শাড়ি কিনতে গেলে মহিলারা কেমন যেন বিহ্বল হয়ে পড়েন! সে যে বয়সেরই হন না কেন। এত রং, এত প্রকারভেদ আর এত ডিজাইন যে কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবে, বোঝাই দায়। ঝোপ বুঝে কোপ মেরে দোকানিও বেশ গুছিয়ে তাঁর পসরা নিয়ে বসেন আর একের পর এক দুর্দান্ত শাড়ি আপনার সামনে মেলে ধরতে থাকেন। লোভ বড় সাঙ্ঘাতিক জিনিস, জানেন তো? তবে এবার যখন শাড়ি কিনতে যাবেন, খেলাটা একটু ঘুরিয়ে দিন! দোকানদারকে বলুন, এমন শাড়ি দেখান যাতে টেম্পল পাড় আছে বা এমন বর্ডার যেখানে মিরর ওয়ার্ক করা আছে। আপনি যে একদম আনাড়ি নন আর শাড়ির সমস্ত খুঁটিনাটি এমনকী, শাড়ির বিভিন্ন পাড়েরও (different saree borders) খোঁজ রাখেন, সেটা শাড়ি বিক্রেতাকে ভাল করে বুঝিয়ে দিন। কিন্তু তার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে শাড়িতে কীরকমের পাড় থাকে।
১। এই মুহূর্তে ভেলভেট শাড়ি বর্ডার হল ইন থিং। বেশিরভাগ মহিলাই এই ভেলভেট পাড় দেওয়া শাড়ির প্রেমে মজেছেন। আপনি যদি একটু গোলগাল চেহারার হন, তা হলে উজ্জ্বল চওড়া ভেলভেট পাড় দেওয়া শাড়ি বেছে নেবেন। বিয়েবাড়ি থেকে পার্টি, যে-কোনও অনুষ্ঠানে এই জাতীয় শাড়ি মানানসই হয়।
২। স্ক্যালপ পাড়ও (different saree borders) হচ্ছে লেটেস্ট ডিজাইন। স্ক্যালপ ডিজাইন সবার এত ভাল লেগেছে যে শাড়ি ছাড়াও, সালওয়ার, ব্যাগ এমনকী, জুতোতেও এই বর্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। এই জাতীয় বর্ডার সবচেয়ে ভাল লাগে নেটের শাড়িতে। এছাড়া বুটা ওয়ার্ক করা শাড়ি, বিডস আর মিরর ওয়ার্ক করা শাড়িতেও এই পাড় খুব ভাল লাগে।
৩। ফ্লোরাল প্রিন্ট শাড়ির পাড় একটি ক্লাসিক ফ্যাশন। কোনও দিন এটি পুরনো হয় না। যে-কোনও সাধারণ শাড়িকে পাল্টে দেয় এই ফ্লোরাল বর্ডার। বিশেষ করে একরঙা শাড়ির সঙ্গে হাল্কা এমব্রয়ডারি করা ফ্লোরাল বর্ডার (different saree borders) দারুণ দেখতে লাগে।
৪। সুতি আর সিল্কের শাড়িতে কনট্রাস্ট বর্ডার দেখা যায়। যারা বেশি সাজগোজ করতে ভালবাসেন না বা জবরজং শাড়ি যাঁদের পছন্দ নয়, তাঁরা এটা ট্রাই করুন।
৫। এরপর আসছে মিরর ওয়ার্ক বর্ডার (different saree borders) । নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, এই জাতীয় পাড়ে কাচ বসানো থাকে আর তাই এই জাতীয় শাড়ি হয় ঝলমলে কিন্তু স্নিগ্ধ। যে-কোনও সাদামাটা শাড়িতে এই জাতীয় পাড় বসিয়ে দিলে দারুণ দেখতে লাগে।
৬। সবচেয়ে সিম্পল কিন্তু সবচেয়ে এলিগ্যান্ট হল এই চেক প্রিন্ট পাড় (different saree borders) । আর এই জাতীয় বর্ডার শাড়িতে থাকলে সেটা এতটাই সুন্দর লাগে যে বিয়েবাড়ি, অনুষ্ঠান ছাড়াও কর্মক্ষেত্রেও দিব্যি পরা যায়।
৭। টেম্পল বর্ডারও কিন্তু ঐতিহ্যশালী পাড়, যা মূলত সিল্ক আর কটন শাড়িতে দেখা যায়। জড়ি দিয়ে বোনা এই পাড় জাস্ট দুর্দান্ত। কাঞ্জিভরম শাড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এই টেম্পল পাড়।