ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘বিউটি লাইজ ইন দ্য আইজ অফ দ্য বিহোল্ডার’, অর্থাৎ এক এক জনের কাছে সৌন্দর্যের (beauty) পরিভাষা এক এক রকম। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, আমার মতে সৌন্দর্যের পরিভাষা কী, তাহলে বলব, যদি আপনি মন থেকে খুশি থাকেন, তাহলে তা আপনার চোখে-মুখে প্রকাশ পায়, আর আমার মতে সেটিই সৌন্দর্য (beauty)! ছেলে হোক বা মেয়ে, সবাই একটা জিনিস কিন্তু সব সময়ে চায়; ত্বক যেন পরিষ্কার হয়। ব্রণ-ফুসকুড়ি বা অ্যাকনের দাগ-ছোপ (acne sacrs) সত্যি বলতে কী, আমরা কেউই পছন্দ করি না। তবে অনেক সময়েই আমাদের অনেকের ত্বকে বিশ্রী অ্যাকনের দাগ হয়ে যায়। নানারকমের কসমেটিকস ব্যবহার করেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই নাছোড় দাগ (acne scars) আমাদের পিছু ছাড়ে না। তবে অনেক ডারমেটলজিস্টের (dermatologist) মতে, যদি চিরকালের মত অ্যাকনের এই বিশ্রী দাগ দূর করতে হয়, তাহলে বিশেষ কিছু চিকিৎসার সাহায্যে তা করা সম্ভব।
অ্যাকনে স্কার (acne scars) অর্থাৎ ব্রণর দাগ দূর করতে বা হাল্কা করতে লেজার রিসারফেসিং খুবই প্রভাবশালী বলে অনেক ডারমেটোলজিস্ট মনে করেন। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে শুরু করে অরবিয়াম গ্লাস লেজার – নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও এই দুটি প্রক্রিয়াই অ্যাকনের দাগ তুলতে বেশ কার্যকরী, তবে যিনি লেজার ট্রিটমেন্ট করছেন, সেই ডারমেটোলজিস্টের (dermatologist) দক্ষতার উপরে কিন্তু রেজাল্ট অনেকটাই নির্ভর করে।
নাম শুনেই হয়ত কিছুটা আন্দাজ করতে পারছেন যে এই প্রক্রিয়ায় সূচ ব্যবহার করা হয়। ছোট ছোট সরু সূচের সাহায্যে ত্বকের উপর থেকে শুরু করে গভীর পর্যন্ত চ্যানেল তৈরি করা হয় এক্ষেত্রে। এতে ত্বকে স্বাভাবিকভাবে কোলাজেন তৈরি হয়, ফলে ত্বকের উপর থেকে অ্যাকনের দাগ কমে এবং ত্বকের টেক্সচারও ভাল হয়।
পীলস এক ধরনের রাসায়নিক যা মুখে বা শরীরের অন্যান্য অংশে লাগানো যায় এবং সেই অংশের ত্বক সহজে এক্সফোলিয়েট করা যায়। এতে ত্বকের উপরে থাকা দাগ-ছোপ (acne scars) অনেক হাল্কা হয়ে যায়। নানা ধরনের হতে পারে এই পীলস। এগুলো সাধারণত নাছোড় দাগ তুলতে বা হাল্কা করতে ব্যবহার করা হয়। যদি আপনার ত্বকে ব্রণ থেকে থাকে, সে অবস্থায়ও আপনি পীলস করাতে পারেন এতে অ্যাকনের দাগ নতুন করে হওয়ার আশঙ্কা থাকে না আর।
সাবসিশন এমন একটি প্রক্রিয়া যা ত্বকের গভীরে পৌঁছে দাগ মেটায়। ত্বকের গভীরে টিসুতে অ্যাকনের বিশ্রী দাগ আটকে থাকে। এই চিকিৎসায় ত্বকের গভীরে থাকা সেই টিসুগুলি বার করে আনা হয় যাতে ত্বকের উপরে অ্যাকনের দাগ কম হয়ে যায়। এর সঙ্গে চাইলে ফ্যাট গ্রাফটিংও করাতে পারেন যাতে আবার যদি কখনও অ্যাকনে হয়ও, তা ত্বকের টিসুর সঙ্গে আটকে না যায় আর বিশ্রী দাগ না হয়ে যায়।