ভাল ত্বক (skin) পেতে গেলে যে সব কাজ আপনাকে করতে হবে, তার মধ্যে জরুরি ভাল ঘুম (sleep)। ঘুম ভাল হলে ত্বক স্বাস্থ্যকর হবেই। আবার ঘুম ঠিক না হলে ত্বকে ব্রণ বা বলিরেখার মতো সমস্যা হতে পারে। শুধু ঘুমই নয়। আপনি কেমন ভাবে, অর্থাৎ কোন পজিশনে শুয়ে ঘুমোচ্ছেন, তার উপরও আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভর করে।
বিছানায় পিঠ এবং বালিশে মাথা রেখে শোওয়া সবথেকে ভাল অপশন। এতে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভাল হয়। এমনকি ডিনার করে শোওয়ার পর খাবার সহজে হজম হয়ে যায়।
অনেকেই উপুড় হয়ে শুতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে মুখ থাকে বালিশে। এতে দুটো সমস্যা। প্রথমত বালিশের কভারে যে নোংরা বা ব্যাকটেরিয়া লেগে থাকে তা সরাসরি আপনার মুখে লেগে যায়। তার থেকে ত্বকে ময়লা জমতে পারে। আবার রাতে শুতে যাওয়ার আগে আপনি যদি কোনও ক্রিম মুখে অ্যাপ্লাই করেন, তা পুরোপুরি ত্বকে শুষে যাওয়ার আগেই শুয়ে পড়লে বালিশের কভারে ক্রিম লেগে যাবে। ফলে আপনার ত্বকের পুষ্টি তো হবেই না, বরং ত্বকে ময়লা জমবে। যদি একান্তই শোওয়ার পজিশন বদলাতে না পারেন, তাহলে ঘন ঘন বালিশের কভার বদলে ফেলুন। এতে অন্তত কিছুটা পরিচ্ছন্ন থাকবে ত্বক।
উপুড় হয়ে অর্থাৎ পেটের উপর শোওয়ার আরও সমস্যা রয়েছে। আসলে ঘুমের সময় আমাদের ত্বক নিজস্ব মেরামতি সেরে ফেলে। ত্বকের সে সময় প্রশ্বাস নেওয়ার সময় বলতে পারেন। উপুড় হয়ে শুলে মুখ বালিশে থাকে। ফলে ত্বকের বিভিন্ন কোষে হাওয়া লাগার সুযোগ কম। যার ফলে বলিরেখা বা ব্রণর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি মুখ চেপে শুলে সকালে ওঠার পর চোখ বা চোখের নীচের অংশ ফুলে থাকারও সম্ভবনা থাকে। বালিশে অন্তত আট ঘণ্টা মুখ চেপে শুলে তা ত্বকে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
যে কোনও একটা পাশ ফিরে শোওয়ার অভ্যেস থাকে অনেকের। সেক্ষেত্রে যে কোনও একটা গাল বালিশে চেপে শোওয়া হয়। এতে গালে বলিরেখা পড়বে দ্রুত। আর একই ভাবে কোনও প্রোডাক্ট মুখে অ্যাপ্লাই করলে তা ত্বকে শোষিত হওয়ার আগেই হয়তো বালিশে লেগে নষ্ট হবে।
ত্বক ভাল রাখতে গেলে চিৎ হয়ে শোওয়া সবথেকে ভাল অপশন। অর্থাৎ বিছানায় পিঠ দিয়ে সোজা হয়ে শোওয়া। এতে মুখের ত্বকে কোনও রকম চাপ পড়বে না। এতে ত্বক কোমল থাকবে, বলিরেখা পড়ার সম্ভবনা কমবে। বালিশের কভারে লেগে থাকা তেল, ময়লা মুখে লাগবে না। খাবার ঠিক মতো হজম হবে। ফলে ত্বকে তার প্রভাব পড়বে। শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকায় ত্বক হবে তারুণ্য়ে ভরপুর।