কালমেঘ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। কালমেঘ পাতার উপকারিতা (Kalmegh Pata Benefits) প্রচুর। এর অন্য প্রচলিত নাম আলুই। অকেনথেসি বর্গের অন্তর্ভুক্ত এই গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Andrographis Paniculata। বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে এই গাছ জন্মায়। হিন্দিতে একে বলা “হয়কিরায়াত” বা কখনও “কুলুফনাথ”। এটি একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ। গড় উচ্চতা ১ মিটার।এর শাখা চতুষ্কোণ এবং পাতা বল্লমাকৃতির হয়ে থাকে। এটি একটি বীরুৎ-জাতীয় উদ্ভিদ। ফুল ক্ষুদ্রাকার। অল্প পরিমাণে বিক্ষিপ্ত গুচ্ছে ফুল ফোটে। ১ সে.মি. লম্বা ফুলের রং গোলাপী। দেড় থেকে ২ সে.মি. লম্বা ফল অনেকটা চিলগোজার মতন দেখতে। ভেষজ গুণাবলীর জন্য অনেক স্থানে একে 'চিরতার ঔষধ' বলা হয়। যে কোনও রকম জ্বর বা ক্রনিক ফিভার বা ভাইরাল ফিভার আমাদের শরীরকে খুব দুর্বল করে দেয়, এছাড়া এই সমস্ত রকম জ্বর আমাদের লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কালমেঘ পাতার রস (Kalmegh Pata) আমাদের এইসব রকম জ্বর এর ফলে হওয়া শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। এছাড়া জ্বরের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত লিভারকেও ঠিক করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই পাতা ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া রোগের প্রতিরোধক (Kalmegh Pata Benefits In Bengali) হিসেবেও কাজ করে। এছাড়া আর কী কী গুণ রয়েছে, তা নিয়েই এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে।
কালমেঘ পাতার উপকারিতা প্রচুর। একে একে তা আমরা আলোচনা করব। কালমেঘ পাতা রক্তকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফলে আমাদের ত্বকের নানারকম সমস্যার ক্ষেত্রে কালমেঘ পাতা অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া কালমেঘ পাতা (Kalmegh Pata Benefits) আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। লিভারজনিত যে কোনো রকম সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ এই কালমেঘ পাতা। এটি লিভার টনিক হিসেবে ব্যবহূত হয়। অতিরিক্ত মদ্য পান বা অতিরিক্ত কড়া ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করলে আমাদের লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কালমেঘ পাতা (Kalmegh Pata) এর নিরাময়ক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া আজকাল আমাদের খাদ্যাভ্যাস বা ফল ও সবজিতে ব্যবহূত পেস্টিসাইড আমাদের লিভারকে খারাপ করে দেয়। কালোমেঘের নিয়মিত সেবন এই সমস্যার সব থেকে ভাল সমাধান। কালমেঘ পাতা ডায়াবেটিসের অব্যর্থ ওষুধ। এটি আমাদের শরীরে ব্লাড সুগারের পরিমাণকে কম রাখতে সাহায্য করে।
লিভারের সমস্যায় যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের জন্য় অবর্থ ওষুধ কালমেঘ পাতার রস। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং হেপাটোপ্রোটেক্টিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। লিভারের কোষের ক্ষয়ক্ষতি রোধে কালমেঘ পাতার রস কার্যকরূ। এটি দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি ভাইরাল সংক্রমণের জন্য়ও কার্যকর হতে পারে। লিভার সম্পর্কিত যে কোনও সমস্যার সমাধানে প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে এটি।
ইলফ্লুয়েঞ্জা মোকাবিলাতেও কালমেঘ পাতার উপকারিতা প্রচুর। কালমেঘের এন্ড্রোগ্রাফোলাইডে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতিরোধ করে। এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধির অন্যতম সহায়ক।
সাইনাসের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, সাইনাসের ব্যথায় যাঁরা কাবু, তাঁদের ক্ষেত্রেও কালমেঘ পাতা ওষুধের মতো কাজ করে। এটি এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ইমিউনোমোডুলেটিরি বৈশিষ্ট্যর জন্য ব্যথার উপশম হয় (Health Benefits of Kalmegh Pata In Bengali)। কালমেঘ (Kalmegh Pata) সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
অ্যানোরেক্সিয়া বা ক্ষুধা হ্রাসের সমস্যার ক্ষেত্রেও কালমেঘ পাতার উপকারিতা প্রচুর (Kalmegh Pata Benefits)। অত্যন্ত গরমে লিভারের সমস্যা হতে পারে। পাচনতন্ত্র ঠিক মতো কাজ করে না অনেক সময়। এ সব ক্ষেত্রে কালমেঘ পাতা দারুণ ওষুধ।
