পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (polycystic ovarian syndrome reasons and home remedies) অর্থাৎ PCOS এখন মহিলাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ। খাবারে অতিরিক্ত রাসায়নিকের প্রয়োগ, অনিয়মিত জীবনযাপন, স্ট্রেস, হরমোনাল ইমব্যালান্স, শরীরচর্চা না করা এবং আরও নানা কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বেশিরভাগ মহিলাই প্রথমদিকে এই সমস্যাকে অতটা গুরুত্ব দেন না এবং ফলে পরে গিয়ে এটি বড় আকার ধারণ করে।
সব সময় যে PCOS এর লক্ষণ বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় তা নয়। আবার অনেকসময়ই এই সমস্যার লক্ষণগুলো প্রকট হয়ে ওঠে। যেমন –
এরকম কিছু-কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে যে, আপনি হয়তো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের (polycystic ovarian syndrome reasons and home remedies) সমস্যায় ভুগছেন।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমে ভুগলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান এবং তাঁর পরামর্শ মেনে চলুন। ওষুধ এবং ডায়েট যেমন ফলো করছেন করুন, তার সঙ্গে PCOS কন্ট্রোল (polycystic ovarian syndrome reasons and home remedies) করার জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকাও ফলো করতে পারেন।
১। দু’ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে হয় খালি পেটে অথবা লাঞ্চ-ডিনারের আগে কয়েক মাস খান। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরে খুব তাড়াতাড়ি ওজনও কমে।
২। এক গ্লাস গরম জলে এক চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খান। এতে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দূর হয় এবং পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সমস্যা কমে । যদি গরম জলে দারচিনি গুঁড়ো না খেতে পারেন, তা হলে চায়ে অথবা দইয়ে মিশিয়ে খান। এটা কিন্তু নিয়ম করে খেয়েই যেতে হবে।
৩। চিনি না খেলেই ভাল। অনেকেই চিনি ছাড়া চা খেতে পারেন না। তাঁরা মধু দিয়ে গ্রিন টি খেতে পারেন। বাড়িতে কোনও মিষ্টি খাবার তৈরি করতে চাইলে চিনির বদলে গুড় দিয়ে করুন। এছাড়া মিষ্টি, আইসক্রিম, চকোলেট ও নরম পানীয় যতটা পারেন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
৪। দুই টেবিল চামচ (৩০ গ্রাম মতো) তিসি বা ফ্ল্যাক্স সিড হামানদিস্তায় পিষে নিয়ে সকালে খালি পেটে জলে গুলে খেয়ে নিন, যতদিন না পর্যন্ত আপনি সুফল পাচ্ছেন। তিসি মোটেও সুস্বাদু নয়। জলে গুলে খাওয়া সম্ভব না হলে ফলের রসের সঙ্গে তিসির গুঁড়ো মিশিয়েও খেতে পারেন। ততদিন খেতে হবে, যতদিন না সিস্টের (polycystic ovarian syndrome reasons and home remedies) সমস্যা দূর হচ্ছে।
৫। নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। জিমে গিয়ে এক্সারসাইজ না করতে পারলে ক্ষতি নেই, বাড়িতেই যোগব্যায়াম করুন। আর কিছু না হলে সকাল-বিকেল হাঁটুন।