও একটি ধাপ পেরনো বেশ কঠিন হয়। তবে যাই বলুন না কেন, ঝগড়ার পর সঙ্গীর আদরের স্পর্শ (sex) কিন্তু সব মান-অভিমান ভুলিয়ে দেয়! কীভাবে, জানতে পড়ে ফেলুন প্রতিবেদনটি।
১। আলতো করে সঙ্গীর ঠোঁটে ঠোঁট রাখুন। অনেক কাপলের মতে, চূড়ান্ত ঝগড়ার পর যখন একে অন্যের সঙ্গে মিলনে লিপ্ত হন, সে সময়ে এক অন্যরকমের অনুভূতি হয়। শুধুমাত্র যে সেক্সের অভিজ্ঞতা ভাল হয় তাই নয়, মনোমালিন্যও দূর হয়ে যায় খুব সহজে। যদি ঝগড়ার রেশ ধরে রাখতে না চান, তাহলে সঙ্গীর ঠোঁটে ঠোঁট রাখুন এবং নিজের সমস্ত আবেগ উজার করে দিন।
২। সব দম্পতির মধ্যেই ঝামেলা হয়, তর্ক হয়, মনোমালিন্যও হয়; কিন্তু কোথাও গিয়ে এই অশান্তি থামানো খুব জরুরি। এক কাজ করতে পারেন, ঠোঁটে চুমু খাওয়ার সঙ্গে একটু ডারটি টকও চালিয়ে যেতে পারেন। হ্যাঁ, হয়ত অনেকেরই মনে হতে পারে যে রাগ হলে কীভাবে প্রেম পাবে, কিন্তু বিশ্বাস করুন, এই উপায়টি খুব কাজের!
৩। ঝগড়া হলে আমাদের মধ্যে প্রচণ্ড রাগ জমে থাকে এবং সত্যি কথা বলতে কী, আমাদের শরীরে প্রচণ্ড একটা এনার্জি তৈরি হয়। এই এনার্জি বার করা খুব জরুরি। আর মিলনের থেকে ভাল উপায় আর কীই বা হতে অতিরিক্ত এনার্জি বার্ন আউট করার জন্য? এসময়ে না হয় একটু হার্ডকোর সেক্স সেশনের অভিজ্ঞতাও লাভ করলেন! শারীরিক মিলন যে সব সময় খুব স্মিতভাবে হবে তার তো কোনও মানে নেই! তাই না?
৪। শারীরিক মিলনের পর অর্গাজম হল চরম সুখের রাস্তা। সঠিকভাবে যদি আপনি অর্গাজম অনুভব করতে পারেন, তাহলে সত্যিই আনন্দ হয়; কিন্তু যদি কেউ অর্গাজম অনুভব না করেন তাহলে তার থেকে বিরক্তির কিছুই হয় না। এক্ষেত্রে একটি কথা বলে রাখা ভাল, ঝগড়ার পর মিলনের যে সুখ আপনি লাভ করেন, তাতে আপনি অর্গাজমের চরমসুখ অনুভব করবেনই! আসলে সেক্সের পর আমাদের শরীরে হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হয়, ফলে আমাদের স্ট্রেস দূর হয় এবং মেজাজও ফুরফুরে হয়ে ওঠে!