অনেকেরই বছরভর ঠাণ্ডা লাগার ধাত থাকে। গরমে ঘাম জমে সর্দি লেগে যায়। এই সমস্যার সমাধানেও কালমেঘ পাতার প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য এক্ষেত্রে কাজে লাগে। নাক থেকে ক্রমাগত জল ঝরলে কালমেঘ পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়। হালকা জ্বর, গলা ব্যাথা, সর্দির সমস্যাতেও প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কালমেঘ পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে এটি খুবই উপকারী।
টনসিলের সমস্যা কারও কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তির কারণ হয়ে যায়। খেতে পারেন না। গলায় ইনফেকশন হয়ে যায় অনেকের। এক্ষেত্রেও কালমেঘ পাতা উপকারী বন্ধুর (Health Benefits of Kalmegh Pata In Bengali) ভূমিকা পালন করে। এটিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি টনসিলের প্রদাহকে বাধা দিতে পারে। এটি জ্বর, গলা ব্যথা এবং টনসিলাইটিসের সাথে জড়িত কাশি জাতীয় লক্ষণও হ্রাস করে। কালমেঘ পাতার রস টনসিলাইটিসের কারণে জ্বর এবং গলা কমাতে সহায়তা করে।
কালমেঘ পাতার উপকারিতা (Kalmegh Pata Benefits) এতটাই যে এটি আলসারেটিভ কোলাইটিসের মতো জটিল রোগ সারিয়ে দিতে পারে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ যা বৃহদন্ত্রের প্রদাহ সৃষ্টি করে। ইমিউন সিস্টেমের ভুল কাজ করার কারণে এটি ঘটে। কালমেঘের এন্ড্রোগ্রাফোলাইডের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি আলসারেটিভ কোলাইটিসের সাথে যুক্ত প্রদাহ হ্রাস করে। মানব দেহের হজম ক্ষমতাকে বাড়িতে অন্ত্রের কাজকে সহজ করতে সাহায্য করে কালমেঘ পাতার রস।
হেরিডেটরি ইনফ্ল্যামেটরি ডিজঅর্ডার। এটি একটি জিনগত রোগ। অর্থাৎ পারিবারিক ধাতে থাকে। এর উপশমে কালমেঘ পাতার রস উপকারী। বারবার জ্বর হওয়ার ফলে ফুসফুস, হার্ট এবং পেটের সমস্যা দেখা দেয়। কালমেঘের অ্যান্ড্রোগ্রাফোলাইডে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যানালজেসিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি রক্তে নাইট্রিক অক্সাইড এবং প্রদাহজনক মধ্যস্থতাকারীদের স্তরকে স্বাভাবিক করে তোলে।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় যাঁরা কাবু, তাঁদের ক্ষেত্রে কালমেঘ পাতার রস (Kalmegh Pata) উপকারী হতে পারে। এটি একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। এটি শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট অর্থাৎ গাঁটে গাঁটে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কালমেঘের অ্যান্ড্রোগ্রাফোলাইডে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যানালজেসিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে জয়েন্টগুলির ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে (Health Benefits of Kalmegh Pata In Bengali) সহায়তা করে। রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস আয়ুর্বেদে আমাভাটা নামে পরিচিত। আমাভাটা এমন একটি রোগ যা হজমের দুর্বলতা থেকে শুরু হয়। নিয়মিত কালমেঘ গ্রহণ করলে বাতজনিত রোগের লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। হজমের উন্নতি করে কালমেঘ পাতার রস শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
কালমেঘ উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্য়ায় উপকারী হতে পারে। এটি পৃথক রক্তনালীগুলিতে রক্ত প্রবাহকে উন্নত করতে সহায়তা করে। কালমেঘের অ্যান্ড্রোগ্রাফোলাইডে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি লিপিড পারক্সিডেশনজনিত ক্ষতির বিরুদ্ধে রক্তনালীগুলি রক্ষা করে। অক্সিজেনের অভাবে আঘাতের হাত থেকে এটি হৃৎপিণ্ডের কোষকেও সুরক্ষা দেয়। ফলে হার্টের সমস্যা থাকলে নিয়মিত কালমেঘ পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
এইচআইভি বা এইডস রোগের মোকাবিলায় কালমেঘ পাতার রস উপকারী (Kalmegh Pata Benefits) হতে পারে। কালমেঘের এন্ড্রোগ্রাফোলাইডে অ্যান্টিভাইরাল এবং এইচআইভি বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি এইচআইভি সংক্রমণের বিস্তারকে বাধা দেয়। এটি এইচআইভির সাথে সম্পর্কিত লক্ষণগুলিও হ্রাস করে (Health Benefits of Kalmegh Pata In Bengali)।
কালমেঘ ত্বকের রোগ নিরাময়ে উপকারী হতে পারে। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি রক্ত পরিশোধনকারী ওষুধের করে। একই সঙ্গে কালমেঘ ত্বকের ফোঁড়া এবং চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কার্যকর হতে পারে। কালমেঘের মধ্যে রক্ত পরিশোধন করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি সরিয়ে দেয় এবং তাই ত্বকের রোগ সারাতে সহায়তা করে।
কৃমি প্যারাসাইট বা পরজীবী প্রাণী| এটি আমাদের ইন্টেস্টাইনে বাসা বাঁধে এবং আমাদের শরীরের অন্যান্য অর্গ্যানগুলিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে| এগুলি সাধারণত দূষিত জল বা খাবার থেকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়া সেক্সুয়াল কন্ট্যাক্ট বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা, এমনকি আমাদের নাক ও ত্বকের মাধ্যমেও এই কৃমির সংক্রমণ হয়| কালমেঘ পাতা, জল ও গুড় একসাথে বেটে ছোট্ট মটরশুঁটির দানার মত বল বানিয়ে নিন| রোদে শুকিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিন| প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জলের সঙ্গে ট্যাবলেটের মত গিলে খেলেও কিন্তু খুব উপকার পাওয়া যাবে| এটি তেতো রস খাওয়ার থেকে অনেক বেশী সহজ| এছাড়া কালমেঘ পাতা বেটে তার রস বের করে সকালে খালি পেটে খেলে কিছুদিনের মধ্যেই সমস্ত কৃমি মরে বেরিয়ে যাবে|
কালমেঘ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এটি অতিরিক্ত কোলাজেন এবং প্রদাহকোষের হ্রাস হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও এটি দাগ কমাতে সহায়তা করে। এর জন্য আপনাকে ক্ষতস্থানে স্বল্প পরিমাণে কালমেঘ গুঁড়া প্রয়োগ করতে হবে।
সাধারণত কালমেঘের কোনও সাইড এফেক্ট (Side Effects of Kalmegh Pata In Bengali) নেই বললেই চলে। তবুও গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহারে এর সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
১| কালমেঘ পাতার অত্যধিক ব্যবহারে অনেকের অ্যালার্জি হতে পারে। বাজার থেকে কিনে আনার পর ভাল করে ধুয়ে তারপর ব্যবহার করুন। কতটা ব্যবহার করবেন, সেই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
২| কালমেঘ পাতার (Kalmegh Pata) অত্যধিক ব্যবহারে অনেকের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হয়। বিশেষত আগে থেকেই এই সমস্যা থাকলে বুঝেশুনে ব্যবহার করুন।
৩| প্রতিদিন কালমেঘ পাতার রস খেলে নির্দিষ্ট বয়সে মাথা ব্যথা এবং ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
৪| কালমেঘ পাতার রস প্রথম প্রথম খেতে শুরু করলে অনেকের বমি বমি ভাব দেখা দেয়। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। অনেকের ক্ষেত্রে ক্ষুধা ও রুচি হ্রাসের সমস্যাও দেখা দেয়।
৫| গর্ভাবস্থায় কালমেঘ পাতার রস না খাওয়াই ভাল (Side Effects of Kalmegh Pata In Bengali)। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া একান্ত জরুরি।
কালমেঘ পাতার গুণাগুণ নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তর এবার আলোচনা করে নেওয়া যাক -
আসলে এর কোনও নির্দিষ্ট উত্তর হয় না। কারণ এক এক জন এক একটি সমস্যার সমাধানে কালমেঘ পাতার রস (Kalmegh Pata) খান। ফলে কোন রোগে কতটা প্রয়োজন সেটা চিকিৎসকই বলতে পারবেন। তবে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ তিন থেকে ছয় গ্রাম কালমেঘ পাতা প্রতিদিন খেতে পারেন।
সাধারণত কালমেঘের কোনও সাইড এফেক্ট নেই বললেই চলে। তবুও গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহারে এর সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কালমেঘ পাতার অত্যধিক ব্যবহারে অনেকের অ্যালার্জি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কালমেঘ পাতার রস না খাওয়াই ভাল। কালমেঘ পাতার রস প্রথম প্রথম খেতে শুরু করলে অনেকের বমি বমি ভাব দেখা দেয়। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
কালমেঘ পাতার রস খেতে পারলেই তা সবচেয়ে ভাল। তবে স্বাদের জন্য অনেকেই খেতে পারেন না। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে ট্যাবলেটের সাহায্য নিতে হয়। কিন্তু ট্যাবলেট খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।